সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩

তোমার শহরে আমি উপেক্ষিত

 তোমার শহরে আমি উপেক্ষিত

আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় তোমার নেই

কফির খেতে খেতে কোন গল্পের যবনিকা টানার

 ইচ্ছে তোমার ম্লান।


তোমার শহরে আমি উপেক্ষিত

দুরন্তপনায় ঘুরে বেড়ানো ছেলেটা আজ

একাকি একাকিত্বে ভোগে।


পৃথিবীটাকে এখন আর বৃহত মনে হয়না,

বারান্দা আর কার্নিশের চারপাশে যার পৃথিবী আবদ্ধ 

তার কাছে পৃথিবীটা আর কতোই বড় হবে।


তোমার উপেক্ষিত শহরে

আমার জন্য তোমার সময় নেই স্থান নেই,

নেই কোন মায়ার বিন্দু বিসর্গ।

তাইতো তোমার সিমানা পেরিয়ে 

আমি একাকি অন্ধকার অরন্যে।

শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

বাস্তবতা

 প্রকৃতির কাছ  থেকে প্রতিদিন কতো কিছু শিখি

চেনা পথের বাঁকে দূর্বা ঘাসের বুকে

জমে থাকা ধুলোর স্তুপে কতো মানুষের

পায়ের পিষ্ঠে কতো যবনিকা একে যায়।

স্মৃতির দুয়ারে হাজার মানুষের ভিরে

আপন মানুষের অচেনা আচরণ

দগ্ধ করে হৃদয়ের এপার সেপার।

অপ্রকাশিত শব্দের বর্নগুলো

দাগ কাটে হৃদয়ের তেপান্তরে।

ধূলোর বনে বেড়ে উঠা কাঁশফুলের

ইতিবৃত্বে লিখা হয় নির্মম শব্দের

উপাখ্যান।


বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১

বালুকনা

 বালুকনা

শেখ শফিউল বাসার

একটা সময় ছিল

মুঠোফোনে কথা বলে

কেটেছে অনেকটা সময়

রাতের আধারের বুকে

চাদের এক ফালি আলো

স্বপ্নের বীজ বুনে, আমাকে করেছে

পেমময় উত্তাল।

সুরের মূর্ছনায় হারিয়ে গিয়েছিলাম

বর্ষার অথৈ জলের স্নিগ্ধ আভায়,

যেখানে মনের আকাশে

কারো ভালবাসার নীল পরশ

আমায় করেছে বিবেকহীন।

তারার ঝিকিমিকির আলো

ভাসিয়ে নিয়ে গেছে

সাত রংঙ্গে আকা কোন কল্পলোকে।

আজ আমি বড় একা

কেউ নেই এ নিঃসঙ্গ জীবনের

একাকিত্বের পাশে।

বেদনায় জীবন বিদির্ন

সঙ্গী বিরহের চরে আবৃত

জল শূন্য বালুকনা।

হাহাকারে চৌচির বুক

যেখানে উত্তাপ বিহিন

একফোটা জল ও মিলেনা।

মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

পোড়ামাটি

 পোড়া মাটি

শেখ শফিউল বাসার


মন ভালো নেই

আধারের বুকে জোনাকিরা

হৃদয় ভাঙ্গা আর্তনাদে

কাঁদে আর কাঁদে।

মনে জমানো বিষাদের ছায়া 

জলে জলে করে একাকার।

হৃদয় পোড়ানো, পোড়া মাটির ছাই 

উড়ে উড়ে আকাশের প্রশস্ত বুকে 

বাতাসের ছোয়ায় উরিয়ে নিয়ে যায় 

দুর বহু দুর।

আমি চৈত্রের দুপুরে কৃষকের ভূমিতে, 

উত্তাপে ফাটা বিদ্ধস্থ জমি।


আমার করুন আর্তনাদ

কারো মনের হৃদ পিঞ্জরে 

স্রোতের সেওলার মতো

একটু ও আচর কাটেনা।

আমি আজ বিবেকের কূলে

পরাজিত এক বিদ্ধস্থ ডানা কাটা পাখি

শনিবার, ৫ জুন, ২০২১

কালের খেয়া

 কালের খেয়া

শেখ শফিউল বাসার

কালের খেয়া বেয়ে আজ তুমি

ভেসেছো চন্দ্র আলো হয়ে আকাশের ঈশান কোনে।

সমস্ত গগনে তোমারি জয়জয়কার।

 একটা যুগ আমি তোমার

ভালবাসায় মত্ব হয়ে ছুটে চলেছি 

নিশিরাত,অন্ধকার, আলো রোদ

বৃস্টি কিছুই আমায় থামাতে পারেনী। 

আমি ছুটেছি কেবলী

ছুটেছি ভালবাসার নীল জালে মত্ত হয়ে 

বিপদ সংকূল অস্থির পথে।

কোন বিপত্তি আমায় থামাতে পারেনী।

 তোমার ভালবাসার

মায়াজাল মাকরাসার সূতো হয়ে

আবদ্ধ করেছে আমার বিবেক। 

উন্মাদের পালক গায়ে জরিয়ে

ছুটেছি কেবলী ছুটেছি

মরুর উৎতপ্ত বলু প্রান্তরে। 

আজ তুমি সুসজ্জিত প্রসাদের 

চার দেয়ালে আবৃত। 

রুপের ঝলকানী আকাশে মিলিয়েছে ।

 স্বর্ন রৌপ্য খচিত খোলসের বৃত্বে 

কতোটা ঢেকেছে তোমায়,

আমার করুন চোখের চাহনি, 

শব্দ স্পর্শ করে না তোমায়। 

হয়তো কখনও খেয়ালি মনের আঙ্গিনায় ভাবী 

তুমি আমাকে চেনো????!!!!

তুমি বদলে গেছো, 

আমার এক যোগের নিঃস্বার্থ 

ভালবাসার করুন আকুতি 

হৃদয়ে তোমার আর স্পর্শ করেনা। 

আজ আমি দুর বহু দুর

কালের খেয়া বেয়ে আজ আমি 

নিংসঙ্গ ভাংগা কুলা।

আলোর প্রতিমায় তুমি জ্বলজ্বলে 

কিরন বাতি জালিয়ে,

মৃদু অন্ধকারে তোমার দৃস্টি স্পর্শ করেনা,

তুমি ধ্যানে মগ্ন বিভোর!

ভুলে যেওনা ভুল করে

কোন কিছুই স্থায়ী নয়।

একদিন অহংকারের দেয়াল ভেদ করে

নিক্ষিপ্ত হবে অন্ধকারের বুকে ।

বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

রাতের শূন্যতায়

 রাতের আধার যেন কাটেনা 

জোনাকিরা আলোর মিছিলে 

সাজিয়েছে অগ্নি মশাল ।

হুতুম পেচা গুলো আমারী শোকে 

কাটায় র্নিঘুম রাত্রি ।

কেদে কেদে হয় একাকার ,

কেউ যানেনা ,

 কেন আমার এ জেগে থাকা

রাতের পর রাত ।

রাতের দিপ্রহরে যখন নিস্তবদ্ধ পৃথিবী 

কোলাহল শূন্যতায় স্তব্ধ 

তখনী আমার চোখের কোনে 

বুনো হাসেরা ডানা মেলে উরে চলে 

সাই সাই কলতানে ।

আমি নিদ্রা ভেঙ্গে বসে থাকি।

রাতের অন্ধকারে মগডালে কাদে একটা নিসঙ্গ কুকিল 

ডেকে ডেকে কি যেন বলে যায় ।

কিছুই বুঝিনা, কেন এ করুন সুরে কান্নার আকুতি

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮

পাঁথর কাঁদে

শেখ শফিউল বাসার
----------------------------------

শুনেছি পাথর কাঁদে
কেন কাঁদে
কখনো তা বুঝিনি।

কালের বির্বতনে জমে থাকা
বেদনার বাতাস গুলো
ধূলোর স্তুপে আঘাত লেগে
বিক্ষত করে মন প্রান্তর।

বুনো বাতাসের বেশামাল উন্মাদনায়
ছিটকে পরা উল্কাপিন্ডের আগ্নিগিরি
বিদ্ধস্থ করে এপার সেপার।

চৈত্রের তাপদহনে দগ্ধ মাটির
বৈরি অবগাহনে বিমূর্ত ছবি
রুদ্ধ বাতায়নে পাল তুলে
বিহঙ্গের পথে পাড়ি জমায়।


আকাশের কান্নার শিক্ত জলে
বারি-বরষ বিদগ্ধ নগরীর লোনায়
নিরবে মূখ থুবরে কাঁদে
অসহায় অমীয় মায়ায়।


পাথরের কান্না দেখিনি
বুঝিনি মাঝ রাতে ভুমরে থেকে
নিরব আর্তনাদে ভাসে
দুঃখের ভেলায়।