বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭

তুমি নেই

শেখ শফিউল বাসার
********************
শরতের শিশির শিক্ত ভোরে
নগ্ন পায়ে হেটে যাওয়া
দূর্বা ঘাসের অবারিত দিগন্তের
পথ বেয়ে হেটে চলা প্রস্থানে
মনের জমিনে দাগ কাটে
তুমি নেই।

শূন্যতার জীবনে তোমার স্পর্শের
অনুভূতির ছায়া গুলো মনের কোনে
কাড়া নেড়ে দিয়ে যায়,
তুমি নেই।

তুমিহীন মরুদহনে তাপিষ্ঠ
ক্লান্ত পথিকের নিরুদ্দেশ পদযাত্রার
সীমাহীন পথের অতৃপ্ত বিলাশ
স্মরন করিয়ে দেয়
তুমি নেই।

কুয়াশার চাদর বিছানো পথে
অজস্র শিশির বিন্দু চোখের কোনে জমে
ঝড়ায় অশ্রু মিছিল।



সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭

অশ্রু জ্বলে করেছি প্রকাশ

শেখ শফিউল বাসার

অনেক কথাই হয়নী  বলা
চোখের জ্বলে আর কান্নার নির্বাক নিথরতায়
 করেছি তার প্রকাশ।
দুচোখে অঝরে কান্নার প্রতিটি অশ্রু বিন্দু
মনের কোনে অপ্রকাশিত বর্নের শব্দ গুলো
বেরিয়ে এসেছে কান্নার লোনা জ্বলে।

কতো দিনের কতো কথার
অপ্রকাশিত বর্নের কতো সমাচার
পাথড় করেছে বুকের জমিন।

কোন কথাই অপ্রকাশিত ছিলোনা
কান্নার ঝর্না জোড়ায়ে বেরিয়ে এসেছে সবটুকু
শব্দ চয়নের যবনিকা।

নিরব কান্না যে অস্তমিত সূর্যের মতো
ডুবে যায় অদেখা তেপান্তরের
নির্জন গহিনে,
নিরবতায় করে তার সমস্ত প্রকাশ।

তেমনি কান্নার জ্বলে নিথর দেহে
অশ্রু প্লাবনে করেছি হৃদয়ের সবটুকু প্রকাশ।

নিস্ফল কান্না

শেখ শফিউল বাসার

তোমার জন্য অশ্রু ঝড়ানো
নিদারুন অথর্ব শব্দ ছারা কিছুই নয়।
যে কান্নার মাঝে বেদনার অশ্রু ঝড়ে
প্রবাহিত হয় বুকের জমিনে
তার অর্থ তুমি কি বোঝ,
কখন একটা মানুষ কাঁদে।

চাইলেই কি মানুষ কাঁদতে পারে,
নিদারুন সময়ের সমস্টি যখন
কস্টের বান ডেকে নিয়ে যায় বেদনার প্রসবনে,
তখনি কম্পিত হৃদয়ের ঝর্না ধারা
অশ্রুর প্রলয় হয়ে ভিজিয়ে সব
অদেখা সমাচার।

নিস্ফল স্বপ্নের গন্তব্যেহীন প্রস্থানে
যেখানে আবেগী কান্নার ব্যার্থ অশ্রু গুলো
শূন্য শিরোনামে ঝড়ে পরে।
সেখানে বিদির্ন্য  আলেয়ার পথে
অনর্থক হাটা মরু শ্বশানে জ্বল খোজার ন্যায়
ব্যার্থ উপসংহার এর অনর্থক যবনিকা।

হৃদয় পোড়া ছাঁই

শেখ শফিউল বাসার

হৃদয়ের  তম্রপটে আচমকা একটা ঝড়
বিদ্ধস্থ করে দিয়েছে বুকের পাজর,
ঝড়ের তিব্রতায় পাজর ভেংঙ্গে
রক্তাক্ত করেছে মনের জমিন।

ভাংঙ্গা হৃদয়ের কার্নিশে জমে আছে
হৃদয় পোড়া ছাইয়ের উত্তাল উল্লাশ,
বেদনার বাতাসে উৎফুল্ল কস্ট
সাজায় কস্টের আরতি।

হৃদয়ের রক্তক্ষরণে রক্তশিক্ত
ভিতর বাহির
চাপা আর্তনাদের গগন বিদ্ধংশী  সুর
বেদনার দাবানল জালিয়ে
পুড়িয়ে করে ছারখার।

চারদিকে কস্টের প্রতিধ্বনী
জ্বালান দেয়,
এখন আমার নিদারুন সময়
কস্টের ছায়া মেঘ গুলো
অশ্রু ঝড় হয়ে, ঝড়ে পড়ে
বুকের পড়ে।





বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

একাকি জীবনের প্রস্থানে

শেখ শফিউল বাসার
-------------------------------

বৃস্টিস্নাত দিন
গুড়ি বৃস্টির এলোমেলো উড়ে উড়ি
ভিজিয়ে দেয় মাথার অগোছালো চুলের
সবটুকু সমাচার।

পাহাড় বেষ্টিত উচু টিলার উপরে
পাকা দালানের একপাশে দাড়িয়ে
যতদুর দৃস্টি যায়, খালি পাহাড় আর পাহাড়।
উচু টিলার কার্নিশে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে
প্রকৃতির রুপকন্যা।

পাখিদের কলরব কিচিরমিচির সমারোহে
উত্তাল প্রকৃতির মাঝে কি যেন এক বিসন্নতা
মনের কোনে দাগ কাটে, কারো ছায়া
কারো মায়া হৃদয়ের তানপুড়ায়
কাড়া নাড়ে।

তুমি নেই কিছু নেই, শূন্যতার বনস্প্রতির
অন্তরালে মেঘেদের ছায়াকাব্য
বারে বারে জ্বালান দেয়
তুমিহীন বেদনার প্রসবনে
কস্টের দাবানল গুলো মনে করিয়ে দেয়
আমি ভালো নেই।

তুমিহীন রিক্ততার পথে
দিশেহারা জীবনের গন্তব্যে
ভাসিয়ে নিয়ে যায় একাকি জীবনের প্রস্থানে।

মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭

এ কেমন প্রেম

শেখ শফিউল বাসার

তুমি আজ কতো দুরে
অসময়ের রুদ্ধতায়  পাশে নেই,
একটু শান্তনার  দেবার মতো
কেউ নেই।

বাস্তবতার তিক্ত গ্লানি বুকে চেপে
নির্বাক চোখে ঝড়ে অশ্রু প্লাবন।
এখনো নিরব কান্নার বোবা অাত্ননাদ
হৃদয়ের তানপুড়ায়  কাড়ানাড়ে।

বিরহ বেদনে বিহবল হয়ে
লুটিয়ে পড়ি মাটির বুকে
তাপিত মাটির সুস্ক ক্ষরা জালিয়ে দেয়
হৃদয়ের অন্তক্ষরা।

যাতনাময় বেদনানাশি পোড়ায়
ভিতরের সবটুকু আস্ফালন,
অগ্নিপ্লাবনে দগ্ধ হৃদয়ের বিমূর্ত ছবি
ভাসে হৃদয়ের ছায়া তটে।

বেদনার বনে মাথা ঠুকে
লোনা জ্বলে স্নান করে হই
বেদনা শিক্ত দহন দাহনে।

সে যে আমার, আমার নয়
হারিয়ে গেছে মৃদু বাতাসের
হাল্কা প্রলয়ে। তাকে ছারা জীবন
বেদনার কুন্ঠ বনে নেতিয়া যাওয়া
শূন্যতার শূন্য পরিনামে অস্তিত্ব লুটায় ধূলোয়।

আমি তোমাকে ভালোবাসী
বড় বেশি ভালোবাসী,
নিশাচর রাত্রিতে জেগে
অশ্রু ঝরে হৃদয়ের কার্নিশে
অশ্রু জলে  শিক্ত হৃদয়ের ব্যালকুনি।

আজ আমার কেউ নেই, কিছু নেই
শুধু শূন্যতার প্রতিচ্ছবি হৃদয় তটে
দহন জ্বালে।

এমন কেমন প্রেম
যেখানে বেদনার সূতো গুলো
কস্টের জ্বাল বুনে ঘিরে রাখে চারদিক।



পৃথিবীর চোখে

শেখ শফিউল বাসার

পৃথিবীর চোখে আমি পৃথিবীটাকে 
দেখতে চেয়েছিলাম
তার চোখের আলোর দ্রুতিতে
পদ্মবিলাশের অন্ধকার পথে
চলতে চেয়েছি সমস্ত পথ।

আমার অস্তিত্বের সবটুকু
তার মাঝে লুটিয়ে
নিজেকে করেছিলাম সর্ব শূন্য।

নিজের বলতে কিছুই অবশিষ্ট ছিলোনা
আজ ও নেই,
আজো আমার সব কিছুই তাকে ঘিরে,
রাতের স্বপ্নের বিভোরতায়, অদেখা মায়ায়
ছিলো তার অবাধ বিচরন।

নিজের বলতে কিছুই রাখিনি
রাখিনি মনের খেয়ালে একবিন্দু,
বিন্দু বির্সগের ছোয়া।

সময়ের ব্যবধানে মনের কোনে
এখনো বিদ্যমান সেই ভালোবাসার স্বর্গ,
কিন্তু যাকে ঘিরে আমার সব ছিলো
সে এখন অপলক প্রহরে দূর অজানায়।








সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

ভালো আছি বলবোনা

শেখ শফিউল বাসার
-------------------------------------

ভালো আছি বলবোনা
শান্তনার বানি উড়িয়ে কি হবে,
বাস্তবতা যখনে সময়ের বিরুদ্ধ চারন করে
সেখানে ভালো থাকার বিষয়টা অর্থশূন্য।
অসময়ের অাস্ফালনে ক্লান্ত সময়ের সারথী গুলো
বেদনার বিন বাজিয়ে জালান দেয়
আমি ভালো নেই।

চারদিকে অন্ধকারের হাতছানি কেবলি ডেকে
নিয়ে যায় কর্কশ সময়ের  শব্দ চয়নের যবনিকায়,
এভাবে কতোটা ভালো থাকা যায়
যেখানে ভালো থাকার শব্দটাই
অভিধানের পাতা থেকে হারিয়ে গেছে।

ভালো আছি বলবোনা
ভালো থাকার সমিকরনটাও
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে শয্যাসায়ী
মুমূর্ষ আইসিইউতে নিবির অবহেলায়। 

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭

শূন্যতার শিরোনামে

শেখ শফিউল বাসার
------------------------------

নির্ঘুম রাত্রিতে
আকাশের তারা গুনে
রাত্রি পার করা
কতোটা যে দুর্বিসহ
জীবনের অস্থির চিত্র
বলে বুঝানোটা বড় দুস্কর।

সময়ের দোল খেলায়
নিশাচর রাত্রির পেচা হয়ে
বসে থাকা হিজলের মগ ডালে,
গুনে গুনে রাত্রি পাড় কতো যে যাতনার
ভুক্তভূগি ছারা কেউ কি বুঝে।

জীবনটা এমন কেন
বেদনার ছায়া গুলো
বুকের জমিনে বাধে ঘড়
ঠুনকো তুলোর মতো
বিন্দু বিন্দু করে উড়ে যায়
অদৃশ্য নিলায়।

কার আশায় কার প্রতিক্ষায়
এ জীবনের গন্তব্য বেদনার বালুচরে,
কস্ট দাবানলের খড় কুটোয়
জ্বলে জ্বলে দগ্ধ।

কি পেলাম শূন্যতার শিরোনামে
বেদনার কুড়ে ঘড়ে মাথা রেখে
বোবা কান্নার অশ্রু প্লাবিত নয়নে
কাটে সবটুকু সময়।

কেউ নেই কিছুই নেই
চারদিকে কেবলি হাহাকার
বুক ফাটা হৃদয় বিয়োগী
আত্নচিৎকার
 করে স্তব্ধ বুকের জমিন।

শূন্য পরিনামের খেয়াঘাটে
আমি এক নির্বাক যাত্রী
কালের খেয়ায় মিশে যাবো
অন্ধকার নিলায়।


বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

কোথাও কেউ নেই

শেখ শফিউল বাসার
-------------------------------

কস্টের সময়টায়
তোমাকে খুভ বেশি  প্রয়োজন ছিলো,
শান্তনার আঁচলে ঢেকে রাখবে
নিদারুন সঙ্গতায়।

দিন শেষে ফিরে পাবো তোমার নীড়ে
নিরাপদ অাশ্রয়,
খুজে নিবো সুখের ঠিকানা
আদম্য নিলায়।

কিন্ত বাস্তবতা তা নয়
দুঃখের সময় কেউ পাশে নেই
চারদিকে একাকিত্বের করুন
নিদারুন নিসঙ্গতা।

অন্তর অনলে হৃদয় পুড়ে
ধোয়ায় ঢেকে  বিবেকের চোখ,
শূন্যতার জালে লুটোপুটি খায়
জীবনের মায়া।

কোথাও কেউ নেই
নিরাশার চাদরে জরিয়ে
ধুকে মরি অন্ধকার অরন্যে।

ধুপশিখা জ্বলে
ক্ষয়ে যায় হৃদয়ের বিহ্নিল তেপান্তর।

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

বেদনার পাহাড়

শেখ শফিউল বাসার
---------------
রিক্ততার অনলে পুড়ে যাওয়া হৃদয়ের ক্ষতটা
এখনো প্রজ্বলিত অগ্নি দহনে নির্মজিত।
বেদনার এ্যালবামে জমা স্মৃতির ছবি গুলো
কস্টের বেড়াজালে আবৃত।
চারদিকে শুধু শূন্যতা আর
হৃদয় পোড়ানো অন্তর বেদনার আহাজারি।

স্মৃতির বাগানের বৃক্ষগুলো অন্তসার শূন্য
নিস্প্রান জীবনের অন্তহীন উপাখ্যান।
পদ পিষ্টে নিস্পেশিত ঝড়া পাতার
করুন আকুতির অদেখা সমাচার।

কোথাও কেউ নেই
চারদিকে শূন্যতার হাহাকার
হৃদ প্রলয়ে অদেখা তুফান
ভাঙ্গে বুকের পাজর,
রিক্ততার খেলা ঘরে নিরবে সয়ে যাওয়া
এক বেদনার পাহাড়

রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭

শূন্যতার প্রতিচ্ছবি

শেখ শফিউল বাসার

বাস্তবতার অন্তরালে লুকিয়ে কাঁদা ছারা
এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
রাতজাগা রাতের শেষ প্রহরে
যখন নিশাচর হুতুম পেচা ক্লান্ত হয়ে
মাথা নোয়ায় বৃক্ষ শাখে,
তখন রাত্রির আকাশে অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে
খুজি কারো ছায়া মূখ।
নিরাশার বুকে তাকিয়ে
বোবা কান্নায় তখন বিদ্যমান সময়ের সমাচার।

চারদিকে শূন্যতার প্রতিচ্ছবি
সর্বহারা জীবনের গন্তব্যের পালক মেলে
বেদনার প্রকোস্ট কস্টের মায়াজাল
বিদির্ন্য করে অন্তর বৃত্ত।

অদৃস্টের বুক জুড়ে কেবলি বেদনার ছড়াছড়ি
অসময়ের সারথী গুলো বেদনার দেয়ালে
মাথা খুটে ভুমরে কাঁদে নিরাশার বনে।

অপ্রকাশিত  বর্নের করুন আকুতি
কাদায় হৃদয়ের বহ্নিল তেপান্তর।
চারদিকে শুধু শূন্যতার মিছিল
জালিয়ে পুড়িয়ে করে একাকার।

নিঃশ্বতার দাবানলে পুড়ে
বোবা কান্নায় অস্তমিত জীবনের গন্তব্য
শূন্যতার মায়া ঘেরা অঢেল দুপুরে
নিমজ্বিত কান্নার অশ্রু ধারা
ভাসায় হৃদয়ের সবটুকু।


শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

কতো কথা হয়নি বলা

শেখ শফিউল বাসার


তোমাকে অনেক কথাই বলা হয়নি
চুপসে যাওয়া মনের কোনে
জমে থাকা কথার বর্নগুলো পাথরের বুকে
মুখ থুবরে পরে আছে।

ভাংঙ্গা কাচের মতো গুড়িয়ে গেছে
অপ্রকাশিত বর্নের অঢেল সমাচার,
নিশিরাতের নেশাচর গুলো
চোখের ক্লান্তি ভুলে তাকিয়ে
নিদারুণ প্রতিক্ষায়।

কতো দিনের কতো সমস্টির মায়ার বাঁধন
থমকে গেছে পথের বাকে নির্জনতার
অন্ধকার গহিনে।

সময়তো চলে যায়
 স্মৃতির পালংঙ্কে জমে থাকা
বেদনার ছবি  গুলো ধুপ শিখার মতো
নিরবে নির্ভিতে কাঁদে।

কতো কথা হয়নি বলা
জমে থাকা মনের কার্নিশে এক ফালি
নীল কস্টের চাদর
আবৃত করেছে অন্তরের অদৃশ্য প্রান্তর।

কতো কথা হয়নি বলা

শেখ শফিউল বাসার


তোমাকে অনেক কথাই বলা হয়নি
চুপসে যাওয়া মনের কোনে
জমে থাকা কথার বর্নগুলো পাথরের বুকে
মুখ থুবরে পরে আছে।

ভাংঙ্গা কাচের মতো গুড়িয়ে গেছে
অপ্রকাশিত বর্নের অঢেল সমাচার,
নিশিরাতের নেশাচর গুলো
চোখের ক্লান্তি ভুলে তাকিয়ে
নিদারুণ প্রতিক্ষায়।

কতো দিনের কতো সমস্টির মায়ার বাঁধন
থমকে গেছে পথের বাকে নির্জনতার
অন্ধকার গহিনে।

সময়তো চলে যায়
 স্মৃতির পালংঙ্কে জমে থাকা
বেদনার ছবি  গুলো ধুপ শিখার মতো
নিরবে নির্ভিতে কাঁদে।

কতো কথা হয়নি বলা
জমে থাকা মনের কার্নিশে এক ফালি
নীল কস্টের চাদর
আবৃত করেছে অন্তরের অদৃশ্য প্রান্তর।








সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

একটু স্মৃতি দিবে


শেখ শফিউল বাসার
-----------------------------------

আমাকে একটা রং তুলি কিনে দিবে
যে তুলির প্রতিটি আচরে আকবো
তোমার অবয়ব প্রকৃতি বহ্নিল ছায়া।
 রং তুলির আচরে ফুটিয়ে তুলবো
স্মৃতিময় জীবনের চিরন্তন প্রকাশ।

আমাকে একটা কলম কিনে দিবে
যে কলমের প্রতিটি ছোয়ায়
তোমাকে নিয়ে লিখবো হাজারো উপাখ্যান
গল্পময় জীবনের অপ্রকাশিত সমাচার।

আমাকে একটা ডায়েরি কিনে দিবে
যার প্রতিটি শূন্য লাইনে লিখে রাখবো
জীবন নাটকের সমস্ত শিরোনাম।

আমাকে একটা ভায়োলিন কিনে দিবে
যার করুন সুরের মূর্ছনায়
হারিয়ে যাবো অদৃশ্য তেপান্তরে,
লুকায়িত বেদনার নীল দুপুরে।

আমাকে একটা সূতো কিনে দিবে
যে সূতো জালিয়ে তোমায় করবো আলোকিত
অবশেষে আমি হবো নিঃশ্বেষ।

আমাকে একটা স্মৃতি একে দিবে
যার কল্পলোকে খুজে নিবো তোমায়
পথহারা পথের বাকে নিস্প্রান প্রয়াসে
যেখানে তোমার আদি অনন্ত।

শূন্যতার খেয়া পাড়ে রিক্ততার উপাখ্যানে
যেখানে সবটুকুই নিথর দেহের
শূন্য উপন্যাস।
আমাকে একটু স্মৃতি দিবে।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শব্দ গাহন

শেখ শফিউল বাসার
-----------------
প্রকৃতির শূন্যতার বনস্প্রতির অন্তরালে
ছায়া কাব্যর নীল চাদোয়ায়
লুকায়িত শব্দের গহন প্রান্তরে,
কোন তরঙ্গের নিলিমায় ঝাপসানো রংয়ের
ধূসর বলাকার নির্মল প্রতিচ্ছবি।

তিক্ততার ছায়া পথ মারিয়ে
ঘুরে দাড়ানো বাস্ততবতার সম্মূখ প্রান্তরে
উড়ে যাওয়া বলাকার বহ্নিল ডানার
একরাশ শব্দ গাহন।

তেপান্তরের বিদগ্ধ অন্তর পোড়া অগ্নিপ্লাবনের
নিশ্চুপ মরুভূমির বিষাদময় ধূলিকনার
অগ্নিদহনে প্রজ্বলিত দিপ্তকরন,
পোড়ায় হৃদয়ের অদৃশ্য প্রান্তর।

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

স্মৃতির করিডোর

শেখ শফিউল বাসার
---------------------------------------------
খুভ মনে পরে তোমায়
সমুদ্রের নীল জ্বলে পা রেখে
হারিয়ে যাওয়া মুক্ত বাতায়নের সুর মূর্ছনায়।
সারি সারি ঝাউ এর বাগানে
খোলা চুলে দাড়িয়ে মুক্ত ঝড়া হাসির প্লাবনে
ভাসিয়ে নিয়ে গেছো কত শত ক্রোশ দুরে।

স্মৃতির এ্যালবামে জমানো শব্দের গহন
বাজিয়ে নিয়ে যায় তোমার প্রান্তে।
নিরব নিথরতার বর্নিল মায়া
পিছু টানে কোন মায়ামোহ মায়াময়তার
উচ্ছল ছায়া বৃত্তের তেপান্তরে  ।

কতো দিন, কতো সময়
দেখিনি তোমার হাসির ঝলক,
হারিয়ে যাইনি দিব্যি দিবালকের
দিবা স্বপ্নের প্রস্থানে গগন বিদগ্ধ নগরীর
নেশাচর পরিনামে  ।

হাসির সুর ছন্দের রুপালী কিরনের
সেই প্রখরতা পিছু টেনে নিয়ে যায়
বিরহ বেদনার তিক্ত বহ্নিল প্রান্তরে।

বিদ্ধস্থ পরিনামের নিয়তির সূতো
আবদ্ধ করেছে হৃদয়ের পিঞ্জর,
আমি আজ একা বড় একা
সমুদ্রের নীল জ্বলে অশ্রু প্লাবনে স্নান করে
নিয়তির দুয়ারে মাথা ঠুকে
খুজি সেই সময় সেই স্মৃতির করিডোর।


সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

রিক্ত কংকাল


শেখ শফিউল বাসার
-------------------------------

পুস্পের অনলে বিভিষিকাময় জীবনের প্রতিচ্ছবি
পুস্প কাননের পদ প্রলয়ে মাথা খুড়ে
পুস্প রোদনে আবৃত জীবনের সমাচারে।
কি পেলাম,  কি হারালাম
শূন্য অংকের পাতা ভরে।
রিক্ততার অনলে ছায়া পথের
প্রান্তরে মূখ লুটিয়ে অশ্রু প্লাবনে কেঁদে মরে।

সময়ের প্রতিচ্ছবি অামানিশা অন্ধকারের বুকে
 নিরবে নিভিতে মুখ লুকিয়ে কাঁদে,
বোবা কান্নার শ্বাসরুদ্ধ পরিনতির
দিব্যি চলা সময়ের প্রস্থানের এক বালক,
নিরাশার চাদরে মাথা ঠুকে  আবদ্ধ জীবনের গতিপথে,
নিষ্ঠুর নিয়তির অগ্নিদহনে, তাপিত অনলের প্রকোস্ট বায়ে প্রজ্বলিত হৃদয়ের ঝলসানো চিত্তে
সময়ের সারথীর ছায়া মূখের নিরাকার হাসির দীপ্তকরণ
হৃদয়ের তানপুড়ে কাড়া নাড়ে।
কি পেলাম!  কি হারালাম।
শূন্য পরিনামের নিস্ফল পালংঙ্কে মাথা রেখে
রুদ্ধ হৃদয়ের জবনিকা টেনে
স্মৃতির দুয়ারে খোজে  ক্ষয়ে যাওয়া আত্ব হৃদয়ের
রিক্ত কংকাল।

সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭

অদৃশ্য শিরোনামে

শেখ শফিউল  বাসার
---------------------------

শেষ রাতের স্বপ্নের ঠিকানায়,
ভুলো মনের অজান্তে মনে হয় তুমি আমার,
হাত বাড়ানো হাতের পাজরে
 তোমার স্পর্শের ছোয়া
অদৃশ্যে তেপান্তরের  ঠিকানায় গন্তব্য মিলায়।

ভুলো মনের স্বপ্ন
নিল মেঘের অন্তরালে খুজে নেয়
স্বপ্ন সারথীর উজ্জল মূখ।

বিভোরতায় কেটে যাওয়া ছায়া মেঘের অন্তরালে
প্রজ্বলিত তোমার স্মৃতির কলতান
মনের সুক্ষ কোনে বিষাদের ঢেউ তুলে
ভাষিয়ে নেয় বেদনার কুঞ্জবনে।

তুমিহীন বিষাদের ধুপ ছায়া গুলো
বুকের পাজরে পুড়ে
বিক্ষত হৃদয়ের অন্তমূর্তে
জালান দেয় তুমি আমার নও।

বেদনার প্রসবনে মাথা কুটে
অশ্রুপ্লাবিত নয়নের তানে
অর্ধমৃত ল্যাম্পপোস্টের মতো বির্বন্য সমাচরে
মাথা খুটি অদৃশ্য শিরোনামে।

বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আজ তোমার জন্মদিনে

শেখ শফিউল বাসার

আজ তোমার জন্মদিনে
পুস্পসমাহারিত নিকুঞ্জের পসরা সাজানো
বিমোহিত সৌরভের ছন্দে
পূর্ন্য আনন্দ অবলিলায়
পরিপূর্নতায় ছুয়ে যাক সব টুকু সুখ।

মুক্ত বিকন্ঠে অানন্দ অভিষারে
কুকিলের কুহুতান সুরের মূর্ছনায়
অানন্দ ঝংকারে কাটুক
সবটুকু সময়।

এক পৃথিবীর সুখের সমিকরণের
প্রবাহিত  আনন্দ প্লাবন
ফুলের সৌরভ হয়ে
ভাসিয়ে দিবে অনন্ত জীবন।

আজ তোমার জন্মদিনে
অসংখ্য প্রিয় বেলী ফুলের মালা
সুখের পূর্নিমা হয়ে ভেসে উঠুক
জীবন প্রান্তের গগন মিলায়।

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

ছায়া কাব্য

শেখ শফিউল বাসার

এলোমেলো স্মৃতির দুয়ারে বিলুপ্ত বনস্পতির.......!!!
আধো মেঘ, আধো অন্ধকারের লুটোপুটি
সর্বহারা সময়ের অসমাপ্ত নির্নিমেষ
বেদনার চিরকুটে  লিপিবদ্ধ সময়ের সারথীর
এক ঝলক বেদনার আটপৌড়ে
বিদ্ধস্থ পায়রার ঝড়া পালকের সমাচার।

ইতিবৃত্বের ছায়া কাব্যর অঢেল দুপুরে
প্রবাহিত  বলাকার নিস্ফল ডানায়
গন্তব্যহীন শিরোনামের অচল পালংঙ্কে
পসরা সাজানো নীল কস্টের করিডোরে
নিক্ষিপ্ত বেদনার অবয়বের প্রস্থানে
মাথা ঠুকে অসহায় আর্তনাদের নীল মেঘ।

চরাচরময় বাস্তবতার বির্বন্য বিক্ষিপ্ত রুপের
অসনী প্রহারের অষ্টপ্রহর সংকালনের বির্মূর্ত
নিষ্ঠুরতার শঙ্খচিলের বিক্ষিপ্ত থাবায়
রক্তাক্ত অন্তর চিত্রের অদেখা অাস্ফালন

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭

নেশাচর

শেখ শফিউল বাসার

নির্ঘুম রাত্রীর দরজায় মাথা কুটে
ক্লান্ত হয়ে বসে থাকি
হারাবো বলে নিদ্রা দেবীর কোলে,

শূণ্যতার ছায়া মেঘ গুলো
ভাসিয়ে নিয়ে যায় রিক্ত বেদনার
অশান্ত নীড়ে।

জোনাকির গান শুনে একাকি
অপলক দৃস্টে তাকিয়ে থাকি
কারো প্রতিক্ষায়।

তুমি আসবে বলে,
একটি বিন্দুও দু চোখের পাপড়ি যুক্ত করিনা,
যদি তোমাকে না দেখি,
যদি তুমি এসে চলে যাও।

আমি আজ নেশাচর
রাত বেড়াতের পিনপতন নিরবতায়
খুজি জীবনের গন্তব্য।

তোমার জন্য অপলক দৃস্টির পসরা সাজিয়ে মনের করিডোরে বেদনার পাল তুলে তাকিয়ে থাকি

শূন্য পৃথিবীর

শেখ শফিউল বাসার

অপেক্ষিত দৃস্টির নিশাচর পরিনাম
রাত্রি কাননের শিশিরধৌত শিশিরকণা
 মনের আটপৌড়ে
 এক বিন্দু জল ছবি আঁকে।

উদ্ভাসীত পৃথিবীর অজস্র পরিনাম
মনের ব্যালকুনিতে নিঃশব্দে কড়া নাড়ে,
প্রকৃতিও জালান দেয় শূন্যতার বনস্প্রতির
মেঘমালার অস্পষ্ট দিকবেদিক শিরোনামের
নিস্ফল পরিনতির অসম পালকের
নিদারুন সমাচার।

রুদ্ধতার ভেলাভরে সাজায় তিমির রাত্রীর
অর্ধপায়ে দাড়ায়ে থাকা মৃতপ্রায় ল্যাম্পপোস্টের
নিভু  আলোক বর্তিকার বহৃিল সমাহার।

শূন্য পৃথিবীর অস্তমিত আলোয়
নিলাচল কাব্যর বৈরিতার নির্নিমেষ
দিবাচলে নিক্ষিপ্ত অষ্টপ্রহর
বেদনার ব্যালকুনিতে পসরা সাজায়।