শেখ শফিউল বাসার
বন্ধু তোর সাথে ছোট্রবেলায় এক সাথে
বেড়ে উঠিনী, কাঁদা মাখা জ্বলে
লুটোপুটি খেয়ে, করেনী সারা দেহ
ধূলিময় কর্দমাক্ত।ঘন্টার পর ঘন্টার
বদ্ধ পুকুরের জ্বলে স্নান করে
বাড়ী ফিরে মায়ের হাতের চিকন কুঞ্জির
পিটুনিতে চামরা ফেটে লাল বা নীল
বর্ন ধারন করেনী,
বা মায়ের বকুনি সাথে
ভয়ে দৌড়ে পালাইনী।
তোর সাথে সম্পর্কটা পরিনত বয়সে
যখন সময় আর বাস্তবতার চাপে
মানুষ গুলো যান্ত্রিক রোবটের মতো ছোটে,
তেমনি একটা সময় তুই এলি
আমার জীবনে বন্ধু হয়ে।
যখন বিশ্বাসী মানুষগুলো
কাঠের চশমায় একে একে সকলে
নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করলো,
বিশ্বাস করার মতো যখন
একজন ব্যক্তি ও ছিলনা,
চারদিকে যখন তপ্ত হাহাকার
সকলে সুযোগ খোজে উদ্দেশ্য হাচিল করার,
এমনি দুঃসময় যখন বন্ধুত্বের খরা চলছিলো
তখনী আকাশ ভেদে বৃস্টির জলের মতো
তুই এসে সামনে দাড়ালী।
একটু একটু করে, হৃদয়ের সবটুক জুরে
তোর ছবি একে দিলি,
তোকে পেয়ে অামার
বদলে যাওয়া পথিবীর বুকে একটা
নতুন জন্ম নেওয়া প্রান ফিরে এলো।
তুই হয়ে গেলি আমার
হৃদয় ছুয়ে যাওয়া, চির প্রিয় বন্ধু,
তোকে নিয়ে কতোটা পথ চলেছি
নিজের মনের সব কিছুই এক এক করে
বিন্দু বিন্দু তোর কাছে প্রকাশ করেছি।
আমার কোন কিছুই তোর
অজানা নয়। ছোট্রবেলা হতে
বেড়ে উঠার প্রতিটি বর্নই তোকে বলেছি।
জানামতে সুস্থ মস্তিস্কে তোর সাথে
একটি মিথ্যাও বলিনী।
পৃথিবীতে তুই একজন
যে আমার প্রতিটা বিন্দু বিন্দু যানে,
যার মধ্যে মিথ্যের কোন স্পর্শ নেই।
পথ চলার প্রতিটা মুহুর্তে
সর্বোচ বিশ্বস্ততার সহিত
তোর পাশেই অবস্থান করেছি।
বন্ধু তোকে যে হৃদয়ে ধারন করেছি
হয়তো দুজনের দৈহিক অববয়ে পার্থক্যযুক্ত,
মনের সম্পর্কটা এক অভিন্ন বলেই
সদা সর্বদা মনের গভীরে লালন করেছি।
তোর একটু আঘাতে নিজেও যে,
সম ব্যাথা পেয়েছি।প্রতিটি কস্টের
বিন্দু বিন্দু সম মনের পিঞ্জরে
কস্টের দাবানল বানিয়ে
তোর কস্টের তীব্রতা অনুধাবন করেছি।
তোর খুশিতে আনন্দে আহ্লাদে
একাকার হয়ে শূন্যে ভেসেছি।
তুই তো আমার সেই বন্ধু
যাকে নিজের আত্ত্বার অভিন্ন সত্তা ভেবেই
হৃদয়ের হৃদয় সিংহাসনে বসিয়ে
প্রচেস্টার সবটুকু উজার করে ভালোবেসেছি।
তোর চোখে পৃথিবী দেখেছি
পৃথিবীর অালো বাতাস স্বাধ গন্ধ
সব কিছুই তোর দৃস্টির
পলক তুলে, অপলক চোখে
তাকিয়ে দেখেছি।
তুই যে আমার বন্ধু
পৃথিবীর সমস্ত সম্পর্কের উদ্ধে যার অবস্থান
যাকে বলা যায় সমস্ত সুখ দুঃখ
ভাগ করে নেওয়া যায় সবটুকু।
তুই যে আমার আত্ত্বার
এক অভিন্ন মন মেশিনে ছাপানো
হৃদয়ের ফটোকপি।
সেবার তুই যখন রাগ,অভিমান করেছিলি
তখন আমার পৃথিবীর আকাশে একটা
চিনের দেয়ালের মতো দেয়াল,
সম্পর্কের মধ্য সিমায় অবস্থান করে
থমকে দিয়েছিলো আমার পৃথিবী,
আমি তোর সঙ্গতার অর্বতমানে
জিন্ন শিন্ন গিরগিটির মতো
সমস্ত দেহ শক্তি হারিয়ে
বুকে ভর করেও পদ চলতে পারিনি,
বুকের পাজরটা যে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত
বিদ্ধস্থ হয়ে, রক্ত প্লাবনে
ভাসিয়ে দিয়েছিলো
বুকের তপ্ত ভূমি।
তুই যখন কিছুতেই আমাকে
একটিবার বুঝতে চেস্টা করছিলিনা তখন
এই আমি ধুকরে ধুকরে কস্ট পেয়ে
অসহায় এর মতো দিন গুনেছি,
তুই ফিরে আসবি বলে,
যেই আমি কোনদিন একটি সিগারেট
দুই আঙ্গুলের ভাজে এটে দেখিনী
কিভাবে দুই আঙ্গুলের ভাজে সোভা পায়।
সেই আমি চুরটের ধোয়ায়
একাকার করে দিয়েছিলাম
কলিজা হতে ফুসফুসীয়।
নিসিক্ত জলের উন্মাদনায় কাটিয়েছি
গননাহীন কতোগুলো দিন।
দিন রাত্রীর বৈরি যোগসূত্রীতায়
কেটেছে আমার অনেকগুলো দিন,
তোকে ছারা আমার পৃথিবীর আবৃত
চার দেয়ালে বন্দী ইট পাথর গুলো
একটা একটা করে খশে খশে পরেছে
মনের তাপিত শিক্ত প্রান্তরে।
তার প্রতিটি আচরে আমার মনের
হৃদ পিঞ্জরে, এক একটি কস্টের পাহাড় হয়ে
বুকের মাঝে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছে।
অনেকটাই কস্টে কেটেছে সময়।
আবার তুই যখন ফিরে এলি
তখন এক রাতের আকাশের জোস্না ভরা
পূর্নিমার পূর্ন চাঁদের আলো মাখা
রুপালী আলো হয়ে ভাসিয়ে দিয়েছো
পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তর।
কস্ট গুলো হাসির ফুল ঝুড়ি হয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে উজানের বন হতে
ভেসে আশা কস্টের দিনগুলো।
বন্ধু তোকে যে আমি পৃথিবীর সেরা
সমস্ত বন্ধুদের চেয়ে সন্মান মূল্যায়নের
অনেক অনেক উপরে রেখে ভালোবাসী।
তুই বুঝিস কিনা আমি জানিনা,
আমার অনুভূতির প্রতিটি কথা
প্রতিটি মুহুর্ত, সরলতার সরল মনে
একে একে সবই বলি,তুই এটাকে
আমার ক্ষুন্ন ব্যক্তিত্ব ভাবিসনা,
তোর সঙ্গতা প্রতিটি মুহুর্ত চাই বলে
আমি ব্যক্তিত্বহীনদের কাতারের
কোন একজন নই।
তোকে এতটা আপন বলে জানি,
যেখানে সম্পর্কের মাঝে
কোন গ্রামার রাখিনী।
মনের সবটুকু উদারতায়
স্বচ্ছ সরল বিশ্বাসে তোকে ভালোবেসেছি।
বন্ধু তুইতো আমার পৃথিবীর বুকে পাওয়া
স্রস্টা কতৃক প্রেরিত সেরা উপহার।
আমিযে তোকে মস্তিস্কের উপরে স্থান দিয়ে
সন্মানের সু উচ্চ চূড়ায় বসিয়ে
ভালোবাসী।
তুই এটাকে দূর্বলতা ভেবে নিসনা।
যদি দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকি
এই পথ চলার ছন্দে তুই যদি আমার
পাশে থাকিস, তবে তোকে প্রমান করে দিবো
পৃথিবীর বুকে স্বার্থহীন ভাবে
কতোটা ভালোবাসী।