শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮

পাঁথর কাঁদে

শেখ শফিউল বাসার
----------------------------------

শুনেছি পাথর কাঁদে
কেন কাঁদে
কখনো তা বুঝিনি।

কালের বির্বতনে জমে থাকা
বেদনার বাতাস গুলো
ধূলোর স্তুপে আঘাত লেগে
বিক্ষত করে মন প্রান্তর।

বুনো বাতাসের বেশামাল উন্মাদনায়
ছিটকে পরা উল্কাপিন্ডের আগ্নিগিরি
বিদ্ধস্থ করে এপার সেপার।

চৈত্রের তাপদহনে দগ্ধ মাটির
বৈরি অবগাহনে বিমূর্ত ছবি
রুদ্ধ বাতায়নে পাল তুলে
বিহঙ্গের পথে পাড়ি জমায়।


আকাশের কান্নার শিক্ত জলে
বারি-বরষ বিদগ্ধ নগরীর লোনায়
নিরবে মূখ থুবরে কাঁদে
অসহায় অমীয় মায়ায়।


পাথরের কান্না দেখিনি
বুঝিনি মাঝ রাতে ভুমরে থেকে
নিরব আর্তনাদে ভাসে
দুঃখের ভেলায়।

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

অন্তবাস

শেখ শফিউল বাসার
অহনিশি প্রতিদিন মাঝ রাতে ঘুম ভাংগে
বিছানায় ছটফট করে কাটে সময়।
কোন এক অদৃশ্যো সূতোর টান
বারংবার পিছুটানে।
কোন গগনের চূড়া হতে ভেসে আসা দুঃখ,
 দুঃখ বিলাশির কান্না হয়ে পড়ে
ক্লান্ত বুকের শিহরনে সুক্ষ ক্ষার হয়ে।

উপত্যেকার বুকে প্রবাহিত নিঃশব্ধ
বাতাসের আনাগোনা জালান দেয়
ভাংগা হৃদয়ের করুন আকুলতা।

যে হৃদয়ের পাজর বেয়ে ঝরে গেছে
 রক্ত স্রোত ধারার মলিন ক্রুর,
সে হৃদয়ের প্রান্তরে প্রজ্জলিত আগ্নিবিনার
করুন সুর।
তাপিত অন্তর রোদনের কার্নিশে
জমে আছে স্ফুলিঙ্গের করুন অন্তবাস।

সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

বালিকা বড় বেশী ভালোবাসী

শেখ শফিউল বাসার
---------------------------------------
হে বালিকা তুমি কি জানো
তোমার জন্য আমার হৃদয় পোড়ে
মন পোড়ে ধুপশিখার নিভু নিভু আগুনে।

মনের দীর্ঘ কোনের করিডোরে
বেদনার পালক চুপি সারে কান পেতে
শোনে হৃদয়ে অগ্নি দাহন।

রমনী তোমায় যে আমি ভালোবাসী
অতিবেশী ভালোবাসী।
হৃদয়ের তানপুড়াটা বেজে উঠে
ভালোবাসার  নীল কস্টের
এক ফালি মেঘ দীপ্ত আকাশের বুকে
বিষাদের তূর্য ছায়া।

প্রেমিকা,  তোমায় যে আমি ভালোবাসী।
হৃদয়ের সাতকাহন প্রান্তরে
একটা প্রদীপ জেলে তার আলোতে
নিজের গন্তব্য খুজেছি,
তুমি আমার হবে সেই সুখ
উন্মাদনার চাদরে জরিয়ে
সবুজ প্রান্তরের মাঠ, ফসলের জমি
নগ্ন পায়ে মুড়িয়েছি,
তুমি আমার হবে এই ভেবে শীতের রাতে
খোলা গায়ে নীল আকাশের বুকে
প্রেমময় সুখ স্বপ্নের উচ্ছলতায়
ঘুরে বেড়িয়েছি।

তুমি আমার হবে এই ভেবে
হৃদয়ের পাজরে একটা পুস্পসজ্জিত
বাশর গড়েছি। কাচা ফুলের উদ্ভাসিত গন্ধে
ছেয়ে গেছে লোকালয়, ফসলের মাঠ,কৃষকের জমি
সবুজ ঘাসের লোকালয় তেপান্তর।
বালিকা তোমায় যে আমি ভালোবাসী
বড় বেশি ভালোবাসী।

৩১/০৭/১৮
৬:১৫  মিনিট (সকাল)

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১৮

earth written

amr kicu bolar nei,,,,ami jani prithibite love bolte ekta jinis ace ja manuser niontroner baire,,,,
apni amk kotota like koren ta ami jani,,,, r ami jake like korbo se amk like korbe emn ta noy seo onno kaok like korte pare r etai hoy tai kicui korar thake na,,,
aoni apnar love k sikar na korleo somman kori,,,,tai ami chayecilam apnar sathy frdsp ta rakte bt vavir jonno ta hoyto r holo na,,,bt j kono dorkar e apni phn diben r amio dibo....r apnar dorkar e phn dile ami moteo birokto hobo na,,,

last ekta kotha boli jibone manus ja chay ta kokhono pay na,,,apnar moto aro onk e ace,,,,onk ei kostoe din katay,,,jai hok allah upor vorosa rakhen mon dia eibadot korben,, r namaj porben namaj mon k santi dey,,,,,

সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

শেষ চিঠি

কি বলবো,,  আমার কারনে আপনার জীবনটা কম্লিকেটেট হয়ে যাচ্ছে।আমি চাইনা আমার কারনে  আপনার কোন ক্ষতি হউক। কোনদিন চাইনি ভবিষ্যতে ও চাইবোনা।  আমার সবটুকু সাধ্য দিয়ে চেস্টা করবো, যাতে আপনি ভালো থাকেন। আপনার ভালো থাকার জন্য আমি সবটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী আছি।  আপনার যা ইচ্ছে বলতে/ করতে পারেন।তাতে আমার কোন ভিন্ন মত থাকবেনা।

যদি আমার সাথে যোগাযোগ না থাকলে আপনি ভালো থাকবেন,তাহলে আমার কোন আপত্তি নাই, আপনার ভালো থাকার জন্য আমি সব কিছু করতে   রাজি আছি।

আমি চাইনা আমার কারনে আপনার ক্ষতি হউক।
শত প্রতিকূলতার পরেও চেয়ে ছিলাম আপনার সাথে ফ্রেন্ডশিপ টা রাখতে।
সৃস্টিকর্তা ই হয়তো চায়না আপনার সাথে আমার যোগাযোগটা থাক।
সেখানে আমার বৃথা চেস্টা করে কি লাভ। নিয়তির দুয়ারে অসহায় এর মতো আর্তসর্মপন করা ছারা আর যে কিছু করার নেই।

আমার দুর্বিসহ জীবনের তালিকায় না হয়, আরো একটু বেশি কিছু যক্ত হলো। এটাকে নিয়তি বলে মেনে নিবো।

কি আর করার, আমি ভাগ্যর নির্মম পরিহাসের শিকার।আপনার সাথে যতই ফ্রেন্ডশিপ টা রক্ষা করতে চেয়েছি ফলাফল তার উল্টোই হয়েছে।  সব কিছুতেই নিজেকে এখন অলক্ষ্যে মনে হয়।

১৬ সালের জুন হতে ১৮ সালের জুন প্রর্যন্ত একটি দিন ভালো কাটেনি। আজ হতে না হয় আরো একটু খারাপ কাটবে।

আমার খুভ ইচ্ছে করতো আপনার সাথে  প্রান খুলে একটু কথা বলি। হাসি আনন্দে কিছুটা সময় কাটুক। তা দীর্ঘ ২ বছরেও হয়ে উঠেনি।
তাসনুবা হক আইডি হতে শুরু, আজও প্রর্যন্ত কোনদিন এক বারের বেশি কল করে বিরক্ত করিনি।
যখন খুভ বেশি কথা বলতে ইচ্ছে করতো তখন আপনার ফোন নাম্বারটি মোবাইলে চেপে সাথে সাথে কেটে দিয়েছি। তাও আপনাকে কল করিনি। তাসনুবা হক আইডি নিয়ে যখন আপনি আমাকে ভুল বুঝলেন, সেদিন আপনাকে আমি কল করেছিলাম কয়েকবার, সেদিন আপনি আমার ফোনটা রিসিভ করে বলেছিলেন, এর পরে যদি কল করেন তাহরে কথা বলার ধরনটাই পাল্টে যাবে। সেই হতে আর কোনদিন আপনাকে বিরক্ত করিনি। একটিবার এর বেশি কল করিনি।

আমি আপনাকে অনেক সন্মান করি। আপনি তা বোঝেন কিনা জানিনা। অনেক মানুষের সাথে মিশেছি, আপনার মতো কাউকে মনে হয়নি। সব দিক থেকে ভালো মনে হয়েছে, তাইতো এক ধরনের স্বর্নলতার মতো পরগাছা হয়ে আপনার পাশে থাকতে চেয়েছি।
স্বর্নলতার যেমন সিকড়ের অস্তিত্ব থাকেনা, আমার ক্ষেত্রে ও তাই।
আপনার সাথে বন্দুত্বটাও বন্ধুত্বের মতো ছিলোনা।
আমি সব যায়গাতেই বেমানান, ব্যার্থ। না   পারলাম  ঘর সামলাতে , না পারলাম বাহির। একুল ও কুল দুই কূল ই হারালাম।

আমার যা হবার তা হবে। আমি চাই আপনি ভালো থাকেন। আমার প্রতিটি দিন কাটে প্রচন্ড যন্ত্রনায়। দাম্পত্ব কলহের চেয়ে কঠিন কোন আগ্নিশিখা ত্রি ভূবনে নেই। এটা প্রতিটি মুহুর্ত জ্বালিয়ে মারে। আমার ভিতর পোড়ে অদুশ্য আগ্নেয় গিড়িতে।  বাহির পোড়ে কয়লার আগুনে।
দুই দিক হতে পুড়ে পুড়ে যখন সবটুকু পোড়া সম্পন্ন হবে, সেদিন অগ্নি দহনের প্রজ্বলিত অগ্নিবাতায়ন থেমে যাবে।  আমি হয়ে যাবো  স্থবির, শান্ত নির্জীব। স্বপ্নের আকুতি গুলো বাস্প হয়ে উড়ে যাবে আকাশের অদৃশ্য কোনায়। সমাপ্তি ঘটবে কোন এক ভুলে ভরা সমিকরনের।

আমি আবেগে প্লাবিত। চোখের কোনে  কিছু অশ্রু এসে জমেছে। অশ্রু গুলো আমার চেয়ে অতিবেশী আবেগি। আমি নিজে যেমন নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে, লুকোতে ব্যার্থ, অশ্রু গুলোও তার চেয়ে বেশি। অবস্য এটা ওদের দোষ ও নয়, দীর্ঘ সময়ের অভ্যাস। চাইলেইতো মানুষ সবটুকু বদলাতে পারেনা, নিজের বলে কিছু একটা রয়ে যায়। অতটুকুইতো মানুষের নিজস্ব অস্তিত্ব। নিজের অস্তিত্ব হারালে অবশিষ্ট কিছুই থাকেনা।

আমার নিজের বলতে এখন আর কিছুই নেই। সব কিছুই হারিয়ে গেছে। অবশিস্ট   যে স্বপ্ন টুকু ছিলো, তাকে সর্বশেষ সম্বল খরকুটোর মতো আগলে ধরে বাচতে চেয়ে ছিলাম। তা হয়তো আজ ফুরিয়ে গেলো। আমি হয়তো তাও হারিয়ে ফেল্লাম।
আপনার কাছে আমি কিছু না হলেও, আমার কাছে আপনি আমার পৃথিবী ছিলেন।
আজ মনে হচ্ছে, হয়তো এলিয়েন মতো ঘুরতে ঘুরতে নিজ গ্রহের বাহিরে ছিটকে পরে ভিন্ন কোন জন মানবহীন অন্ধকার গ্রহে পতিত হচ্ছি।


আমার বলার কিছু নেই। চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আপনি ভালো থাকেন, সুখে থাকেন, এটাই আমার কামনা থাকবে। হয়তো ভুলবনা মুনাজাতের শেষে তোমার জন্য দোয়া করতে, স্মৃতির আল্পনায় আকা ফ্রেমে বন্দী কিছু স্মৃতির সূতো মুছে দিতে। হয়তো প্রতিটি সেকেন্ড কারনে অকারনে  মনে পরবে। হয়তো আবেগী অনুভূতিগুলো বারেবারে পিছু ডাকবে। সব কথার শেষ আমিতো মানুষ।

যাইহোক আমিতো মানুষ। আমার দরজাটা আপনার জন্য সব সময় উন্মুক্ত থাকবে। ভালো থাকবেন, আল্লাহ আপনার সহায় হউন

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

হৃদয়ের অনন্ত গহিনে

শেখ শফিউল বাসার
-------------------------
একটা বিকেল
ফাল্গুনের মৃদু বাতাসে একলা পথে
আনমনে হেটে এসেছি
চেনা অচেনা অনেকটা পথ।

চেনা পথের বাঁকে তোমার স্মৃতির
অম্লান প্রহর গুলো ডেকে নিয়ে গিয়েছিল
সেই দিনের সেই স্মৃতির অনন্ত গহনে।


আনমনে তোমাকে ভেবেছিলাম
নিজের অজান্তে মনের মতো করে
খানিকটা সময়, তুমি আমার।

ঝড়া পাতার বুকে মর্মর শব্দের প্রতিধ্বনি
কানে কানে বলে গেলো
তুমি আমার নও।

আবছায়ার অন্ধকারে খুজেছি তোমায়
আধার রাতের রাত্রি গাহনে,
অসহায় হৃদয়ের আর্তনাদে
কতো কেঁদেছি, কতো অশ্রু ঝড়েছে
বুকের জমিনে।

আজো মনের করিডোরে তোমার ছায়া
উকি মারে,
তুমি অনেক দুরে তবুও মিশে আছো
হৃদয়ের অনন্ত গহিনে।