শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬

তুমি হারিয়ে গেলে

শেখ শফিউল বাসার

তুমি হারিয়ে গেলে
পুস্প নিকুঞ্জের আদয়ে
গড়ে উঠা জীবনের উল্লাশে
পিনপতন নিরবতার প্রস্থানে ফেলে।

রাতের আধাঁরের বুকে সঞ্চিত স্বপ্নের
নিহারিকার ছুটে চলে উল্কা পিন্ডে,
স্বপ্নের সারথি হারিয়ে যাওয়া
গন্তব্যেহীন অশ্রু শিক্ত শিশির পথে।

ইচ্ছের যবনিকার আশ্রমে জমে থাকা
ঝড়া পাতার মর্মর স্পর্শের মৃদ ধ্বনী,
হৃদয়ের তটে ধুম্রবলয়ে ক্ষয়ে যাওয়া
সময়ের সংকুচিত পরিনয়ের পরিনতি
জালান দেয় তুমি নেই।

তুমি হারিয়ে গেলে
অদৃশ্য মেঘেদের নিল অবয়বে
প্রসরা সাজানো বেদনার অগ্নিবনে।

মনের ব্যালকুনিতে জমে থাকা
ইচ্ছের ডানায় অাবারিত পালকের
ধূসর নিলগিরির ছায়াপথে।

মনের অমোষ প্রান্তরে অপূর্ণ  ইচ্ছে গুলো
দাগ কাটে হৃদয় তটে,
হয়নি প্রান খুলে বলা প্রানের আকুতি।

তুমি হারিয়ে গেলে!!!!


গতকাল আমার জন্মদিনে

শেখ শফিউল বাসার

গতকাল আমার জন্মদিনে
কতো শত বন্ধুর শুভেচ্ছা অভিনন্দনে
মূখরিত ফেইসবুক টাইমলাইন,
ম্যাসেন্জার, ইনবক্স, টেক্স ম্যাসেজ
অজস্র পুস্প পুস্পিত সমাহার।

সদ্য ফোটা গোলাপের পাঁপড়ি
শিশির শিক্ত টলমল জলের আভায়
শোভিত নিকুঞ্জি সমাচার।

টাইমলাইনের প্রতিটি  সমাচারে
শুভেচ্ছা অভিনন্দনের ফুলঝুড়ি
আনন্দ অভিষার এর প্রানবন্ত উচ্ছাস।

সময়ের প্রবাহিত স্রোত ধারায় আবারিত
নিঃসঙ্গ গাং চিলের মতো প্রতিক্ষার অপলক দৃস্টে
শুধুই অপলক চোখে তাকিয়ে থাকা,
প্রতিক্ষিত সময়ের প্রতিটি সেকেন্ড প্রবাহিত
দৃস্টি প্রত্যক্ষতায় বয়ে বয়ে
অস্তমিত সন্ধ্যালগনের গোধূলী বেলায়।

অপেক্ষিত সময় বেয়ে বেয়ে রাত্রী গভীরতার
নিস্তব্ধ কোলাহল শূন্যতার আধার নিলিমায়।
তখনো অপেক্ষায় কারো একটি ম্যাসেজের
একটি শুভেচ্ছার।

একটি একটি করে প্রতিটি টাইমলাইনের টেক্স
ম্যাসেজের পাতা উল্টাতে উল্টাতে অাচমকা
চমকে ,স্কিনের বুকে ভাসমান চিরচেনা সেই সঞ্চিত নাম।

বুকের মাঝে কম্পিত কোন এক করুন অনুভূতির
জানালাটা খুলে এক চিলতে আনন্দ অভিষার
মুক্ত বাতায়নের দাড় বেয়ে সামনে দন্ডায়মান।

সুখের মায়া বৃত্তের অস্ফালনে ঝঙ্কৃত
অংকৃত ছবির অবয়ব মায়াতান
কিঞ্চিত সুখের পসরা সাজায়।

নিখুত দৃস্টি প্রত্যক্ষতা যখন গভীর হতে গভীরতার
চূড়ান্ত সীমায়, তখনি এক ঝাক অশ্রুর বির্সজন
দু চোখের অক্ষিপটে।
সেই মানুষ সেই নাম সেই শুভেচ্ছা সবই ঠিক, কিন্তু
তারিখের বৃত্তে লিখা একটি বছর পূর্বের গচ্ছিত সেই শুভেচ্ছা মায়াময়তার সেই অভিবাদন ।

নিদারুন কস্টের বেদনার পাহাড় বুকের মাঝে চেপে, নিঃশব্দ বেদনার বুকে একাকি কেঁদে
জানালাম বিদায় আমার জন্মদিনের।

সময়ের স্রোত জ্বলে অনেকটা পথ ভেসে গেছো তুমি, সেখানে আমার অস্তিত্বের বিন্দু কনা
তোমার ডায়েরী পাতায় উচ্ছিস্ট ধূলার আবরন হয়ে একটু ও মিশে নেই।

সময়ের নিষ্ঠুরতার প্রদীপ জ্বেলে প্রজ্বলিত
বেদনার নিশি কেশে এক ঝাক বিরহী বেদনা
সম্মূখের পথ আগলে জালান দেয়
কস্ট চিত্রের প্রকোস্ট শিরোনামে।

সময় বদলে দেয় সবই নিদারুন নিদারতার
বেদনার বেনোজ্বলে ডানাহীন শংঙ্খচিল,
নিংসঙ্গ জীবনের অবয়বে প্রজ্জলীত কস্টের
প্রকস্ট অগ্নিবনের ধুপশিখা আগুন,
পোড়ায় মনের মনো উপসংহার।


মায়ার বাধন হারায় পরাস্থ জীবনের অগ্নিদহনে
নিষ্ঠুরতার বাতিঘর নিভু সন্ধ্যালগনের স্তব্ধ আঁধারে
হারায় গন্তব্যর হিমাচলে।
আঁধারের বুকে মুখ লুকানো কান্নার প্লাবন
 জানিয়ে কেউ কারো নয়।








সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

কেন এ কস্ট ?

শেখ শফিউল বাসার

গতকাল নিসঙ্গ একাকী
সারা রাত জেগে জেগে
স্মৃতির আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছি ।
কিছুই ছিলনা বলার
বিসন্ন  মনে
বোবা কান্নায় কাটিয়েছি ।
অশ্রুসজল চোখ
স্মৃতির স্বাক্ষী হয়ে
রবে যুগের পরে যুগ ।
আমি যে অপরাধী ,
অনুশোচনার অগ্নি দগ্ধে
পুড়ে পুড়ে ছাঁই হয়ে
নিরুদ্বেশ প্রান্তরে ভেসে চলেছি ।
আজ কিছুই বলার নেই
মুঠো ফোনের সেই কন্ঠ
নির্বাগ করেছে আমায়,
ইস্তব্ধ করেছে পৃথিবী ।
শ্রোতের শেওলা হয়ে ভাসছি
অজানা হতে অজানায়
সঙ্গী , স্মৃতির চাদরে জড়ানো নীল কস্ট ।
ও ভালো নেই ,শুনতেই হৃদয় পিঞ্জর
কম্পনে ফেটে চৌচির
চৈত্রের শুস্ক ভূমি ।
বিসন্ন চিত্তে শুধুই কাঁদলাম
কেন এ কস্ট ?
সুখি হবে জেনে তুমিতো
বেঁধেছিলে ঘর , রাজ-প্রাসাদ
সোনা দানা হিরে , অট্রালিকার তরে ,
তবে , কেন এ কস্ট ? ।
কি করে সইবো এ করুন আতর্নাদ,
অশ্রু প্লাবিত কান্নার রোল ,
করুন কন্ঠের আকুতি ।
সবই অপরাধী করেছে আমায় !
হৃদয়ের অনন্তপুড়ে যার বাস
তার কস্ট কি করে সই ।
আমিতো বেদনায় মূহ্যমান
ঝড়ে অতরানো বাসা ভাঙ্গা
বিদ্ধস্ত পাখি ।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

জীবনটা এমন কেন ?

শেখ শফিউল বাসার

জীবনটা এমন কেন ?
  যা প্রতিক্ষনে ক্ষনে রং বদলায় ,
কেন সুখের তরীগুলো
বাতাসের ঝাপটায়
হারিয়ে ফেলে দিক । 
কোন এক সময়
তলিয়ে যায়
সমুদ্রের অতল গহীনে ।

কখনও কখনও
আসার প্রদীপ গুলো
নিরসার গুপ্তচোরা বালিতে
খুজে পায় নীড় ।
অনাকাঙ্খিত বাস্তবতা
এসে স্থান জুরে
কোমল হৃদয়ের মাঝে ।
কখনও সাজানো সংসার
বিন্দু লোনার স্পর্শে
হয় ভেঙ্গে চৌচির ।
সরল পথে চলা জীবন
কাটার আঘাতে 
হারিয়ে ফেলে গন্তব্যর পথ ।

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

রংধনু

শেখ শফিউল বাসার

সময়টা কেটেই যাচ্ছে
আকাশে ভাসা নীল আভায়
যাচ্ছে উড়ে উড়ে  প্রজাপতির ডানায়
দুর বহু দূরে ।

সবই তো যাচ্ছে আমার
যে ছিল ,সে এখন অন্যোর পূজার ফুল
কোন এক মালির বাগানে
ফুটেছে রং ছড়িয়ে ,
আহ্লাদে মালির নিল কন্ঠে জড়িয়ে
শুনেছি বলতে , তুমি যে আমার জানু
তোমাতে আমি বিলীন ,
অস্তিত্বের  সবটুকু তোমাকে ঘিরে ।

শান্তনা মনে ,শুধুই হাসলাম
কোন একদিন মৃদু  হেঁসে
আমায় ও বলেছিল এসব সস্তা কথা গুলো ।

সময় বদলেছে , বদলেছে মানুষও
যা ছিল সবই ক্ষয়ে ক্ষয়ে
বিদির্নে  বিলীন ।
আপন মানুষ গুলো রূপ পাল্টিয়ে
ভেসে গেছে দুর অজানায় ।

শিকড়

শেখ শফিউল বাসার

আমার চলার পথ রুদ্ধ
অন্ধকারে ছেয়ে গেছে
পথের পরে পথ ।
অন্ধকার নিলিমা সঙ্গবদ্ধ হয়ে
কালোর মিছিল সাজিয়ে
উদ্যমে ছুটছে তো ছুটছে ।
আমি নির্বাগ , আমি স্তব্দ
সাজানো খেলাঘর যেন
বাতাসে দুলছে ।
আমি পারছিনা ভেসে যেতে
তুলো হয়ে আকাশে ।
আমার যে শিকড় এখানে বাধা ,
আমি নদীর জলে ভেসে আশিনি ।
আমি সহজেই হেরে যাবোনা
উদ্যম ! থেমে যাওয়ার সময়
এখনো আশেনী ,
আমি স্বপ্নে বিভোর
সাজাবো ধরনী
আলোয় আলোয়  ।
যতই হউক গতিরুদ্ধ
ছুটবো গন্তব্যর শেষ পটে ।
যদি সাহস থাকে আমাকে
তবে পথ আগলে দাড়াও !!

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

শূন্য শিরোনামে

শেখ শফিউল বাসার

পাঁচ, বারো, ষোল, শিরোনামের গানিতিক
পরিসংখ্যানের সমিকরনটা যে এতোটা কঠিন হবে,
সমস্ত সূত্রকে  পাশ কাটিয়ে বিদ্যমান যোগফলের
শূন্য পরিনামের  প্রস্থানে হবে উদাহরন,
বুঝিনী।

সময় যে সকল সূত্রকে হার মানায়,
বাস্তবতার অর্মতকে বৃদ্ধাগুলী দেখিয়ে
অসম জংঙ্গে আবৃত লোলা মরিচার ভীত
নির্মাঙ্কে মাথা ঠেকায়।

রাত্রি বিভাদি রাতের গল্পগুলো বেদনার চিল চুকালো, মরিচিকার অদ্ভুদ ব্যালকুনির করিডোরে
নিস্ফল অশ্রু বৃত্তে দাড়িয়ে থাকা, তিমির রাত্রির
অবাস্তব স্বপ্নের বেনোজলে শূন্য নিক্ততায়,
শেষ আশ্রয়।

শূন্য বাঁধনের ছিন্ন অববাহিকার ষোল মেঘ
কুয়াশা আবৃত বিদঘুটে বিদির্ন্য প্রান্তর,
সূতো ছেরা ঘুড়ির গন্তব্যহীন নীল চাদোয়া
হারায় অামানিশা  রাত্রির অন্ধকার
বিদগ্ধ নগরীর প্রান্ত সিমায়।

প্রান বিয়োগী নিথর দেহের নিস্ফল প্রয়াস
মৃত্তিকার বুকে আশ্রিত শূন্য শিরোনামের
অর্ধমৃত ল্যাম্পপোস্টের  অশ্রু সজলে দন্ডায়মান
  বির্মূর্ত হৃদয়ের মূর্ত ছবি।

করুন আকুতির সর্বহারা নির্নিমেষ
বিদ্ধস্থ জীবনের অসহায় প্রলয়ে
বিদগ্ধ  সময়ের অার্ত -আর্তনাদ
ভাসায় ঝড়া পাতার মন্থর সিমায়।

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

কারনে অকারনে ভালোবাসী

শেখ শফিউল বাসার


কারনে অকারনে তোমাকে ভালোবাসী
পৃথিবীময় সমাবৃত্তের সবটুকু
ভূবন খুলে এক নৃত্বের ছন্দ তালে
পেখম মেলা ময়ুরের  সৌন্দর্যের  ডানায়
অঙ্কিত কারুকার্য সমাহারে
তোমাকে ভালোবাসী।

মেঘলা আকাশের স্নাত জ্বলে
কখনও মেঘ কখন বৃস্টি ভেজা
অবুঝ দুপুরের কাক ভেজা চিত্তে
তখনো তোমাকে ভালোবাসী।

বর্ষার জল ধারার  উন্মুক্ত প্রান্তরে
ডুব সাতারের স্বচ্ছ খেলায়
মত্ত উন্মাতাল আনন্দ অভিসারে
হৃদ হৃদ্রতার মায়ময়তায়
 তোমাকে ভালোবাসী।

এক পৃথিবীর অানন্দ  সম
পুস্প কুঞ্চিত গহবরে
পুস্প মাল্যর অবারিত
স্নিগ্ধময় সমাহারে কারনে অকারনে
তোমাকে ভালোবাসী।

এই মেয়ে

শেখ শফিউল বাসার

এই মেয়ে তোমার জন্য আমার হৃদয় পোড়ে
পোড়ে মনের একাল সেকাল সব কাল।
তোমার স্মৃতির ধোয়া
বড় এলোমেলো করে দেয় সমস্ত ভাবনা।

হারিয়ে যাই কোন বিবাগী দুপুরের
উচ্ছাসে ডাকা শালিকের কন্ঠের
বিরতিহীন কন্ঠ সমাচারে।

অপ্রত্যাশিত সময়ের জমায়িত বর্ন গুলো
মনের কোনে ছেলে খেলা করে
 একোন সেকোন সব কোনে,
কেমন যেন একটা অপ্রত্যাশিত
 অনুভূতির সৃস্টি করে,
সেই অপ্রকাশিত শব্দের বর্নগুলো
মনের মনে করি একাকি প্রকাশ।

তোমার শূন্যতায়  মনের গহিনে
একটা গভীর গর্তের সৃস্টি হয়,
পোড়া ধোয়ার গন্ধ বারতায় নাকের কোনে
এত্ত এত্ত বৈরি বাতায়নের ঝড় তোলে
নাকাল করে নগরীর যত্রতত্র।

এই মেয়ে প্রেম কি এভাবেই পোড়ায়
মন পোড়ায়, কলিজা পোড়ায়, হৃদয় পোড়ায়,
সব পুড়িয়ে করে একাকার অন্তর ভূমি।

কি এমন টান  তোমার মাঝে
এপিট ওপিট পুড়ে একাকার হয়ে
ছাঁই হয়ে বাতাসে ভেষেও
কি যেন অমৃত সুখ পাই।

এই মেয়ে তুমি কি বলতো পারো
কি এমন অদৃশ্য শক্তি তোমার মাঝে।

একটি রাত ও ঘুমাইনি

শেখ শফিউল বাসার

একাকি নিসঙ্গ কতকাল
রুদ্ধ চিলেকোঠার ঘরে
বন্দী সংগোপনে থেকেছি ,
দিনের আলো ও দেখা হয়নী ।
নির্ঘুম পেচার মতো
শূন্য আকাশে তাকিয়ে
তারার লুটোপুটি
আধারের ছায়াপথ দেখেছি !
একটি রাত ও ঘুমাইনি ।
স্মৃতির জানালায় দৃস্টি রেখে
হারানো সে সুরের মূর্ছনায়
ভেসে গিয়েছি !
একটি রাত ও ঘুমাইনি ।
তারার ছায়াপথ ,
জোস্না প্লাবিত রাতে
তার কোলে মাথা রেখে
সুরেলা গানের নীল ছোয়ায়
আকাশের স্বর্গ হাতে পেয়েছি ।
একটি রাত ও ঘুমাইনি ।
এখনও সেই কন্ঠের সুর
হৃদয়ের অন্তপুরে
বেদনার সুর তোলে ।
একটি রাতও ঘুমাইনী !
তার সুরেলা কন্ঠের গান না শুনে ।
এখনও মধ্য রাতে
হৃদয়ের মনি কোঠায়
বেদনার সুর তোলে ।
হৃদয়কে করে ক্ষত বিক্ষত ।
অগ্নি উত্তাপে জ্বলে
মরুর যাত্রী হয়ে ভেসে চলেছি ।
আমাকে বেদনার প্রসবনে ফেলে
তুমি ছুটে চলেছো স্বর্গ সুখ প্রত্যয়ে ।
একটি রাত ও ঘুমাইনি ।

তুমি কি ভাবো

শেখ শফিউল বাসার

তুমি যদি ভাবো তোমার চতুরতা বুঝিনা,
তোমার স্বার্থের জন্য মিথ্যে ভালবাসার
মায়াজাল বুনা সূতোর ভাজ আমি বুঝিনা?
তবে তুমি সবই ভুল ভাববে
আমি তোমার নিশ্বাসের গন্ধে
সবই বুঝতে পারি
এবং তা বলেও দিতে পারি।
তোমার সাথে জীবনের এতগুলো বছর
শিশির ভেজা ভোর হতে
কুয়াশা ভেজা রাত
সবই আমার একাকার করে
মিথ্যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে
উন্মাদের মতো পথ চলেছি।
তোমার ইচ্ছেটাকে বাস্তবতার সূতোয় বোনতে
উদ্দেশ্যেহীন নাবিকের মতো নেশাচর হয়
ছুটে চলেছি বছরের পর বছর।
নিজের কথা একটিবার ও ভাবিনী
কি হবে আমার, কেনইবা এ পথ চলা
কারও এক নিশিরাত পথে
প্রহরীর মতো কখনও আগে আবার কখনও বা পিছে
বিকের পাজর দিয়ে আগলে রেখেছি তোমায়।
বিকেকের জানালায় পেরেক ঠুকে
আজ আমায় করে দিলে দেয়ালে আবৃত।
কংকর্ট কঠিন সীমান্ত ভেদ করে
আজ আমি যেতে পারিনা,
উদ্দেশ্যের তীর্যক ফলা দিয়ে
আমায় করেছো সর্বশান্ত।

কেউ কথা রাখেনী

শেখ শফিউল বাসার

দেখতে দেখতে বছর পার হলো
বীজতলার লাগানো বীজ গুলো
অঙ্কুর গজিয়ে মাথা ছুয়েছে ।
ছোট্র যে শিশুটা মায়ের কোলে শুয়ে থাকতো
সে আজ দৌরে খেলা করে ।

কলমির ডগা গুলো
সাহসী যুবকের মতো
ঢেউ দোলা পানিতে খেলা করে,
রুপালি চাঁদের আলোতে সাজে
গরীবের রাঙ্গা বধু ।

সবই বদলেছে , বদলেছে সময় ,
বদলেছে মানুষ
বদলাইনি শুধু আমি
মনপুড়ার ঐ ছোট্র কুটির ঘরে
বন্দী পাখির ডানা ঝাপটায়
কাটে সারাটি সময় ।
ভাঙ্গা চেয়ারে মাথা ঠেকিয়ে
অলস বসে থাকা
দিনের পর দিন
মাসের পর মাস ।
কেউ কথা রাখেনি ?
বিবেকের জানালাটায় পেরেক মেরে ,
কফিনে চারপাশ মুরে !
সোজা পাঠিয়েছে সারে তিন হাত কবরে ।

কেউ পাশে থাকেনী ,
কেউ কথা রাখেনী
সকালের রাঙ্গা আলোকে সাঝের সন্ধ্যা
বানিয়ে সে ছুটেছে ,
কোন স্বর্গ সুখ প্রত্যয়ে ।

পাখি

 শেখ শফিউল বাসার

মধ্য রাতের আকাশে একটা পাখি
কিচির মিচির শব্দে
বাতাসে বান তোলে ।
যার চিৎকারে আমি জেগে উঠি ,
বিসন্ন চিত্তে ভাবি কে এই পাখি ????
কেনইবা ডাকাডাকি ।

আমি বিদ্ধস্থ হয়ে যাই
কোমল সুরের মূছর্নায় ।
কেন রাতের গভীরে
ওই বৃক্ষ শাখা ডালে
কান্নার রোল ভাসিয়ে
আন্দোলিত করে আমায় ।
কি করবো ভেবে পাইনা !!!
নির্বাগ স্তম্ভিত হয়ে তাকিয়ে থাকি ।

একদিন বা দুইদিন নয়
দিনের পর দিন ,
মাসের পর মাস
ও শুধু ডেকেই যাচ্ছে ।
একটি রাত ও ঘুমোতে পারিনা ।
নিদ্রার কোলে মাথা রাখতেই
কোমল সুরে কষ্টের গান তোলে ।
যার চিৎকারে জেগে থাকি
নিসঙ্গ কাকের মতো ,
যে সঙ্গী হরালে আর সঙ্গী খোজেনা ।

নিরব বেদনা আমাকে উপহাস করে
স্মৃতির বাগানে যার অবাধ বিচরন ।
পাখি তুমি আমার কে হও ???
কেন এই নিসঙ্গ রাতে
এ করুন নিবেদন ,
আমি যে আর পারছিনা
রুপালি আলোতে চাঁদটাকেও
দেখতে পাইনা ।

পাখি !!কান্নার রোলে বিদ্ধস্থ জীবনটাকে
বানের জলে ভাসিয়ে দিও না ।
আমি বাচতে চাই ।
যাও পাখি উরে
গহীন কোন অরন্যে ।
আর ফিরে এসোনা কভু
বেদনাময় জীবনের সঙ্গী হয়ে ।

কেন এ কস্ট ?

শেখ শফিউল বাসার

গতকাল নিসঙ্গ একাকী
সারা রাত জেগে জেগে
স্মৃতির আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছি ।
কিছুই ছিলনা বলার
বিসন্ন  মনে
বোবা কান্নায় কাটিয়েছি ।
অশ্রুসজল চোখ
স্মৃতির স্বাক্ষী হয়ে
রবে যুগের পরে যুগ ।
আমি যে অপরাধী ,
অনুশোচনার অগ্নি দগ্ধে
পুড়ে পুড়ে ছাঁই হয়ে
নিরুদ্বেশ প্রান্তরে ভেসে চলেছি ।
আজ কিছুই বলার নেই
মুঠো ফোনের সেই কন্ঠ
নর্িবাগ করেছে আমায়,
ইস্তব্ধ করেছে পৃথিবী ।
সো্রতের শেওলা হয়ে ভাসছি
অজানা হতে অজানায়
সঙ্গী , স্মৃতির চাদরে জড়ানো নীল কস্ট ।
ও ভালো নেই ,শুনতেই হৃদয় পিঞ্জর
কম্পনে ফেটে চৌচির
চৈত্রের শুস্ক ভূমি ।
বিসন্ন চিত্তে শুধুই কাঁদলাম
কেন এ কস্ট ?
সুখি হবে জেনে তুমিতো
বেঁধেছিলে ঘর , রাজ-প্রাসাদ
সোনা দানা হিরে , অট্্রালিকার তরে ,
তবে , কেন এ কস্ট ? ।
কি করে সইবো এ করুন আতর্নাদ,
অশ্রু প্লাবিত কান্নার রোল ,
করুন কন্ঠের আকুতি ।
সবই অপরাধী করেছে আমায় !
হৃদয়ের অনন্তপুড়ে যার বাস
তার কস্ট কি করে সই ।
আমিতো বেদনায় মূহ্যমান
ঝড়ে অতরানো বাসা ভাঙ্গা
বিদ্ধস্ত পাখি ।

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

পড়ন্ত বিকেলে

শেখ শফিউল বাসার

কোন এক পরন্ত বিকেলে
পথের প্রান্তরে দারিয়ে
রিকশার অপেক্ষায়
হটাৎ পেছন ফিরে তাকাতেই
চোখে চোখ পড়লো
না বলে পাড়লামনা,
কেমন আছো ।
সে চুপিসারে চুপটি করে বললো
ভালো আছি ,
আর কোন কথা নয় ।
অনেকক্ষন নির্বাগ দাড়িয়ে থাকা
শুধু রিকশার অপেক্ষায়.....??
সময়টা যেন কাটছেনা
মনের মাঝে অতিতের স্মৃতি
বারবার দোলা দিচ্ছে
বারবার মনে হলো
আজ তুমি কতো দুরে ।
দুজনেই রিকশার অপেক্ষায়,
মনের মাঝে অনুভূতি জাগলো
কত কথা কত স্মৃতি
সব গুলিয়ে গেলো
স্থির থাকতে পারছিলামনা ।
হটাৎ  একটা রিকশা এসে থামলো
দু জন ই অপেক্ষায়
রিকশাটায় ওকে না উঠিয়ে
আমি কি যেতে পারি,
ছোট্র করে বললাম
তুমিই যাও
ও চলে গেল ।
রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে চুপিসারে
দাড়িয়ে রইলাম নিসঙ্গ কাকের মতো ।
মনে মনে ভাবলান
এভাবেই কোন একদিন
চলে গেছ আমার জীবন থেকে
অনেক দুরে ।

প্রিয়তির দহন

শেখ শফিউল বাসার

শরতের চাঁদময় রাতে
একাকীত্বের পিনপতন নিরবতায়
ভরাক্রান্ত মনের দীর্ঘঃশ্বাস
জালায় সিগারেটের নিকোটিনের ধোয়ায়।

গোটারাত্রির শিরোনামে বিরল বেদনা
অভিমানী নিঃসঙ্গতার তৃষ্ণার্ত
ছায়া মেঘ, প্রানের আকুতি হয়ে
বিষন্নতার ভাবান্তরে মূখ লুকায়।

হৃদয়ের অবাধ অাশ্রমে যাযাবরের পদচিহ্নে
মূখরিত নিঃসহায়  জীবনের লালিমায়
সর্বহারা প্রানের আহাজারী
বেদনার পসরা সাজায়।

বিষাদময়  নির্বাসিত স্বপ্নের দুরদীপবাসিনী
স্বপ্নচারিনীর মায়ামূখতার প্রতিচ্ছবি
বেদনার্ত কবিতার কালসিটে
বিলুপ্তপ্রায় হৃদয়ের হৃদয়গ্রাহী
চিরনিদ্রার অফুরন্ত প্রহর।

অপারগতার বেমানান বিষাদময়
ক্রমাগত বেদনার নির্নিমেষ
হৃদয়ের অন্তরালে প্রিয়তির  দহন,
শূন্যতার দ্রোহের বাঁশী বাজে
বেদনার চিরকুটে।

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

রক্তক্ষরন

শেখ শফিউল বাসার

মনের ভাষা হারিয়ে আজ আমি স্তব্ধ।
শান্ত নদীর বুকে স্রোতের শেওলার মতো
ভেসো যাবো কোন নিরুদ্বেশ প্রান্তরে,
সঙ্গী বাস্তবতার নীল চাদরে আবৃত
উত্তপ্ত মরিময় বালুকনা।
কালের খেয়া হয়ে ভেসে যাবো
অন্ধকারের বুকে জেগে থাকা
কোন এক নিংসঙ্গ ডানা ভাংঙ্গা
কাকের মতো। যার ঠিকানা
বুকের পাজরে আবৃত একাকি
রুদ্ধকক্ষের সীমানা প্রাচিরে
মাথা ঠোকা।
আজ শান্ত স্তব্ধ
বাস্তবতার করাল গ্রাসে নির্মজিত।
সময়ের করুন দাবানলে পুড়ে পুড়ে সর্বশান্ত,
আসার যে নিভু নিভু প্রদীপ জেলেছিলাম
হৃদ-পিঞ্জর হতে পিঞ্জরে।
সময়ের ব্যবধানে পবনের মিতালী হয়ে
উড়ে গেল কোন অজানা প্রান্তরে।
কিছুই বলার নেই,
ভাষা স্তব্ধ,বাক রুদ্ধ
হৃদয়ের কোমল প্রান্তরে হয়েছে রক্তক্ষরন।
মরু-বালু কনার ন্যায় তপ্ত দেহ
নিংসঙ্গতার চাদোয়ায় আবৃত হয়ে
আমায় করেছে সর্বশান্ত।

শেষ খেয়া

শেখ শফিউল বাসার

গতকাল সারারাত ঘুমাইনী
হুতুম পেচার মতো
মগডালে বসে বিবেকের তাড়নায় সিক্ত হয়ে,
মনের উত্তাপে কেঁদে কেঁদে
অশ্রুজলে হৃদয় হতে হৃদয় ছিড়ে
বানের জলে বির্সজন দিয়েছি।
তপ্ত মনের বিশালতার বুক জুরে
স্মৃতির বিচরন উন্মাদনার স্রোতো
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে দুর হতে দুরে।
কস্টের চাদরে জমানো বিবেক
বাস্তবতার করুন গ্রাসে
আমায় করেছে বিবেক হীন।
বৃস্টিস্নাত দিনের স্মুতিময় তরী
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
অন্ধকারের বুকে অামানিশা অন্ধকারের বুকে।
কি পেলাম,  আর কি হারালাম
তার হিসেব কষে আমি সর্বশান্ত।
মনের উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
পোড়ামাটির ছাই হয়ে ভেসে চলেছি
গন্তব্যহীন নিরুদ্বেশ পথে।
আকাশের বুকে চাঁদ ও ছিলনা
আমার একাকিত্বের পাশে
নিংসঙ্গতার সঙ্গী হতে।
আকাশের তারা ও লুকোচুড়ি করেনি,
অাধারের ছায়া পথে বিরহের
চাদর জড়িয়ে আমায় করেছে সঙ্গীহীন।
মনের উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
কয়লার মতো পুড়ে পুড়ে দগ্ধ হয়েছি।
কিছুই নেই আমার
নিংসঙ্গতার মায়াজাল গায়ে জড়িয়ে
পাড়ি দিয়েছি শেষ খেয়া।

বিবেক

শেখ শফিউল বাসার

কতোদিন কতোরাত একাকার করে
হারিয়ে ফেলেছি বেচে থাকার
শেষ স্বপ্নটুকু।
আসার ফুল ঝুড়িটা বাতাসের ঝাপটায়
উড়িয়ে নিয়ে গেছে কোন
নিরুদ্বেশ প্রান্তরে।
ঝড়ে আতরানো পাঁখির মতো
ডানা কাটা হয়ে ভেসে চলছি
এ প্রান্ত হতে ও প্রান্তে।
রুপালি চাঁদের আলো পানে তাকিয়ে
আজো অঝরে অশ্রু প্লাবিত নয়ন
ভিজিয়ে দিয়ে যায় বক্ষ।
ঝড়া পাতার মতো জ্বলে জ্বলে,
দগ্ধ হয়ে উড়ে চলেছি
বিবেকহীন কোন অদৃশ্য প্রান্তে।
অন্ধকারের পথ বেয়ে
কেবলি ছুটে চলেছি আমাবস্যার বিদঘুটে
নিরুদ্বেশ প্রান্তরে।
আজ আমি একা সঙ্গীহীন
সময় যেন আর কাটেনা,
স্মৃতির ছায়ায় জমানো দৃস্টি
বারেবার পিছুটানে।
মন আর বিবেক
দুই জন দুই প্রান্তে,
সাপ নেইল খেলা করে।
বিদ্ধস্থ জীবনের স্মৃতি
বারেবারে পিছুটানে।

অসমাপ্ত প্রেম

শেখ শফিউল বাসার

নদীর কূল ঘেসা তরু শাখে
নিপূর্ন কারিগর বাবুই পাখি
দুই ডানায় উড়ে উড়ে শূন্যে
ভর করে বাধে বাসা।
প্রতিটি ফোড়ে লুকিয়ে আছে
সুখ নীড়ে স্বপ্নের বীজ বুনা,
ভালবাসার পূর্ন পৃথিবী
একাকার করে পেতে
তার এই স্বপ্ন  ববীজ বোনা।
বিদ্ধস্থ মনের অসারতা
চৈত্রের খড় কুটোর মতো
ভাসিয়ে নিয়ে গেল
অগ্নি প্লাবনে।
কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে থাকা।!!!
দীপ্ত সূর্য বাতায়নে মনের
সবটুকু নিলিমা ঢেলে
গড়েছিলাম সেই স্বর্গ প্রেম,
বাতাসের উড়ো ঝাপটা
গন্তব্যর শেষ প্রাচীর ভেঙ্গে
উড়িয়ে নিয়ে গেল
গন্তব্যহীন রুদ্ধ পথে।
বিবেকের জানালার প্রতিটি
 অদৃশ্য শূন্যর ফাঁকে ফাঁকে
লাগিয়েছো বিষাদের তপ্ত সিষা।
ক্ষুদ্র বাবুইয়ের মতো কখনও
নিংস্বার্থ প্রেমময় তরী সাজিয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে যাওনী ভালবাসার
,
পৃথিবী ভরা কোন স্বর্গ ভূবনে।
অসমাপ্ত প্রেমের অগ্নি শিখা
হৃদয়ের অন্তপূরে বেদনার বানতোলে
ক্ষত বিক্ষত করে বিবেক।
অগ্নি উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
বিরহের নীল চাদরে আবৃত হয়ে
নিশাচরেরর মতো কাটাই রাত্রি।

অন্তক্ষরা

শেখ শফিউল বাসার

প্রকৃতির কোলাহল থেমে গেছে
জীবনের গতিও অস্তমিত।
অাধারের বুকে জেগে থাকা
একফালি চাঁদ রুপালি আলোর
বহ্নিল ছায়াতরু  সাজায়
কস্টের নিরবতা।
অন্ধকারের পথ বেয়ে
কোন এক রুপালী রাতে
চলে গেছো অদৃশ্য স্বর্গলোকে,
পেছনে ফেলে গেছো
একাকি বেদনাময় স্মৃতির
নীল চাঁদোয়ার পালক জড়িয়ে।
শূন্যতার প্রতিটি অন্তক্ষরা
ভাসিয়ে নিয়ে যায়
নিদারুন কস্ট স্রোতের অথৈ জলে।
বাচার আকুতি আন্দোলিত করে
আমার ভীতর বাহির,
 অদৃষ্টচর ভাগ্যর নীল রেখা
স্তম্ভিত করেছে আমার পৃথিবী।
স্বচ্ছ কাচের দেয়াল বেয়ে
পৌছায়না ঐ পাশে
আমার প্রানের আকুতি।
আমি যে বড় একা
নিংসঙ্গতার আলো ছায়ার খেলায়
আমি পরাজিত।
বিবেকের ভাংগা কূলে
বাসা বেঁধেছে নিংসঙ্গতার অন্তক্ষরা।

বিদ্ধস্থ

শেখ শফিউল বাসার

সময় তখন সূর্যের ঘরে ফেরা
চারদিক অাধার প্রায়
ঘোমটার দাড় বেয়ে
কিশোরীর বাড়ী ফেরা,
অশান্ত নদীর কূলে ঢেউয়ের উল্লাস
ভাসিয়ে নিয়ে যায় ভিক্ষারীর ঘর,
বিবেক তখনো স্তব্ধ।
মৃত্তিকার বুকে ঢেউয়ের আঘাতে
ক্ষত বিক্ষত কৃষকের বুক।
সোনালী স্বপ্নের বীজ বুনে
আসার ফুল ডালী সাজানো বাগান
হয় সর্বশান্ত।
বাঁচার আকুতি কান্নার রোল হয়ে
প্লাবিত করে বিদ্ধস্থ নগরী।
রাতের আধারের বুকে জোনাকির মতো
বিদ্ধস্থ মনের অগ্নি প্লাবনের জলে
হয় একাকার।
ঢেউয়ের প্রতিটি বাঁকেবাঁকে
ভাংগে স্বপ্নের বাসর।
তবুও বলার কিছু নেই
নদীর উচ্ছল ঢেউ কেবল
মাথা গোঁজার আশ্রয় ভাংগেনা
ভাংগে মন ও।

চাঁদনী রাতে

শেখ শফিউল বাসার

কান্নার রোলে বিদ্ধস্থ জীবন
সময়ের খেলাঘর পাড়ি দিয়ে
আজ আমি সর্বশান্ত।
বিবেকের জানালায় কস্টের লীল চাদোয়া
ভাসিয়ে নিয়ে যায়
অশ্রু প্লাবিত স্মৃতির দুয়ারে।
বিসন্ন মনে কস্টের ছায়া
নিদারুন বেদনার সুর তুলে
ক্ষত বিক্ষত করে বিবেক।
কালের খেয়ার নিস্তদ্ধ স্মৃতি
আধারের বুক ছিরে
পাড়ি দেয় অজানার পথে।
রুদ্ধতার দেয়াল ভেদ করে
একফালি চাঁদের ঝলকানি
ভাসিয়ে নিয়ে গেল
দুর বহু দুর।
করুন আর্তনাতের ছায়াপথ
চোখের জলের বান হয়ে
ভাসিয়ে দিল উন্মুক্ত বক্ষ।
মুঠো ফোনের তরঙ্গে
কারো নেশাধরা সুর
কম্পন তোলেনা হৃদয় হতে হৃদয়ে।
কালো কেশের মিস্টি সুবাস
উন্মাদের পালঙ্ক বানিয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে যায়না
 কোন চাঁদনী রাতের গগন পানে।
নিংসঙ্গতার তপ্তকাঞ্চন
উৎতপ্ত মরুর তপ্ত বালু শিখা
চৈত্রের খড়তাপে দগ্ধ মাটির মতো
বিদ্ধস্থ করে আমার জীবন।

প্রতিক্ষা

শেখ শফিউল বাসার

আঁধো আলো আঁধো অন্ধকারের বুকে
বিবেকের জানালায় কস্টের তীর বুনে
উদাসী নাবিকের মতো
ছুটে চলেছি গন্তব্যহীন পথে।
কস্টের চাদোয়ার নীল সূতোয়
আবদ্ধ করেছে আমার ভূবন।
অপেক্ষার প্রতিটি প্রহর
বিষাদের দীপ্তকরণ হয়ে
বিদ্ধস্থ করে আমার ভীতর
আমার বাহির।
 প্রতিক্ষার প্রতিটি প্রহর
মুঠোফোনের
আলো মতো
মনের উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
দগ্ধ কাঠের মতো কয়লা হয়ে
পুড়েছে আমার ভীতর,  আমার বাহির।
আমি বুঝাতেও পারিনা,  সইতেও পারিনা
সাগরের ফেনা হয়ে ছিটকে পরি
নিক্ষিপ্ত তপ্ততায়।
চৈত্রের ফাটা মাটির মতো
হৃদয়ের উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
আমায় করেছে অশান্ত।
সময়ের পথ বেয়ে
আজ তুমি দুর বহু দুর,
অশান্ত মনের উঠান জুড়ে
সে যে কি করুন আকুতি,
করুন আর্তনাদ,
একবার ছুয়ে যেতো তোমায়,
তবে নিষ্ঠুরতার খোলস ভেংগে
একটি বার হলেও ফিরে তাকাতে
বিদ্ধস্থ মনের উত্তপ্ত ভূমিতে।

অপেক্ষা

শেখ শফিউল বাসার

সাঝের বেলায়
পাখিরা যখন নীড়ে ফিরে
দুই ডানার সা -সা শব্দে
বাতাসে তার কম্পন,
মনের গহীনে বান তোলে।
আমি আজ নিংসঙ্গ
ডানা কাটা পাখির মতো
আবদ্ধ ঘরের চার দেয়ালে
ডানা ছিটকে মরি।
স্মৃতির দুয়ারে ভেসে উঠে
কস্টে আঘাতে জর্জরিত
ক্ষত বিক্ষত এক বিদ্ধস্থ দেহ।
অতিতের স্মৃতি গুলো
চোখের জানালায় বিষাদের
রং তুলিতে যে ছবি আকে
দৃস্টি তাকে এড়িয়ে যেতে পারেনা।
অপেক্ষার প্রতিটি প্রহর
মুঠোফোনের বাটন চেপে
সময়ের হাত ঘড়িতে
কাটে সময়।
চৈত্রের বিদ্ধস্থ ভূমিতে
অগ্নি উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
দগ্ধ মাটির মতো পুড়ে
ফেটে চৌচির হৃদ দেহ।

অভিমান

শেখ শফিউল বাসার

আজ কতোরাত
আকাশের বুকে  রুপালি চাঁদের
আলোয় উন্মুক্ত বক্ষে,
এক পলক দৃস্টি রাখিনি।
হতুম পেচার মতো
হিজলের শাখে বসে
নিসঙ্গ একাকি আধার গুনে
কাটিয়েছি অজস্র রাত্রি।
মনের বাগান জুরে কেবলি
ঝড়া ফুলের শুকনো পাপড়ি
এলোমেলো করে, আমার ভীতর
আমার বাহির।
কস্ট তাপদহন
জালিয়ে পুড়িয়ে একাকার করে
আমার বাচার স্বপ্ন।
বিবেকের প্রতিটি সূক্ষ কোষে
বাসা বেধেছে বিরহ,
সম্পকের টান বিদ্ধস্থ
করেছে আমার পৃথিবী।
অভিমানের সপ্তডিঙ্গা
বাতাসের হিম ঝংকারে
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
দুর বহু দুর।
কস্টের খেয়া বেযে
ভেসে চলেছি নিরুদ্দেশ
গন্তব্যহীন পথের বাকে।

শিরোনামহীন

শেখ শফিউল বাসার

একটা সময় ছিল
কথার মালা বুনে কাটিয়েছি
অজস্র সময়,
মুঠোফোনের টাকা শেষ হয়ে যেতো
কথা শেষ হতোনা।
পূর্নিমার জোস্নাময় রাতে
আকাশের পানে তাকিয়ে
কারো সূরের মূর্ছনায়
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
উদাসী কোন এক
স্বপ্ন ভূবনে।
কালো কেশের মিস্টি গন্ধ
উন্মাদনার ডালা ভরে
সাজিয়ে দিয়েছে স্বপ্ন বাসর।
কোকিলের কুহুতান
সঙ্গীনির হৃদয়ের তটে
যে বান তোলে,
তাকে কি করে ভূলে যাই।
 মায়া বাঁধনে কতোটা সময়
বাবুইয়ের মতো একটু একটু করে
ভালবাসার পূর্ন পৃথিবী একাকার করে
গড়ে ছিলাম স্বপ্নিল ভূবন।
অভিমানের অদৃশ্য সূতোয় কেটে
হারিয়ে গেলে দুর বহু দুর।
বিষাদের তপ্ততা
আমায় গ্রাস করেছে
মরুময় উত্তপ্ত বালুর মতো।
অতিতের স্মৃতি গুলো
মনের কোনে যে আচর আকে
তাতে অশ্রু প্লাবিত হয়ে
ভাসিয়ে দেয় আমার বুক
ভুলতে চাই কিন্তু পারিনা।

মেহেদি পাতা

শেখ শফিউল বাসার

গভীর রাত
আকাশের বুকে জেগে থাকা
মলিন চাঁদের পানে তাকিয়ে
ভাবনায় হারিয়ে গেলাম।
বিদ্ধস্থ মনের আকুতি
ঝড়া শুকনো পাতা হয়ে
উড়িয়ে নিয়ে যায়
অন্ধকারের বিদঘুটে অামানিশা পথে।
চৈত্রের কংকাল বৃক্ষের মতো
অন্তসার দেহ,
বেদনার জাল বুনে
একাকার করেছে পৃথিবী।
মিটি মিটি তারার
প্রতিটি বৃন্দে অশ্রুসজল চোখ
কান্নার রোল হয়ে
ভাসিয়ে দেয় বুক।
একাকি রাতের সঙ্গী
হিজলের শাখে বসা নিংসঙ্গ পেচা।
ভাবনার প্রতিটি স্পন্ধে
অাঁকা কারো মূখ ছবি
হৃদয়ের অন্তপুরে বারেবারে দোলা দেয়।
হাসির মূর্ছনায় ফেটে চৌচির
হৃদ পিঞ্জর, নয়নে কান্নার রোল।
আমি উন্মাদনায় কেঁদে কেঁদে
ভাসাই আঁখি বক্ষ।
মনের মাঝে যে সুর বাজে
তাকে কি করে আটকাই।
মেহেদি পাতার ন্যায় বিদ্ধস্থ জীবন
উপরটা  সবুজ,  ভীতরটা রক্ত রঞ্জনে
ক্ষত বিক্ষত।

বালুকনা

শেখ শফিউল বাসার

একটা সময় ছিল
মুঠোফোনে কথা বলে
কেটেছে অনেকটা সময়
রাতের আধারের বুকে
চাদের এক ফালি আলো
স্বপ্নের বীজ বুনে, আমাকে করেছে
পেমময় উত্তাল।
সুরের মূর্ছনায় হারিয়ে গিয়েছিলাম
বর্ষার অথৈ জলের স্নিগ্ধ আভায়,
যেখানে মনের আকাশে
কারো ভালবাসার নীল পরশ
আমায় করেছে বিবেকহীন।
তারার ঝিকিমিকির আলো
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
সাত রংঙ্গে আকা কোন কল্পলোকে।
আজ আমি বড় একা
কেউ নেই এ নিঃসঙ্গ জীবনের
একাকিত্বের পাশে।
বেদনায় জীবন বিদির্ন
সঙ্গী বিরহের চরে আবৃত
জল শূন্য বালুকনা।
হাহাকারে চৌচির বুক
যেখানে উত্তাপ বিহিন
একফোটা জল ও মিলেনা।

বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

সঙ্গিহীন

শেখ শফিউল বাসার

আমি কতোকাল
 নিসঙ্গতার চাদর জড়িয়ে
আবদ্ধ কুঠির ঘরে
কাটিয়ে দিয়েছি সময়।
হারানো কারো পথ চেয়ে
আধো আলো,  আধো অন্ধকারে
কেটেছে আমার সময়।
পথহারা পথের বাকে
স্বপ্নের বীজ বুনে
নেশাচরের মতো ছুটেছি
বালুময় অশান্ত প্রান্তে।
মায়ার বাধনে বাধা জীবন
স্বপ্নের মেঘ হয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
বিরহের সূতোয় বাধা
অতৃপ্ত মনের তপ্ত প্রান্তরে।
অতীতের স্মৃতি গুলো
কস্টের চাদোয়া হয়ে
বিবাগী মনের অতল গহীনে
নিক্ষিপ্ত করে আমায়।
বাস্তবতার নিল সুতায়
আবদ্ধ জীবন
রুদ্ধ চিলেকোঠায়
বাবুয়ের মতো ডানা ঝাপটে
করে ক্ষত বিক্ষত।
সাঁঝের আলোর মতো
জীবন প্রদীপ
ধিকিধিকি জ্বলে আর নিভে।
শান্তনার ছায়া গায়ে জড়িয়ে
নিসঙ্গ কাকের মতো
সঙ্গীহীন হয়ে
রুদ্ররূপে পথ চলি,
গন্তব্যর শেষ খেয়ায়
বিদায়ী যাত্রী হয়ে
দৃস্টি কারো অপেক্ষায়।

বিবেক

শেখ শফিউল বাসার

সভ্যতার চাদর জড়িয়ে
বিবেকের দরজায় পেরেক পুড়ে
তুমি ছুটেছো অট্রালিকার স্বর্ন
দীঘল জোড়া অন্তিম পথে।
চোখের দৃস্টি, মনের মাঝে
কেবলি তোমার সুখছটা।
প্রিয়তমার নিল স্বপ্নের ভূবনে
ভালবাসার পালক জড়িয়ে
প্রাসাদের রাজ পুড়ে
গড়েছো অন্ত নিবাস।
প্রত্যাশার প্রতিটি সূতোয় সূতোয়
মনের মাধুরির আলিঙ্গন মিশিয়ে
গড়ে দিয়েছো স্বর্গবাস।
তার ভালবাসার মায়াজাল মাকড়াসার সূতোর মতো
আবৃত করছে তোমার বিবেক,
তাহার দৃস্টির প্রসারতা অন্তপুর
তুমি সাধ্যর পাজর ছিড়ে
গড়ে তোল পালঙ্ক।
আর পত্রিকার শিরোনামে ঝাঝালো করে ছাপা হয়
বৃদ্ধাশ্রমে তোমার মায়ের হাতের করুন চিঠি।
যার স্বপ্নের প্রতিটি পালকে পালকে
তোমাকে নিয়ে ভেবেছে প্রতিটি ক্ষন,
নিজ আসা, চাওয়া পাওয়া পায়ের ধূলোয় ঠেলে
সাজিয়ে দিয়েছে তোমার পৃথিবী।
প্রতিষ্ঠার উচ্চ আসনে তোমায় বসিয়ে
তার ঠিকানা আজ বৃদ্ধের চিলেকোঠার
অন্ধকার বৃদ্ধাশ্রম।
তোমার মস্ত ফ্লাটের এক কোনে হয়নী জায়গা,
মৃত্যুর লগ্ন প্রান্তে একটি নাকফুল যার সম্বল।
এখনো যে স্বপ্ন দেখে
নাকফুলের বিক্রিত টাকায়
হবে যার মাটি, কাফন।
সেই মায়ের চিঠি পড়ে কাদে হৃদয়
আমার মতো কতোকার,
তুমি যার রক্ত মাংশে এতটা মহান
তাকেই ছিড়ে ফেলে দিলে এতোদুরে
কোথায় তোমার বিবেক।
যে মা ভালবাসার পূর্ন পৃথিবী পায়ে ঠেলে
দেহ রক্ত কনিকার প্রতিটি বিন্দু বিন্দু
পরিশ্রমের ঘামের লোনা জল বানিয়ে
ক্ষয় করেছে নিজের দেহ,পৃথিবী।
রঙ্গিন মায়ার তপ্ত সোতে
সুখ ভেলা ভাসিয়ে, দেয়ালের চারকোনে
নিজের বিবেকের অন্তপূরে শেষ পেরেক পুড়ে
স্বর্গকে পায়ে ঠেলে
গড়ে নিলে তোমার পৃথিবী।
কোথায় তোমার বিবেক??।

কেউ কথা রাখেনী

শেখ শফিউল বাসার

দেখতে দেখতে বছর পার হলো
বীজতলার লাগানো বীজ গুলো
অঙ্কুর গজিয়ে মাথা ছুয়েছে ।
ছোট্র যে শিশুটা মায়ের কোলে শুয়ে থাকতো
সে আজ দৌরে খেলা করে ।
কলমির ডগা গুলো সাহসী যুবকের মতো
ঢেউ দোলা পানিতে খেলা করে,
রুপালি চাঁদের আলোতে সাজে
গরীবের রাঙ্গা বধু ।
সবই বদলেছে , বদলেছে সময় ,
বদলেছে মানুষ
বদলাইনি শুধু আমি
মনপুড়ার ঐ ছোট্র কুটির ঘরে
বন্দী পাখির ডানা ঝাপটায়
কাটে সারাটি সময় ।
ভাঙ্গা চেয়ারে মাথা ঠেকিয়ে
অলস বসে থাকা ,দিনের পর দিন
মাসের পর মাস ।
কেউ কথা রাখেনি ?
বিবেকের জানালাটায় পেরেক মেরে ,
কফিনে চারপাশ মুরে !
সোজা পাঠিয়েছে সারে তিন হাত কবরে ।
কেউ পাশে থাকেনী , কেউ কথা রাখেনী
সকালের রাঙ্গা আলোকে সাঝের সন্ধ্যা
বানিয়ে সে ছুটেছে ,
কোন স্বর্গ  সুখ প্রত্যয়ে

নির্জনতা

শেখ শফিউল বাসার

একাকি নির্জনতা ভালো লাগে তোমার,
ভালো লাগে একাকিত্ব।
রাতের আকাশে তারার মুক্ত খেলা
চাঁদের রুপালি আলো
পদ্মপুকুরের জলে স্বর্নালী
ছায়া কিরনে কারো মায়াবী
 হাসির মূর্ছনা ভেসে উঠে
 তোমারি ছবি।
আকাশের ছায়া পথে
আলোর পথ বেয়ে
পাখির ডানায় ছুটে চলি
কেবলি ছুটে চলি।
মনের সাত রংয়ে
স্বপ্নের পালক জড়িয়ে ভেসে চলি
দূর অন্ধকার কংর্কট পথে।
সময়ের দীর্ঘ পথ
একাকি নিংসঙ্গ কাকের মতো
সঙ্গিহীন রুদ্ধ তেপান্তরে
বিবেকের দংশনে পুড়ে পুড়ে হই একাকার।
নিংসঙ্গতার বেড়াজাল অক্টোপাসের মতো
আবৃত করেছে আমার বিবেক।
কারো মায়াতান কস্টের মালা হয়ে
বিদ্ধস্থ করেছে পৃথিবী।
কিছুই বলার নাই
অভিযোগের কথা বলে
রুদ্ধ করবোনা তোমার পথ।
নির্জনতা তোমার ভালো লাগে
তাইতো সময়ের চিলে কোঠায়
মনের প্রান্তর খুলে ভেসে বেড়াও,
কিছুই বলবনা,  বলার ও কিছু নেই
নিরব দর্শকের মতো শুধু
আসার লগ্নে তাকিয়ে থাকা।

সময়

শেখ শফিউল বাসার

সময় বদলালে
বদলে যায় সবই ।
শীতের রাতের স্নিগ্ধ ভালবাসায়
কচি পাতার বুকে
শিশিরের যে শিহরন জাগে
সূর্যের দর্শনেই তা লুটিযে যায়।
বিশাল আকাশের মাঝে
তারার লুটোপুটি আর
আলো ছায়ার খেলা
স্বর্গের দাঁড় খোলে।
একটু কালো মেঘের আবরন
ঢেকে দেয় চারদিক।
সময়ের ঘড়ির সাথে
মনের ঘড়ির ও সময় পাল্টায়।
কোলাহলের দরজায় পেরেক পুড়ে
নির্জনতার সূতোয় বাঁধে জীবন।
সময় বদলালে
বদলে যায় মানুষের মন।
বদলে যায় স্মৃতির দুয়ারে
জমে থাকা স্বপ্নের আলো।

আঁধারের গভীরতা

শেখ শফিউল বাসার

তুমি কি রাতের
আধারের গভীরতা বোঝ
যেখানে স্তব্ধ প্রকৃতির
কোলাহল শূন্যতায়
থেমে যায় প্রানের বিচরন।
আঁধারের বুকে সরু বাঁশের শাখে
বসে থাকে কিছু সারি বাধা
সরু  পায়ের বক পাখি।
হিজলের শাখে একাকি
নিভূতে বসে থাকে হুতুম পেচা
সময়ের পাশ কেটে তাকিয়ে থাকে
আলোর আসায়।
শান্ত প্রকৃতির মাঝে
নিশাচর মানুষ গুলো
বড় অসহায়ের মতো
তাকিয়ে থাকে আঁধারের পানে,
কখন আলো আসবে।
স্মৃতির ছবি গুলো
স্বপ্নের বীজ বুনে
আঁধারের মাঝ পথে।
কারো মায়ার পিছুটান
বারেবার ডেকে নিয়ে যায়
স্বপ্ন বনের প্রান্তরে।

বেদনার বালুচরে

শেখ শফিউল বাসার

বেদনার বালুচরে বাসা বেধেছি
একবুক কস্ট আর না বলা কথা নিয়ে
যা প্রতিক্ষনে আমাকে ভুমরে ভুমরে কাদায়
হারানো দিনের আনন্দের সেই
ফেলে রাখা স্মৃতি গুলো
বারবার দোলা দেয় মনে।
নীরব যন্ত্রনা আমাকে গ্রাস করে ফেলেছে,
বিচিত্র কস্টের দাবানল গুলো
আমাকে জালিয়ে পুড়িয়ে করে ছারখার।
অসহ্য যন্ত্রনা বুকের পাজরে
ভীষন ভাবে আঘাত করে
যার যন্ত্রনায় আমি ছটফট করি
আর চিৎকারে কেঁদে উঠি
বাচাও বাচাও বলে।
কেউ আসেনা আমার পাশে
আজ আমি নিঃস রিক্ত
পাশে দাড়াবার কেউ নেই
আপন রুপ গুলো দুরে সরে গেছে!
অচেনা অন্ধকারের মাঝে আমি
একাকি নিরব ক্ষনে বেচে আছি!
হাহাকার শূন্যের মাঝে বেচে আছি।
পিপাসায় বুক ফেটে যায়
মুখে একফোটা জল তুলে দেবার মতো
কেউ নেই আমার পাশে,
যে ছিল সে চলে গেছে
কোন নতুন সুখের ঠিকানায়।
তার মনের খুশিতে দিয়ে গেছে
আমার এই একাকি জীবন
একাকি পথচলা
করুন এই বেদনার বালুচরে।

অশ্রু

শেখ শফিউল বাসার

আজ আমার হৃদয় রক্তাক্ত
ক্ষত বিক্ষত ।
অগ্নি দাবানলে পুড়ে
হয়েছে শিক্ত ,
মনের উত্তাপে পুড়ে
জ্বলে জ্বলে
হয়েছি বিদির্নে  বিলীন ।
চোখ কে আজ আর
বিশ্বাস হয়না ।
সেই মায়াবী চোখের কোনে
কান্নার রোল দেখেছি ।
অশ্রু প্লাবিত চোখের
বান দেখেছি ।
অবশেষে অশ্রু শিক্ত
চোখ পানে তাকিয়ে
নিজে ও কেদেছি ।
অনুশোচনায় দগ্ধ হয়েছি ।
কেন এ কস্ট....????
কেন এ একাকি অশ্রু বিসর্জন ।
কেন স্রোতে গা ভাসিয়ে
সহজ আর্ত সমপর্ন ।
তুমি কেদনা
তোমারী কান্না কস্টের পাথর হয়ে
পিষ্ঠ করে আমায় ।

কাঁঠের পুতুল

শেখ শফিউল বাসার

প্রতিদিন অজস্র দৈনিকের হাজারো পাতায়
ছাপা হয় কতো খবর
পথ হতে পথের,
জনপদ হতে জনপদের,
প্রবল পদ্মার উত্তাল পাশ ঘেসে
উঠে আসে জীবনের প্রতিচ্ছবি।
আঁকাবাঁকা পথের প্রান্তরে
প্রকৃতি যেখানে আলো ছায়া
লুকোচুরি খেলা করে।
কলসী কাঁখে শত বালিকা
সারি সারি জল তুলে
হাটার ছন্দে দুই পায়ে ঢং তোলে।
শত আয়োজন, শত বার্তায়
দেশ দেশকার চিত্র ফোটে।
অন্ধকার  তারাহীন রাতে
ফ্রেমে বন্দী জীবনে
স্বপ্নের যে বীজ বোনে
তার খবর কেউ কি রাখে।
ভাবুক কবির ভাবনাও
যাকে ছুতে পারেনা
রয়ে যায় আগোচরে।
শত আয়োজন,  শত ব্যস্ততা
যেখানে  ছোট্র শিশুরা
কাঁঠের পুতুলের মতো খেলা করে।

অসময়ের বন্ধু

শেখ শফিউল বাসার

আমার অসময়ের বন্ধু তুমিযে ছিলে
কেউ আসেনী আমার বিপদের কালে
প্রিয় যে ছিল সে বিকে গেছে
হাত মিলিয়ে দুশমনের সাথে।
একাকি আমি বিধুর যন্ত্রনায়
একা বসে স্মৃতিকে ভেবে বেড়াই,
কতো সুন্দর কতো মনোরম
সেই দুশ্যর নায়কগুলি
আজ আমারী দঃখে হাসে।
পৃথিবী কি তবে সুসময়ের তরে
বসন্ত কালে ভোমর উড়ে পরে
জোয়ার এলে কানায় কানায় ভরে,
নিস্ঠুর বন্ধুত্বের প্রতিদান সদাই কি মিলে।
হায়!!  আজ বুঝিবার ঞ্জান হইল আমার
শত্রুকে বন্ধু বলে জেনে
বলেছি মনের কতো কথা!
এযে ছিল আমার চিনিবার ভুল।
যে বন্ধু হবার তরে এসেছিল
তাকে ঠেলে দিয়েছি দুরে।
সে আবার ফিরে এলো
আমার বিপদের ক্রোরে
বন্ধু হয়ে অসময়ে পাশে।

বৃত্ত

শেখ শফিউল বাসার

বৃত্তের চক্রে ঘুরিফিরি
সাদা কালোর ভেদাভেদ ভুলে
শূন্যের ঘড়ে পাল তুলি।
অসান্ত মনের দূর্বার গতি
বারেবার নিয়ে যায়
অদৃশ্য সুখ প্রান্তরে।
চিন্তার বিভোরতা
পৌষের কুয়াসা হয়ে
 এলোমেলে পথ ভুলে
বৃত্ত চক্রে খেলা করে।
কখনও আলো,  কখনও অন্ধকার
রুপালি চাঁদের মূর্ছনায়
সাজায় মায়ার রাত্রি,
জোনাকিরা উরে উরে
সাজায়  আলোর ছায়াপথ।
পথ ভোলা চিন্তারা
বৃত্তের সারি হয়ে
বারেবারে ভুল করে
ছুটে চলে ভুলের পথে। 

মিছে ধরনী

শেখ শফিউল বাসার

মিছে এ ধরনী ক্ষনিকের জন
সকলি ফুরাইবে সদা মুদিলে নয়ন।
বিশ্ব  ক্রিস্টে তব কতো হানাহানি
শৃঙ্খলে আবদ্ধ কতো মা জননী।
অন্যায় অবিচার তবু যে বহাল
সমাজের নরপতি লুটে সব বেশামাল,
অন্যোর ভাগ্য ক্রিড়া দেয় যে মুছে
সত্যকে ঢেকে দেয় মিথ্যার শীষে।
বিলাশের ধনে মত্ত হয়ে ঘাতক সে সাজে
রমনীর মহা রুপে জীবন সে নাশে,
মত্ত হয়ে যায় সে অপরাধের হাতে
অনাবিল পরশের আশা শুভ্র জালে
ভ্রাতার বোগলে করে অসির আঘাত
পরশকে পাবার আসায় মনে কতো স্বাধ।
ভ্রাতা যে আপন প্রান বেঝেনা তাই
নিজের আরেক প্রান সে হলো ভাই।
একদিন ধরনী আঁধার মায়াজালে
গুটিয়ে নিবে সব খাঁকি মায়ের কোলে।
সে দিন কেবা পাশে রবে বসে
যে দিন দেহ তরী যাবে যে ডুবে
জীবনের চাওয়া পাওয়া যাবে যে মিশে।

বেদনার সিন্ধু

শেখ শফিউল বাসার

দিন যায় রাত যায়
ঘুরে ঘুরে বছর যায়
মনে জমানো কস্ট যায়না।
উদাসী মনে
তপ্ত ফাল্গুনে
ঝড়া পাতা গুলো
টুকরো টুকরো হয়ে
 বাতাসে ভাসে।
কতোকাল কতো দিন
কেদেছি সঙ্গীহীন
মনের উত্তাপে জ্বলে।
হারানো বেদোনা
তুমিতো বোঝনা
সঙ্গিহীন নিসঙ্গ কাক
কি করে বাঁচে।
দিন আসে দিন যায়
স্মৃতি দোলা দিয়ে যায়
কস্টরা জমা বেধে
আমাকে কাঁদায়।
মনে পরে দিবানিশি
অশ্রু ঝরে রাশি রাশি
বেদনারা দল বেঁধে
আমাকে ভাসায়।
কতোকাল হয়নি কথা
তপ্ত স্রোতের নীল তথা
বেদনার সিন্ধু হয়ে
আমাকে ভাসায়।
হয়তো হবেনা দেখা
স্মৃতি ছবি মনে আঁকা
আমি একা অবেলা
দুঃখের গান গাই।

সঙ্গিহীন ঘুড়ি

শেখ শফিউল বাসার

অনেক দিন,  তোমার সাথে কথা হয়না
হাসির মায়াতান খুলে প্রানের উচ্ছাস
প্রিয় মুখের মায়াবী হাঁসি
চোখের কোনে লুকোনো কথা
কতো দিন হয়নী বলা!।
সময়ের পথ ঘড়ি বেয়ে
অনেকটাই বদলে গেছো
রংধনুর সাত রং চৌত্রের ফাটা মৃত্তিকার মতো
ক্ষত বিক্ষত করে,  বিদ্ধস্থ করেছো ভূমি।
উত্তপ্ত ভূমির কর্কট  প্রান্তরে লুকিয়ে থাকা
তপ্ত মরু কনার মতো উরে উরে
ভেসে গেছো নিরুদ্বেশ প্রান্তরে।
কতোটা সময় পেরিয়ে গেছে
অলস একাকি বসে,
আষাঢ়ের নীল জলে মূখ ছবি একে।
স্মৃতির দেয়ালে আঁকা চিরচেনা
পথের প্রান্তরে, কতদিন
হয়নী  পা ফেলে এক সাথে চলা।
কতোটা বদলে গেছো
এখন আর আবেগী মনের প্রান্তরে
সঙ্গতার খেয়া হয়ে
আসোনা  পূর্ণ জোস্না রাতে
রুপালী চাঁদের আলোয়।
একাকি নিংসঙ্গতার জাল বুনে
স্মৃতির ভূবন প্রান্তরে
 সঙ্গিহীন  ঘুড়ি হয়ে উরি কেবল উরি।

চৌত্র

শেখ শফিউল বাসার

চৌত্রের তাপহদে মৃত্তিকার বুকে
উত্তপ্ত শিখার আবরন
দগ্ধ করে প্রকৃতির বুক।
তাপিত বায়ে অগ্নি শিখা
কর্কটায় জ্বালায় গা,
কোমল মাংস পেশীতে
জালায় অগ্নি বারুদ।
প্রকৃতির রূঢ়তা
কৃষকের ভাগ্যর প্রান্তরে
জালায় দগ্ধতার লাল বাতি।
রৌদ্র তাপতায় পোড়ে কৃষকের চর্ম
পুড়ে ছারখার কর্কট হাড়।
চৌত্রের নীলাচলে হৃদয় পুড়ে
যে তাপের সঞ্চার হয়
তাতেই প্রকৃতি হয় রুক্ষ।
প্রানের সজীবতা রুক্ষতার
নীলচাদরে আবৃত করে
তাপিত করে ভূবন।
চৌত্রের নিষ্ঠুরতা
কেবলী প্রকৃতির বুকই দগ্ধ করেনা
ভাংগে কৃষকের মন।

অগ্নিপ্লাবন

শেখ শফিউল বাসার

বুকের পাজরে পাথর চেপে
অনেকটা কঙ্কালের মতো
জিন্ন শীন্ন কুটিরে
অলস বসে থাকা
দিনের পরে দিন।
নিঃসঙ্গতার অগ্নিপ্লাবনে
দগ্ধ হৃদয় পুড়ে পুড়ে
হৃদপোড়া গন্ধ নিয়ে
আবদ্ধ কুটিরে
ঘুরে বেড়াই।
সময়ের পথচ্ছবি বেয়ে
স্রোতের শেওলা হয়ে
জলরাশি প্লাবনে
নির্বিষয় ছুটে চলি
অজানা পথ প্রান্তরে।
নিষ্ঠুর স্মৃতির দুয়ারে
অাচমকা সুখ স্বপ্ন
ভাসিয়ে নিয়ে গেল
ক্ষানিকটা দূরে।
ভুলে থাকা বিরহ প্রান্তরে
কস্টের ঝর্না ধারা হয়ে
প্রবাহিত হয়ে,
ভাসিয়ে দিয়ে গেল
অশ্রুসজল চোখ।
কেন এমন হলো
বোবা কস্টের দগ্ধ বাতায়নে
মন পিঞ্জর স্বপ্নের স্মৃতি
কল্পলোকে ছবি একে
বিদ্ধস্ত করে দিলো ভূবন।
ভালোইতো ছিলাম
পুড়ে পুড়ে দগ্ধ হয়ে
যাওয়া হৃদয় নিয়ে।
তবে কেন কস্টের সাগরে ভাসাতে
রাত্রি অন্ধকারে
নিস্তেজ স্বপ্নের ঘোরে
ভেসে উঠে তোমারি
মূখচ্ছবি।

বেদনার দোলনা

শেখ শফিউল বাসার

হটাৎ অনেকদিন পর
হৃদয়ের ভিতরটা
অশ্রু সজল নয়নে
বারংবার কেঁদে উঠলো।
কেন জানি বার বার
ঘুরে ফিরে তার ছবি
দৃস্টির পলকে ভেসে উঠে।
কেন ভুল করে
ফিরে যাই করুন স্মৃতির
দুয়ারে।
হৃদয় পোড়া কস্ট গুলো
বর্ষার জলের মতো
ঝর্ণা ধারা হয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে যায়
করুন অতিতের গহিনে,
কেন এমন হচ্ছে
ধৈর্যের বাধ যে মানছেনা।
ইচ্ছে করছে সকল
বাধার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে
ছুটে যাই তার প্রান্তে।
খেয়ালি মনের ভাবনায়
ছুটে যাই ভুল পথে।
মন কেন মানোনা!
সে যে আমার নয়,
অনেক অাগেই হারিয়ে গেছে
আমার বৃত্তের বাহিরে।
সোনালী ডানার চিলের মতো
ভেজা কোন এক বিকেলে,
কেন বারে বারে ছুটে আসো।
আমি যে আর পারছিনা
হৃদয় পোড়া
স্বপ্ন বনের রক্ত গুলো
ডানা ভাংগা কাকের মতো
বাতাসে ঝাপটায় হয় ক্ষত বিক্ষত,
ইচ্ছে থাকলেই ডানা মেলে
উড়তে পারেনা।
আমিযে আর সইতে পারছিনা
অতিতের চিহ্ন গুলো
কস্টের উত্তপ্ত লোহা হয়ে
পোড়ায় ভিতর বাহির।
অাত্ন চিৎকারে কাঁদি
বাচতে চাই বলে।
কারো করুনার একটি হাত
সহানুভূতির পায়রা হয়ে
আমার আকাশে উড়েনা
আমি যে অসহায়!
নিঃস রিক্ত।
কারো স্মৃতি গুলো
মনের বাগানে
বেদনার দোলনা হয়ে
বারে বারে খেলা করে।

অন্ধকার অরন্যে

শেখ শফিউল বাসার

গত শেষ রাতের স্বপ্নেও
তুমি এসেছিলে
বর্ষার অথৈ জলে
মুক্ত জলকনায়
পাল তোলা নৌকার
দাড় হয়ে।
রংহীন পৃথিবীর ধূসর মৃত্তিকায়
যখন আলো নিভে নিভে
অন্ধকার এর বুকে লুটে,
স্বপ্নের বিজ গুলো
কিটপোকার খাদ্য হয়ে
মিশে গেছে অবলিলায়।
ধরনীর বুকে চাঁদটা যখন
আধারের কালো মেঘে
ছেয়ে গেছে কানায় কানায়,
নিল মেঘের খেয়া গগনে
প্রবল বর্ষনে যখন
একাকার পল্লীর এধার ওধার,
কৃষকের অবসর বন্দী জীবনে
মনের আকাশে বেদনার
যে ঝড় উঠে
তাতো কোন স্কেলে পরিমাপ যোগ্য নয়।
গত রাতেও তুমি স্বপ্নে এসেছিলে
মরু তপ্ত মনে আশার ফুল ঝুড়ি হয়ে।
অনেকটা সময় সবুজ ঘাসের বুকে
কেটেছে গল্পে কথায় দু পায়ে হেটে।
পিজ ঢালা পথের বাকে
রিকসায় চরে দুর প্রান্তে।
অাবেগী মনের দরজায়
স্বপ্নের বিজ বুনে
ভাসিয়ে নিয়ে গেছো দুর বহু দুর।
মরা নদীর বাকে যেন
প্রানের সঞ্চার হয়ে
মুক্ত বিহঙ্গে জল ছল খেলা করে।
এভাবেই কেটেছে অনেকটা সময়
স্বপ্নের মায়া জালে হারিয়ে গিয়েছিলাম
মুক্ত মনে পুস্প কাঞ্চনে।
মৌমাছির মতো গুন গুনে
ছুটেছি বাগানে বাগানে।
অন্ধকারে নিমজ্জিত ভূবনে
জোনাকির আলো জ্বালালেও
মৃদু কম্পনে উরে গেল
আবেগী মনের স্বপ্ন ছায়া।
রুপালী চাঁদের বুকে
এক টুকরো কালো মেঘ
ছেয়ে দিলো আমার ভূবন।
কস্টের নিল চাদরে
যুক্ত হলো আরো কিছু পালক।
গত রাতে তুমি স্বপ্নে এসেছিলে
আকারও সেই অতীতের মতো
কস্টের নিল চাদরে জরিয়ে
আমার ভাসিয়ে গেলে
অন্ধকারের গহীন অরন্যে।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বপ্ন বনের রক্ত

শেখ শফিউল বাসার

মন তুই কেন কাঁদিস
কেন তার জন্য তোর 
এতো আকুলতা।
কেন পুরিস অগ্নিদহনে।
বর্ষার জল কানায় কানায়
পূর্ন হয়ে ভরে গিয়েছিল
বিস্তৃত খোলা মাঠের পরে মাঠ।
শাপলা শালুকের মেলায়
প্রকৃতির অতিথী হয়ে 
বুনো হাঁস এসে বসেছিলো 
জ্বলে ভাসা পদ্ম পাতায় ।
দুই ডানায় নেচে চলা ডাহুকেরা 
স্বচ্ছ জলের মাঝে
লুটোপুটি ডুবো খেলায় মত্ত হয়ে
কাটিয়েছে অনন্ত দুপুর।
জীবনের তাগিদে ছুটে চলা
ব্যস্ত মাঝী নৌকার পালে
কন্ঠে সুরের ঝর তুলে
পাড়ী দেয় তার গন্তব্যে।
কোন এক রুপালী চাঁদের জোস্না মাখা
তারামৈত্রী আকাশে
মনের তপ্তকাঞ্চনে 
হাসনা হেনা, জুঁই , চামেলীর অফুরন্ত সৌরভ
মনের বাগানে স্বপ্নের ফুল ফুটেয়েছিলো,
বর্ষার জলের মতোই
ফেরার পথে নিয়ে গেছে সবই।
জল শূন্য মৃত্তিকা যেমন
 কাঁদা আবৃত শূন্য রিক্ত।
আমার ভূবন ও শূন্য প্রকৃতির
অবলিলায় ভাসা নিস্প্রান মরুভূমি।
সে চলে গেছে
কোন হিজলের বনের শাখে
হয়তো কদম পাতার ভেলায় চরে
কোন অজানা প্রান্তে, 
আমাকে একলা পথের পথিক করে
নিংসঙ্গততার চাদরো জরিয়ে
আবদ্ধ করে দিয়েছে বদ্ধ ঘরের
আলোহীন অন্ধকার কুটিরে। 
মন!  যে যাবার সেতো চলেই গেছে
তার তরে কেন তোমার
এ হৃদয় নিংরানো আত্ননাদ।
কেন তার কথা ভেবে
অশ্রু ঝরাও অবিরত।
কেন তোমার মন
মনের ভীতরে থাকেনা,
কেন স্বপ্নের ডানা মেলে
ছুটে চলে দুর গগনে।
মন! 
কেন তুমি তার কথা ভেবে কাদো
আমাকেও কাদিয়ে করো একাকার।
আমি যে আর পারছিনা।
স্বপ্ন বনের রক্ত গুলো
আমাকে করে নির্মজিত
করে ক্ষত বিক্ষত।

নিস্প্রান

শেখ শফিউল বাসার

অনেকদিন পরে সেই চিরচেনা
গুধলীর ছায়া ঘেরা অন্ধকার পথের বাকে
সাঝের বেলায় ঘরে ফেরা
কোন পাখির ঝাকে নয়।
কোন সুরের মূর্ছনায় হারিয়ে যাওয়া
দিব্যলোকের কোন কাব্য কথার
ফুল ঝুরিও নয়।
চলেছি একা অজানা তিমির রাত্রির
গন্তব্যেহীন ধূসর মরুর প্রান্তে।
গন্তব্যের গতি বলতে কিছুই নেই
মন পোড়া বাতাসের গন্ধে
প্রকৃতির বায়ু যখন একাকার
তখনি শূন্য কবিতার ছন্দে
একাকি পথ চলি।
প্রজাপতি রংধনুর যুগ্ন রংয়ে
যখন সাজায় পৃথিবী
ফুল গুলোও ময়ুরের মতো পেখম মেলে
হাটৎ চুপসে যায় ময়ুরের মতো
গোড়ালী প্রান্তে দৃস্টি ফেলে।
আমিও বাকরুদ্ধতায় চুপসে যাওয়া
নিস্প্রান পৃথিবীর পোকা হয়ে
রেশম গুটির বিন্দু পায়ে
একাকি ছুটে চলি।
অকেক গুলো দিন পার হয়ে গেছে
এই পথের ঠিকানায় খুজে ফিরি
চিরচেনা সেই মুখ
সেই হাসির মায়াবী যাদুর
পাল তোলা কোন পানসি নাও।
কি করে এতোটা কঠিন হলে
ধংসস্তুপে ফেলে যাওয়া একটি মানুষ
জল শূন্য মরু প্রান্তে
সর্বশান্ত নাবিকের মতো
মরু প্রান্তরে দু পা গেড়ে
উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যে তাকিয়ে
হৃদয়ের মাঝে স্বপ্নের কবর টানে।
কলিজা পোড়া গন্ধ তুমিকি শুনতে পাওনা
তুমিকি হৃদয়ের আত্ননাদ বোবা কান্নায়
পুড়ে যাওয়া কলিজা পোড়া ছাঁই
বাতাসে ভাসে, তাকি দেখতে পাওনা।
কি করে আমায় ভুলে গেলে
আমিতো সারাদিন সারাক্ষণ
তোমারি অপেক্ষায় চাতকের মতো
আকাশের পানে তাকিয়ে থাকি
বৃস্টির মতো কখন আসবে।
উত্তাপে পুড়ে যাওয়া আমায়
তোমার দৃস্টির পলকতায়
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে দুর বহু দুর।
তোমার দৃস্টি জলে স্নান করে
সাজবো সুখ সজ্জায়।
আশা গুলো প্রদীপ হয়ে জলেনা
স্বপ্নের ছায়া ঘরে কস্টের দাবানল
আমাকে কেবলি পোড়ায়।
তিক্ততার রুদ্ধ কুটিরে
অলস বসে থাকা নির্ভূত পেচার মতো।
চিরচেনা সেই পথে
আজো নগ্ন পায়ে হেটে চলি
সবুজ ঘাসে লেগে থাকা তোমারী পদচিহ্ন গুলো
স্পর্শের ছোয়ায় রংতুলিতে আকবো বলে।

বিষাদের ছায়া

শেখ শফিউল বাসার

এইতো সেদিন
যেদিন তুমি স্বপ্নের বাগানের
প্রতিটি ফুল পাঁপড়ি
একটি একটি করে ছিরে ফেলেছো,
সেদিন হতে ফুল, পাতা বিহীন
সর্বহারা একটা মৃতপ্রায় বৃক্ষ হয়ে
মরার মতো বেচে আছি।
সেদিন হতে বদ্ধ কুটিরে
নিঃসঙ্গ কেটেছে সময়।
মনের সব কটা জানালা
বিবেকের পেরেকে পুড়ে
আমায় বন্দী জীবনের
এক দুঃসহনীয়
বদ্ধ পথের প্রান্তে ঠেলে দিয়েছো।
অশ্রু প্লাবিত কান্নার লোনাজল
ভাসিয়েছে বুকের পাজর,
ঝরে যাওয়া অশ্রু কনা
বিন্দু বিন্দু জমে
মনের গহিনে জমেছে এক অশ্রু সমুদ্র,
সেই সমুদ্রের লোনাজলে
বারবার ডুবে যাই,
একটু প্রশান্তির আসায়।
মন পোড়া তাপে প্রতিটি জলবিন্দু
উত্তপ্ত হতে উত্তপ্ত হয়ে
আঘাত করে মন পিঞ্জরে।
বেচে আছি না মরে গেছি
বোঝার সাধ্যটাও আজ ক্ষীন।
মনের আঙ্গিনায় আমার বাগানের
প্রতিটা বৃক্ষ কাটা, বিধে কলিজায়।
কতোদিন মাথা মূখের  কেশগুলো কাটা হয়নী
বিদ্ধস্ত নাবিকের পরাজয়ের গল্পটার মতো
অগোছালো আমার জীবন।
অন্তরের অন্তপুরে শক্ত কঠিন একটা
উত্তপ্ত পেরেক এটে
রুদ্ধ করেছে বাক শক্তি।
ইচ্ছের খেলাছলেও প্রকাশ করতে পারিনা।
প্রতিটি প্রহর আসার থেকেছি তুমি আসবে
অথবা মুঠোফোনের অবলিলায়
একটাবার হলেও খোজ নিবে।
আশা গুলি নিরাসার প্রহরে
প্রতিটি প্রহর ধুকরে ধুকরে কেঁদেছে
একটিবারও ফিরে তাকাওনী।
আমি তোমার প্রতিক্ষায় চৈত্রের
উত্তপ্ত জল শূন্য মৃত্তিকার বুকে
পুড়ে যাওয়া শস্যর মতো
অপেক্ষার প্রহর গুনেছি।
স্বপ্নভাঙ্গা প্রতিটা মুহুর্ত
কস্টের দাবানলে পুড়ে পুড়ে
অন্তর পোড়া রক্ত গুলো
তপ্ত তাপে শিক্ত হয়ে
জ্বালায় ভিতর বাহির।
অনেক গুলো দিন বেদনার প্রসবনে
নিঃসঙ্গ কাকের মতো কাটিয়েছি।
প্রতিটা মুহুর্তে তোমার প্রতিক্ষায় প্রহর গুনেছি,
সঙ্গিহীন পায়রার মতো
স্বল্পতায় নতুন সঙ্গী খুজে
ভাসিনী প্রেম লিলায়।
তির্থের কাকের মতো
প্রতিটি মুহুর্ত অপেক্ষায় থেকেছি
তুমি আসবে বলে।
অপেক্ষার প্রতিটি মুহুর্ত
বিষাদের ছায়া হয়ে
স্বপ্ন বনের রক্ত নিয়ে
মৃত্যু প্রায় বেচে আছি।

কয়লা

শেখ শফিউল বাসার

তোমাকে বোঝানোর
কোন ভাষাই আমার অবশিস্ট নেই,
দুস্টামির ছেলে খেলায়
হারিয়েছি আমার বিশ্বাস আস্থা।
শত অনুরোধ শত্যতায় ও পারিনি
তোমায় বুঝাতে।
ছল খেলার শূক্ষ সূতোয়
জরিয়ে গেছে আমার ভূবন,
অস্তিত্বের সবটুকুই আজ
নোংরা লোনা জলে নির্মজিত।
বিবেকের আগুনে পুড়ে পুড়ে
অবিরত দগ্ধ হচ্ছি।
তোমাকে বুঝানোর সকল
প্রচেস্টাই ব্যার্থ।
পরাজিত সৈনিকের মতো
ব্যার্থতার গ্লানি বুকে নিয়ে
বন্দী শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
তোমার বিশ্বাসের কুটোয় আগুন ধরেছে
সে আগুনে পুড়ে পুড়ে
কয়লা হচ্ছে আমার কলিজা
দগ্ধ হচ্ছে আমার মন।
আমি যে আর সইতে পারছিনা
বিবেকের তারনায় দগ্ধ হয়ে
কয়লার মতো নিবিরে নির্ভিতে
জ্বলে জ্বলে কয়লা হচ্ছি।
তোমাকে বোঝানোর
সকল প্রচেস্টাই আমি ব্যার্থ,
আমার ছেলে খেলার ভুল পথে
আটকে হারিয়েছি  বিশ্বাস,
তোমাকে বোঝানোর
সব প্রচেস্টাই ব্যার্থ।
সারাটি রাত একাকি বসে
অনুশোচনার দাবানলে
কয়লার মতো
তপ্ত তাপে পুড়ে পুড়ে
উত্তপ্ত দগ্ধ হয়েছি।
বিবেক আমাকে ক্ষমা করেনি
বিবেকের দংশনে ছটফট করেছি।
আজ আমি ভালো নেই
হৃদ স্পন্দন থেমে থেমে,
হার্টের গতি কমে গেছে।
কি হবে জানিনা
যার ভূবনে বসবাস
তার শপতে বলছি
এযে ছিল ছল ছেলে খেলা।

তোমাকে ভালবাসী বলেই

শেখ শফিউল বাসার

তোমাকে ভালবাসী বলেই
তোমার দেওয়া শত কস্টকে
নিরবে সয়ে যাই,
যুক্তির কথা তুলে
কখনও প্রতিবাদ করিনা।
তোমাকে ভালোবাসী বলেই
তির্যক কথার তিক্ত বর্ন গুলো
নিরবে সয়ে যাই।
চৈত্রের খড়ার বুকে
কর্কশ মাটির তাপে
ফসলের যে অবস্থা,
আমারও তাই
কিন্তু কিছুই প্রকাশ করিনা,
তোমাকে ভালবাসী  বলে।
ছল খেলার মিথ্যের বানিটাকে
সত্য বলে চালিয়ে দিলে,
এক ঝাড়ি কলংকের ফুল
অবনত মস্তকে তুলে নিলাম।
যুক্তির বাহিরে একটিবার
বিন্দু মাত্র প্রতিবাদ করিনি।
অপমানের শানিত ধ্বনী গুলো
নিরবে মেনে নিয়েছি,
কারন তোমাকে ভালবাসী।
তোমাকে ভালবাসী বলে
শত অপমানকে কিছুই মনে করিনা।
কস্ট তীব্রতর ব্যাথা নিয়ে
ছিন্ন কুটিরে ছটফটে
বসে থাকলেও
তোমার করুনা প্রত্যাশা করিনা।
তোমাকে ভালবাসী বলেই
কস্ট বেদনা বুকে পুষে রাখি
এক বিন্দুও প্রকাশ করিনা।

তোমাকে ভালোবেসেই যাবো

শেখ শফিউল বাসার

এটা কোন বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার
সর্বশেষ লাইন নয় যে
এখনি তার ইতি টেনে
সমস্ত গল্পের যবনিকা একে দিবো।
এটা প্রভাতের উদিত সূর্যের
দিপ্তকিরনে হাটাৎ ভেসে আসা
এক ফালি কালো মেঘ ছায়া,
যা সূর্যের আলোকে ঢেকে ফেলে
পৃথিবীকে অন্ধকার বানিয়ে
কালো কালিমায় মেতেছে।
হটাৎ চারদিক আলো শূর্ন্য
কোথাও কারো অতিস্ত সাদৃশ্য নয়।
অন্ধকারের বুকে জোনাকি সম
আলোর দিপ্তকিরন জেলে হলেও
আমি খুজবো তোমায়।
একটা পৃথিবীর সমস্ত ভূমির
উত্তাপ সয়েও আমি তোমায়
নিশিপথ এক করে
পথের বাকে বাকে খুজেবো।
সময়ের খেলা ঘড়ে  কতো সময়
এ অন্ধকারের মাতামাতি থাকবে
আমিতা জাবিনা, তবে
রেসম গুটির মতো বিন্দু পায়ে
হেঁটে হেঁটে পাড়ি দিব এক পৃথিবী।
এটা কোন পথের শেষ নয় যে
এখানেই থেমে যাবো,
হৃদয়ের মাঝে পথ চিহ্ন একে
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে
আদি অনন্ত পথে খুজবো তোমায়।
এটা কোন স্থল সিমার শেষ
প্রান্ত নয় যে
জলরাশি বাধা হয়ে দাড়াবে,
উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে
দিপ্ত মনের শক্ত বায়ে
সাতরিয়ে পাড়ী দিব সমস্ত ভূবন।
তোমাকে ভালবাসী বলেই
তাপিতো রুদ্র দাবানল বুকে চেপে
মরু প্রান্তরে হেঁটে যেতেও
একটুও পিছপা হবোনা,
সুক্ষ কাটা তারের বেড়া  বেয়ে
ছুটে যাই তোমার ভূবনে।
যেখানে চারোদিক
একটা অদৃশ্য সূতোয় বাধা,
সাধ্যর খেয়া ভেদ করে যেতে পারিনা
ফুলের গন্ধ ভরা তোমারি পাশে,
আমিযে আবদ্ধ মিথ্যে কালিমায়।
এটা কোন ঘড়ির কাটার শেষ বিন্দু নয়
যে এখনি থেমে যাবে।
এটা আমার ভালবাসার ভূবনে দীপ্ত সফত
তোমাকে হৃদয়ের অন্তপুরে ভালবেসেছি,
তোমাকে ভালবেসেই যাবো।
প্রকৃতির রুদ্র আচরন
প্রকৃতির সব কিছু থমকে দিলেও
তোমাকে ভালবাসা রুখতে পারবেনা।
অন্তরের সবটুকু  জুরে ভালবেসেছি
অন্তরের সবটুকু দিয়েই ভালোবেসে যাবো।

বিরহ বেদনে

শেখ শফিউল বাসার

ভালো আছি বল্লে
বড় একটা মিথ্যা বলা হবে
সত্যকে আরাল করে
মিথ্যের বুকে মাথা লুকানোর মতো।
সময়টা বড্ড বিপরীত
সাদাটা নিমেষেই কালো হওয়ার মতো,
সুখের চিলগুলো
উড়ে যায় দু ডানায়
দুর বহু দুর।
বাতাসের ঝাপটায়
মেঘ গুলো এলো চুলে উরে যায়
পথ হারা আকাশের পথে।
কখনো কালো মেঘ
কখনও সাদা মেঘের ভেলা
ভাসিয়ে নিয়ে যায়
অজানা কোন পথের বাঁকে।
সময়টা বড়ই করুন
কতোটা কষ্ট পেলে একটা মানুষ
নিরবে নির্ভিতে কাদে।
কষ্টের লোনা জ্বলে
বুকের দাবা নলে
অগ্নি প্লাবনে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
কোন দুঃখ সম পাহাড়ের
অন্ধকার পদদেশে।
বুকফাটা আর্তনাদে
আকাশ ভারী হয়ে উঠে
পথ চলা মানুষগুলো
কখনও কি তার খোজ রাখে।
সময়টা বড়ই অসময়
বিরহ আগুনে পুড়ে যাওয়া
কলিজা পোড়া গন্ধ
কেউ কি পায় ???।
ভাগ্যটা বিষন্নতার ছায়া তলে
কালো নিলিমা একে
মিথ্যের নৌকায় ভেসে
বয়ে যায় গন্তব্যহীন অজানায়।
বিরহ বেদনে দগ্ধ মনে
বোবা কান্নায়, মনের আকুতি
হয়তোবা  কারো মনে
একটুও সহানুভূতি জন্মাবে না।
সময়টা বড়ই করুন
সত্য আর মিথ্যের মাঝামাঝি
একটা অপবাদের মালা গায়ে জরিয়ে
নিরব কান্নার মাঝে
কতোটা অসহায় এর মতো
বেঁচে ও মরে গেছি।
সমস্ত অর্জন গুলো
লোলাজলে বির্সজন দেওয়ার মতো।
আমি আজ ভালো নেই
অজানা পথের প্রান্তরে
নাবিকের মতো কারো অপেক্ষায়
দিনের পর দিন বসে থাকা।
সময়টা বড়ই নির্মম
সব কিছু আজ ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়,
আমি আজ নদীর বাকে বসে থাকা
একাকি পথিক।
বিরহ বেদনে পুড়ে পুড়ে
ছাঁই হয়ে উড়ে উড়ে
প্রকৃতি বাতাসে ভাসি।

আমি ভালো নেই

শেখ শফিউল বাসার

আমি ভালো নেই
বিরহের সূক্ষ সূতোয়
আটকে গেছে  জীবন।
মৃতপ্রায় কংকালের মতো
মনো অস্থি মজ্জা।
চোখ দুটো অসহায় এর মতো
ছোট্র পথের বাকে তাকিয়ে থাকে
কারো নপুরের ভাজ তোলা
ছন্দ সুর পেতে,
তুমি আসবে বলে নিদারুণ অপেক্ষায়।
পত্র পল্লবে বসে থাকা
সঙ্গিহীন কাকের মতো
দুই পায়ে ভর করে
আকাশের বুকে
মনের রংতুলিতে প্রিয়তমর ছবি আঁকে।
যদি মুঠোফোনে
মনের একটা সেল্ফি তোলা যেত,
তাহলে তুমি বুঝতে
কতটা কলিজা  পুড়ে পুড়ে
তোমার ছবি একেছি।
পোড়ামনের প্রতিটা বিন্দু বিন্দুতে
তোমার অস্তিত্ব, কতোটা ভালো বেসেছি তোমায়।
মেঘ গুলোকেও বড় অসহায় মনে হয়
বাতাসের ভেলায় ভেসে যায়
অজানা পাল তোলা নৌকায়,
মাঝির কন্ঠে বিরহের সুর তুলে।
আমি ভালো নেই
তুমিহীন পৃথিবীর বুকে
রাস্তার নুরি পাথর হয়ে
জিন্ন শিন্ন রিক্ততায় বেচে আছি।
রুপালি চাঁদের আলোতে
পৃথিবীর বুকে হেটে চলা
প্রিয়তমার কন্ঠ, ছবি
কতোদিন দেখিনি।
মৃতপ্রায় মানুষের মতো
একটা বন্দি জীবনে
কঠিন পাথরে হৃদয় চেপে
অসহায় এর মতো বেচে আছি।

বেদনার বালুচরে

শেখ শফিউল বাসার

বেদনার বালুচরে বাসা বেধেছি
একবুক কস্ট আর না বলা কথা নিয়ে
যা প্রতিক্ষনে আমাকে ভুমরে ভুমরে কাদায়
হারানো দিনের আনন্দের সেই
ফেলে রাখা স্মৃতি গুলো
বারবার দোলা দেয় মনে।
নীরব যন্ত্রনা আমাকে গ্রাস করে ফেলেছে,
বিচিত্র কস্টের দাবানল গুলো
আমাকে জালিয়ে পুড়িয়ে করে ছারখার।
অসহ্য যন্ত্রনা বুকের পাজরে
ভীষন ভাবে আঘাত করে
যার যন্ত্রনায় আমি ছটফট করি
আর চিৎকারে কেঁদে উঠি
বাচাও বাচাও বলে।
কেউ আসেনা আমার পাশে
আজ আমি নিঃস রিক্ত
পাশে দাড়াবার কেউ নেই
আপন রুপ গুলো দুরে সরে গেছে!
অচেনা অন্ধকারের মাঝে আমি
একাকি নিরব ক্ষনে বেচে আছি!
হাহাকার শূন্যের মাঝে বেচে আছি।
পিপাসায় বুক ফেটে যায়
মুখে একফোটা জল তুলে দেবার মতো
কেউ নেই আমার পাশে,
যে ছিল সে চলে গেছে
কোন নতুন সুখের ঠিকানায়।
তার মনের খুশিতে দিয়ে গেছে
আমার এই একাকি জীবন
একাকি পথচলা
করুন এই বেদনার বালুচরে।

ভালোবাসী তোমায়

শেখ শফিউল বাসার

এক একটি রাতকে
হাজারো রাতের মতো মনে হয়।
জোনাকি পোকাগুলোও আলো জালিয়ে
হয় ক্লান্ত। হুতুম পেচা হিজলের শাখে
একাকি নিরন্তর ডেকে
কেঁদে কেঁদে হয় নির্জীব।
রাতের আকাশেও তারা নেই
একটুকরো কালো মেঘ
একটা চাদরে ঢেকে দিয়েছে সমস্ত পৃথিবী।
পৃথিবীর বুকেও আজ বিরহের ছায়া।
অাধার রাতের ঝিঝি পোকাগুলো
সঙ্গী আমার একাকি বিনিদ্রিত রাতের।
কতোটা অসহায় এর মতো
আবদ্ধ জীবনের পথে
একাকি পথ চলা।
আমি আজ ক্লান্ত
দৃস্টির সবটুকু জুরে
তোমারী অস্তিত্ব।
মনের কুটিরে আঁকা প্রতিটি ছবি
আমার হৃদপিঞ্জরে আঘাত করে
আমি সহ্য শক্তি হারিয়ে ফেলি
বোবা কান্নায়, অশ্রু সজল নয়নে ভাসাই বুক।
কস্টের তীব্রতা নিসিদ্ধ জলের
উন্মাদনাকেও হার মানায়।
বিরহ অগ্নিদহনে পুড়ে
হৃদপোড়া গন্ধে একাকার আমার ভূবন।
আমিযে আর সইতে পারছিনা
তুমিহীন একা আমি
দাড়িয়ে আছি একটা
রিরহ বিদ্ধস্থ ভূমির কংর্কর প্রান্তে।
মনের ভূমিতে শুস্ক  মাটির তপ্ত তাপে
ফেঁটে চৌচির মনো আত্তা।
আমিেয আজ কতোটা অসহায়!
ছল খেলার মিথ্যে ভূলে
আমি হারিয়েছি আমার পৃথিবী।
স্বপ্ন বনের রক্ত গুলো
মন পিঞ্জরে বেঁধেছে বাসা
আকাশের বুকে ভাসা রুপালী চাঁদটাকেও
অসহায় এর মতো লাগে।
বুক ফাটা আর্তনাদে ভরা বিদ্ধস্থ মন
আকুতির কন্ঠে কেঁদে কেঁদে
অশ্রুসজল নয়নে বারে বারে ডাকে,
ফিরে এসো তপ্তমনে অাষাঢ়ের
স্বচ্ছ জল ধারা হয়ে।
তাপিষ্ঠ হৃদ চিৎকারে বলতে চাই
ভালোবাসী তোমায়।

ফিরে এসো তুমি

শেখ শফিউল বাসার

তুমিতো আমার সবই জানো
ক্ষুদ্র হতে বেড়ে উঠার সবটুকু
বিন্দু বিন্দু করে বলেছি তোমায়।
আধার রাতের রুপালি চাঁদের
জোস্নার আলোক ধারার
প্রতিটি কাব্যর প্রতিটি বর্ন বলেছি তোমায়।
মনো পিঞ্জরে জমা থাকা
প্রতিটি কথাই বলেছি।
জানামতে কিছুই গোপন রাখিনী।
তুমিতো আমার সবই জানো,
রংতুলিতে আকা প্রতিটি ছবির
নকশার ভাজটুকু  প্রর্যন্ত বলেছি তোমায়।
কৌশলে পথ চলার
গুপ্ত সমীকরন ও বাকি রাখিনি।
হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি কন্ঠের নিল
চাদোয়ায় তোমায় বলেছি।
আমার বলতে যা, তার কিছুই বাকী রাখিনী,
তোমাকে আমার পৃথিবী ভেবে
প্রতিটি পালকে পালকে প্রকাশ করেছি।
তুমিতো আমার সবই জানো।
তবে কেন একটি ভুল ছেলে খেলা
এতোটা বিশ্বাস করে
আমাকে বানের জলে ভাসিয়ে
নিজেকে আড়াল করে নিলে।
আমি যে সইতে পারছিনা
তুমিহীন আমার পৃথিবী
অস্তমিত রবীর মতো।
অন্ধকারের বুকে মাথা লুটে
বোবা কান্নার লুটোপুটি।
আমি যে বড় অসহায়
নেশায় আসক্ত উন্মাদ বালকের সম
একই বৃত্তে আমার জীবন।
প্রতিটি রাতের অন্ধকার
কস্টের তপ্তস্রোত হয়ে
আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়
রক্ত ভাসা স্রোত জ্বলে।
মধ্য রাতে চিৎকারে কাঁদা
হুতুম পেচার মতো কান্নায়
বিদ্ধস্থ আমার জীবন।
তুমিহীন আমি ভালো নেই
বিরহ কস্টে মনের অন্তরে
অঝরে রক্ত ঝরে,
আমি আজ অসহায়
তোমাকে ভুলে থাকার আসায়
সেম্পেনের তীব্রতাও পারেনা
আমায় ভুলিয়ে রাখতে।
আমি যে আর পারছিনা
তুমি ফিরে এসো আমার তপ্ত পিঞ্জরে
ভুল টুকু ক্ষমা করে,  ফিরে এসো,
আমি যে কতোটা অসহায়
ডানা ভাংগা পাখির মতো আবদ্ধ
ইচ্ছের ডানা মেলে উড়তেও পারিনা
চলতেও পারিনা।
ফিরে এসো তুমি,  ফিরে এসো।

কয়লা

শেখ শফিল বাসার

হেটে যাওয়া পথ প্রান্তরে
পরে থাকা এক টুকুরো কয়লা
পায়ের নিচে পিষ্ট হলো,
এটকু তাকিয়ে দেখলাম
ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেছে।
অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে
অনেকটা সময় ভাবলাম
একদিন ওতো সতেজ ছিলো
কারো ভালবাসায় পুড়ে পুড়ে
দগ্ধ হয়ে,একটা সময়  হয়েছে কয়লা।

হৃদয়ের সবটুকু উজার করে
কাউকে ভালবেসেছিলো,
সেই ভালবাসার উত্তাল দ্রুতি
জালিয়ে পুড়িয়ে সর্বশেষ করে
বানিয়েছে কয়লা।

দগ্ধ বাতায়নের দার খুলে
একটু একটু করে
তপ্ত আগুনে জ্বলে জ্বলে
নিজের সবটুকু জালিয়ে
হয়েছে শান্ত।

কয়লা! কতোটা ভালোবেসেছো তাকে?
যার জন্য একটু একটু করে
নিজেকে জালিয়ে পুড়িয়ে
ছারখার করে দিয়েছো!

অস্তিত্বের সবটুকু
তার পায়ে ঠেঁলে
নিজে নিজেকে জালিয়ে
 সেজেছো কয়লা।
অন্তর পুড়ে দগ্ধ হয়ে
আজি পরে আছো  পথের প্রান্তে।
পাদুকায় পিষ্ট হয়ে
একটু একটু করে হচ্ছো অস্তিত্বে  বিলিন।

একটা সময় হয়তো মিশে যাবে
পথের ধূলোয়।
কয়লা! তোমার পানে তাকিয়ে
আজ নিজেকে অনেকটাই
অসহায় অসহায় লাগছে,
দুই চোখের বারিধারায়
অশ্রু প্লাবিত হয়ে
ভাসিয়ে দিচ্ছে বুক।

তোমার মতো তপ্ত আগুনে পুড়ে
আমিও যে হয়ে যাচ্ছি কয়লা।
মন পোড়া কস্ট নিয়ে
বুকের আগুনে জ্বলে জ্বলে
নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি।

আমি কি করবো,
তুমিকি বলতে পারো,
তার ভালবাসায় পুড়ে পুড়ে
অন্তর বৃত্ত জালিয়ে
আমি শেষ হয়ে যাবো।

আমি যে আর পারছিনা
তাকে ছারা কতোটা অসহায় আমি
পথের ধূলোর মতো
উড়ে উড়ে নিঃস হচ্ছি।
কয়লা, তুমি তাকে বলোনা
তাকে ছারা আমার বেঁচে থাকা অর্থহীন,
আমি তাকে ভালোবেসে
তোমার মতো পুড়ে পুড়ে
ণিঃশ্বেষ হয়ে মরে যেতে চাই।

তুমি কেন বোঝনা

 শেখ শফিউল বাসার

বেশ ক,দিন যাবৎ
মনটা বড়ই বেখেয়ালী।
কেন যেন মনটা
 মনের ভিতর থাকেনা
উদাসী দুপুরে বাতাসের ঝাপটায়
এলোমেলো হয় মনের গতিপথ।
কেন যেন সব কিছুই
হারিয়ে যায় লোনা জ্বলে।
অনেকটা অসহায় এর মতো
বন্দী জীবনের পথে
একাকি একা পথে হাটি।
কোথাও কারো সঙ্গতা নেই,
নিঃসঙ্গতার চাদর গায়ে জরিয়ে
করুন অর্তনাদে কাটে সময়।
যার তরে আমার এ বিরহ বেদন
সে কি বুঝে, তাকে ছারা
কতোটা করুন অসহায়
আমার জীবন,
মরু প্রান্তরে পরে থাকা
উত্তপ্ত গিরগিটির মতো
মনের উত্তাপে জ্বলে
আমি যে ছারখার।
আমিযে আর পারছিনা
সমস্ত মনের আকাশে তোমার বিচরন।
প্রতিটি মুহুর্ত মনের আত্বলোকে
তোমারী ছবি আকে।
মনের রংতুলির প্রতিটি চিহ্ন
তোমাকে ঘিরে।
তুমিহিন পৃথিবী কল্পনাই করা যায়না,
আমি যে আধারের বুকে
মশাল জেলে দিপ্ত পায়ে
দাড়াতে পাড়িনা।
আমার চারপাশ
কাটা তারের বেড়ায় আবৃত।
মনের ভাবনাগুলো ও
 প্রকাশ করতে পারিনা,
চিপসে যাওয়া হৃদ পিঞ্জর
আমায় বোবা বানিয়ে দিয়েছে
বোবা অার্তনাদে হৃদয় ফাটে
কিন্তু মনের কথা প্রকাশ করতে পারিনা।
নিদারুণ অসহায় আমি
চারদিকে কস্ট নিলিমার হাতছানি
কোথাও যে একটু সহানুভূতির
বিন্দু মাত্র স্পর্শ নেই।
আমি যে কতোটা একা
সকলের মাঝে থেকেও
নিদারুণ একা।
চারপাশের মানুষ গুলো
হাঁসি মূখ দেখলেও
পুরে যাওয়া অন্তরের
খোজ কি কেউ রাখে।
অন্তর পোড়া কস্ট গুলো
বেদনার ছাই হয়ে
মনের তপ্ত বাগানে
বারে বারে ঘুরে ফিরে।
ঘূনিঝড়ের ঝাপটার মতো
একাকার করে অন্তর বৃত্ত।
তুমি বুঝ কি বোঝনা
আমি জানিনা, আমার বিবেচনায়
তুমি অনন্যা বুদ্ধীমতি।
তুমিতো সবই আমার জানো,
অন্তর বৃত্তের সব কিছুই
একটু একটু করে বলেছি তোমায়।
আমার কোন কিছুইতো
তোমার অজানা নয়।
তবে কেন বোঝনা
তোমার জন্য আমার এ ব্যকুলতা
মনের গহিনে কলিজা খোদাই করে
তোমার নাম লেখা।
তুমি কেন বোঝনা
প্রতিদিন তোমার কথা ভেবে
অশ্রুসজল নয়নে অনেকটা
অসহায় এর মতো
নিরবে কাঁদি।
একটা ঘুমের ট্যাবলেট এখন আর
ঘুমের রাজ্যে নিয়ে যেতে পারেনা।
এক বা একাধিক হলেও
পারেনা তোমার স্মৃতির বাগান হতে
একটু হলেও দুরে রাখতে।
অনেকটাই দূর্বিসহ
জীবনের পথে হাটছি।
তোমার জন্যই বাচতে ইচ্ছে করে
তবুও বাচতে পারছিনা,
বিন্দু বিন্দু করে হাটা পথ
অনেকটাই সরিয়ে নিয়ে গেছে
স্বচ্ছ জীবনের পথ হতে।
হার্টের ভিতরটাও কেমন যেন
অস্বাভাবিক মনে হয়।
তার পরেও তোমার জন্য
কিছুটা হলেও বাচতে ইচ্ছে করে।
জানিনা বাচব কি না মরে যাবো।
তবে অন্তরের গহিনে
তোমার ছবির প্রান্তরে
কেউ স্পর্শ ও বুঝবেনা,
আমি যে তোমায় কতোটা ভালবাসী
প্রতিটি রক্ত বিন্দুতে
শিরায় উপশিরায় তুমি প্রবাহিত।
তুমি কেন বোঝনা
তোমায় কতোটা ভালবাসী।
আমার যা কিছু আছে
তার সবটুকু উজার করে
তোমায় ভালবেসেছি।
বেশ ক দিন যাবৎ
সব কিছুই কেমন যেন
উলট পালট  লাগছে।
মনটা সব সময় অসহায় এর মতো
নিরবে নির্ভিতে কাঁদে।
কোন শান্তনায়
স্থির হয়না মন!
মন! তুই কেন কাদিস
আমিযে নিদারুন ব্যার্থ
তোকে শান্তনা দেবার
কোন ভাষাই আমার জানা নেই।
আমি যে আর পারছিনা
আমার অসহায় একাকি
জীবনের পাশে একটু
শান্তনার বৃস্টি হয়ে ফিরে আসো।
আমি যে তোমাকে ভালবাসী।
তুমি ছারা আমার জীবন
অসহায় মৃতপ্রায় কঙ্কালের মতো।
আমি যে আর পারছিনা
ফিরে আসো তুমি, ফিরে এসো।

ফিরে তাকাও

শেখ শফিউল বাসার

ঘৃনার রাজ্যে আবৃত আবদ্ধ কুটিরের
একটা জানালা খুলে
অন্তত একটিবার তাকিয়ে দেখো
তুমিহীন কতটা অসহায় অামি।
সময়ের হাত ঘড়ি বেয়ে
পরাজিত সৈনিকের মতো
বন্দি জীবনে অতৃপ্ত স্বপ্ন
মনের গহিনে লুকিয়ে
মরার মতো বেচে আছি।
দুচোখের স্বপ্ন গুলো
কান্নার লোনা জল হয়ে
ভাসায় অন্তর বৃত্ত।
একটা সময় রুপালী চাঁদের
জোস্না মাখা পূর্নিমার আলোয়
মনের রং মিশিয়ে স্বপ্নের
রং তুলিতে তোমার মূখচ্ছবি একেছি।
মনের ক্যানভাসে আঁকা ছবিটা
অন্তরের গহীন পিঞ্জরে
সঞ্চিত করে রেখেছি।
প্রকৃতির শত বৈরিতা
একটু আঁচ ফেলতে পারেনি
মনের পটে আঁকা ছবির
অববয়ে।
ভাগ্য ক্রিয়ার রিপুতে
বদলে গেলো সমস্ত পৃথিবী।
আমি আজ কতোটা অসহায়
বেদনার প্রসবনে বাসা বেঁধে
অন্তর পোড়া কস্ট নিয়ে
মরু ভূমির তপ্ততাপে
হৃদয় পোড়ে।
কতটা করুন,
কতটা যাতনার সময় আমার
ডানা কাটা পাখির মতো
রক্তাক্ত ক্ষত হয়ে
ধুকরে ধুকরে মরি।
একটিবার মনের দার খুলে
দেখো আমার অসহায়ত্বের চিত্র,
তুমি ছারা কতোটা
নিস্প্রান আমি,
বেচেও মারার মতো বেচে আছি।
করুনার দরজা খুলে
একটিবার ফিরে তাকিয়ে দেখো
তোমার তরে একটা মানুষ
মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়ে
তোমারী অপেক্ষায়
অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে।
আমিযে তোমায় ভালবাসী
চিৎকার করে বলতে যেয়ে
বুক ফেটে যায়, বলতে পারিনা।
ক্ষমা করো মোর অপরাধ।
এতটা কঠোর হইওনা
আমি যে আর পারছিনা।
সহানুভূতির দরজা খুলে
একটি বার তাকাও আমার পানে,
তোমার ভালবাসার পোড়া ছাই হয়ে
বাতাসে ভাসি।
ফিরে তাকাও এই প্রান্তে
আমি যে আর সইতে পারছিনা।
ফিরে তাকাও একটি বার ফিরে তাকাও

তুমিহীন অামি

শেখ শফিউল বাসার

এইতো সেদিন
যে দিন তোমার সাথে
শেষ কথা হয়েছিল,
সে কথার প্রতিটি ধ্বনী
এখনো কানে বাজে।
আমি বুঝিনি আমার অভিমানের মাঝে
কেটে যাওয়া দিনগুলো
কারো হাতে আবদ্ধ
নাটাইয়ের খেলার  সূতোয়
 বন্দী ছিলো।
হটাৎ উরে আসা সূতো ছেরা
একটি ঘুড়ি এসে বাধে
 আমার নাটাইয়ের ভাজে,
দুস্টামির ছেলে খেলা ভেবে
আমিও একটু সূতোয় ঢিল ছারি
কৌশলে আটকাবো বলে,
সময় তার উল্টো জবাব দিলো
আমিই সেই ভাজে আটকে গেলাম।
একটা সময় হয়ে গেলাম
কাদা মাটির পুতুল।
পরিনামের কাঁথায় কলংকের তীর হয়ে
এসে বিধলো বুকের পাজরে।
হয়ে গেলাম নন্দিত নরকে।
অনেকদিন পরে সর্বশেষ
যেদিন তোমায় ফোন দিয়েছিলাম
সে দিন তোমার কন্ঠের ভাজে
সমস্ত পৃথিবীটা উল্টে গিয়েছিলো
প্রথমত বুঝিনী। ক্ষানিক পরে
বুঝে গেলাম, সূতো ছিরে উরে এসে
নাটাইয়ের ভাজে আবদ্ধ ঘূড়ির ঠিকানা।
তুমিই সে খেলার কৌশলী।
যাক, তার পরে যা বলেছিলে
সেই কথা গুলো আজও ভুলতে পারিনা
সদা সর্বদা ঝিঝি পোকার
গানের মতো সুর তুলে বাজে।
সে দিন কিছুই বলা হয়নী।
শুধু নিরবতার কোলে মাথা ঠেলে
অনেকটা অসহায় এর মতো
সব গুলো ধ্বনী শ্রবন করেছি।
তারপর অনেকগুলো দিন
আর কোন কথাই হয়নি।
কোন দিন হবে কিনা তাও প্রশ্ন বিদ্ধ?
সেদিনের পরে কতোটা দিন
জিন্দা লাশের মতো কাটিয়েছি
শূন্য পেটে, নির্ঘুম আকাশের
তারার পানে তাকিয়ে।
এ জনমের কলংঙ্কের
চাদর জরিয়ে আমি যে অপরাধী।
সমস্ত বিশ্বাস যুক্তির ধারায়
পরাস্ত হয়ে অসহায় এর মতো
মরার মতো বেঁচে আছি।
সে দিনের সেই কথার ধ্বনী গুলো
এখনো কানে বাজে।
আমি আজ পরাজিত
কোন কথাই যখন যুক্তির দুয়ারে ঠাই পায়নি
তখন কি বা করার আছে আমার।
সমস্ত কথার শেষে
একটি কথাই বলতে পারি
তুমি যেমনটা ভাবছো আমি তেমন নই।
একটা খেলায় কৌশলে পরাস্ত করে
ভেবোনা আমি......???
সর্বশেষ একটি কথাই বলবো
হাজারটা পরিক্ষায় ও আমাকে
দোষী বানাতে পারবেনা,
কারন আমি যে তেমন নই।
এখন আমার দিন কাটে
একবুক কস্ট বুকে চেপে
নিদারুণ অসহায় এর মতো
পথের বাঁকে তাকিয়ে থাকি।
রাত্রী যত গভীর হয়
মনের জমিনে বাসা বাঁধা কস্ট গুলো
ছারিয়ে পরে সমস্ত শিরায় উপশিরায়।
বেদনায় কাতর হয়ে
পরাজিত সৈনিকের মতো
ঘৃনায়,লজ্জায়, অপমানে
নেশার বুকে ঠাঁই নিয়ে
হারাতে চাই কোন অজানায়।
কিন্তু তাও যে পারিনা
মাদকের নেশার তীব্রতাও
পারেনা তোমাকে ভুলাতে।
আমি যে বাস্তবতার
 করুন সমীকরনে আটকে গেছি,
এ পথের ঠিকানায় হাটতেও পারিনা
আবার না হেঁটেও বাচিনা।
কি করবো তাও জানিনা।
সকল প্রশ্নের জবাব গুলো
যখন অন্ধকারের বুকে মাথা গুজে
তখন জোনাকির আলোর মতো
বিন্দু সম আলো মনের মাঝে
একটু একটু করে উকি মারে।
তাতেই আমি মনের আগুনে
পুড়ে পুড়ে হই অগ্নি দগ্ধ।
আমি যে আর সইতে পারছিনা
প্রতিটি কথা প্রতিটি স্মৃতি
মনের পাজরে আঘাত করে,
উন্মাদের মতো সর্ব ঞ্জান হারিয়ে
পাগলের মতো পথে পথে ঘুরি।
কিছুই নেই আমার
সমস্ত পৃথিবীর বুকে কালো অন্ধকার
একত্রে ঘনিভূত হয়ে
গ্রাস করেছে পৃথিবী।
আমি জানিনা বাচব কিনা মরে যাবো
ভাবনার সমস্ত ভূবন জুরে
তোমার ছবি, একটি মুহুর্তেও
ভাবনা হতে বাদ দিতে পারিনা।
বড়ই করুন সময় আমার
বেদনার লোনাজ্বলে বন্দী জীবন
ছায়া ঘেরা আধারের বুকে
নিরবে নির্ভিতে কাঁদে।
আমি যে আর পারছিনা
তুমিহীন বেচে থাকা জীবন আমার
এ যেন অন্ধকার কোন এক কবর।

তুমিকি বলতে পারো?

শেখ শফিউল বাসার

আমরা সকলেই জানি
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত
মানুষের বিবেক,
সেই বিবেকের আদালতে
নিজেকে অপরাধী বানিয়ে
নিজেই নিজের শাস্তি দিয়েছি।
একটুকুও পক্ষ পাত করিনী।
আমার বিশ্বাস,তুমি বিচারক
হলেও এতোটা শাস্তি দিতেনা
একটা সময় একটু হলেও
করুনা হতো।
আমি এতটুকু করুনা করিনী,
বিবেকের আদালতের রায়
বিন্দু বিন্দু করে
পূরন করেছি।
এতোটা কঠোর তুমিও হতেনা
মৃতপ্রায় একটা মানুষের উপর।
অসহায় এর উপর চাবুক চালানো
কস্ট যেমন সকলের মনে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়
তেমনি আমি অসহায় মনটাকে
করুন আঘাতে জর্জরিত করে
ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছি।
ব্যাথার তিক্ততা রক্ত বিন্দুর
প্রতিটি রঞ্জে রঞ্জে।
আর্ত চিতকারে মৃতিকার বুকে
কম্পন হয়েছে, তার পরও একটু
বিন্দু সম থামিনী।
যার খাদ্য তালিকা শূন্যের কোঠায়
রাতের ঘুমহুলো হারিয়ে গেছে
সাগর হতে ভেসে আশা
কোন উজানের ঢলে।
 রংধনুর সাতরং এর মতো নয়
আমার জীবন বৃত্ত,
জীবনের রংগুলো হারিয়ে গেছে
ধূসর রং হীন কোন পায়রার
ঝরে যাওয়া পালকের মতো।
আমি যে ভালো নেই
সময়ের খেলা ঘড়ে
আমি যে বন্দী,
কারাগারে থাকা সাজা  প্রাপ্ত
আসামির মতো।
স্বপ্নের প্রকাশ
চার দেয়ালের লোহার খাচায় বন্দী।
আমি নিজেকে অপরাধীর
উচ্চ শিখরে বসিয়ে
করেছি নিজেই নিজের বিচার।
আমি যে আর পারছিনা
বেদনার নীল ছবিগুলো
কস্টের দাবানল হয়ে
পোড়ায় অন্তরের অন্তর।
আর কতো সময় অগ্নিতাপে পোড়ালে
ক্ষমা হবে আমার অপরাধের।
আমি যে সইতে পারছিনা,
মধ্য রাতের তারাগুলো
বেদনার তীর হয়ে
বিদ্ধস্থ করে মনের ভূমি।
কতোটা অসহায় আমি
তোমার ছবি গুলো আমার চারপাশে
অবিরত ঘুরেফিরে,
ইচ্ছা থাকলেও মনের হাত বাড়িয়ে
ছুতে পারিনা।
আমি যে আর পারছিনা,
কতোকাল থাকতে হবে
এই আবদ্ধ কুটিরে
জীবন্ত লাশ হয়ে,
তুমিকি বলতে পারো?।

কয়েকটা মিনিট পূর্বে

 শেখ শফিউল বাসার

এইতো কয়েকটা মিনিট পূর্বে
যখন বৃস্টি থেমে গিয়েছিল
পিজ ঢালা পথের বাঁকা
সরু সংযোগ প্রান্তে
কয়েকটা সেকেন্ডের জন্য
বাইক আর রিকসার ক্রসে
পর্দায় আবৃত কোন এক
চিরচেনা দুটি চোখের আলিঙ্গন
থমকে দিয়েছিল
সমস্ত মস্তিস্কের সকল চিন্তা।
ও তখনো মোবাইলের বাটন চাপে
মাথাটা নিচু করে, চোখ দুটো
মুঠোফোনের স্কিনে।
আজও ভুল হয়নী
অন্য কোন দিনের মতো
সালাম দিতে।
রিকসার চাকাটা আমাকে এড়িয়ে
যখন দু ফুট সামনে বাড়ালো
তখন এক দৃস্টি তাকি
জানতে চাইলো
আমিকি ভালো আছি।
সময়টা তখন কয়েক সেকেন্ড
থমকে যাওয়া আমার পৃথিবীর মতো
সময়ের হাত ঘড়িটা থেমে যায়নী।
ও চলে গেল........?
আমিও থামিনী!
একটু সামনে বাড়িয়ে
ব্রেকের উপরে চেপে ধরলাম,
থমকে দাড়ালাম আমি সহ,
ভেবে ছিলাম যদি ও থামে
যদি নেমে এসে সামনে দাড়ায়?
চাকার গতি থামনে একটু একটু করে
পাড়ী দিয়ে গেল আমার দৃস্টির বৃত্ত।
অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে
বুকের কোনে কিঞ্চিত
কস্টের একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ
বুকে চেপে ফিরে এলাম
নিজ গন্তব্যের পথে,
ও চলে গেলো
একটিবার ও পিছন ফিরে তাকায়নী।
কতো দিন পরে
চিরচেনা চোখ দুটোর পলক
ফেলার পূবেই চলে গেল।
কিছুই বলার ছিলনা
অসহায় এর মতো
কিছুটা সময় তাকিয়ে
দুফোটা অশ্রু কখন যে
চোখের কোনে জমে গিয়েছিলো
টেরই পাইনী।
তারপর অশ্রুটুকু মুছে
ফিরে এলাম নিজ গন্তব্যে।

পাখি

শেখ শফিউল বাসার

তোমার বাড়ীর ছাদের কোনার
বড়ই গাছের ডালে একটা পাখি
অবিরাম কিচিরমিচির শব্দ করে
ডাকে কেবলী ডাকে।
সারাদিন সারাটা সময়
অবিরাম বিরতিহীন
সারাটি দিন ডাকে আর ডাকে।
একটু মুহুর্ত ও ক্ষান্ত নেই
কখনওবা কখনও তুমি বিরক্ত হও
ইচ্ছে করে তোমার
দৃস্টির তিক্ততায় তারিয়ে দিবে।
হয়তো কখনো খুভ বেশী
রেগে গিয়ে অমঙ্গল কামনা করো।
কিন্তু কিছুতেই পাখিটা
তোমার বৃত্তের বাহিরে
একটি পা ও বাড়ায়না,
সারাটিদিন পাখিটা
ঘুরে ফিরে
এ ডাল হতে ও ডালে
নরে চরে করে সময় পাড়।
কখনও মগ ডালে সরু শাখায়
কন্ঠের সুর মিলিয়ে
ধরে কোন গানন।
কখনও দেখিনী একটু মুহুর্ত
এ বৃক্ষটি বিহীন অন্য কোন বৃক্ষে
একটি সেকেন্ডের জন্য বসতে।
কোনদিন দেখিনী
মুক্ত মনে আকাশের প্রান্তে উড়তে।
একদিন পাখিটাকে প্রশ্ন করলাম
কেন তুমি সারাটি সময়
এই বৃক্ষ ডালে ডাকাডাকি করো
পাখিটা জবাব দিলো
সে যে আমার পৃথিবী,
তাইতো আমি আমার পৃথিবী ছেরে
একটি মুহুর্ত ও অন্য কোথায়
যাওয়ার কথা ভুলেও ভাবিনা।
তাকে মাথার তাজ ভেবে
সমস্তটা সময় তার বৃত্তের চারপাশে
একাকি কাটাই,
আমি যে তাকে পৃথিবীর সবচাইতে
বেশী গুরুত্ব দেই
হয়তো সে তা বুঝেইনা।
আমি চাইনা একটি মুহুর্ত
সে আমার দৃস্টি গোচর হউক।
আমার পৃথিবীর সমস্ত রং ঢেলে
আমি তাকে সাজাত চাই
তাইতো সারাটি সময়
তার পাশে ডেকে ডেকে
মনের রংতুলিতে তার ছবি আঁকি।

সময়ের খেলা ঘড়

শেখ শফিউল বাসার

সময়ের খেলা ঘড়ে বন্দী
আমি এক মাটির পুতুল,
চারদিক স্তব্ধ বদ্ধ কূপের মতো
লোনা জ্বলে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
একটু একটু করে বিলীন
হচ্ছে অন্তরের কলিজা।
কুয়াসায় ঘেরা পথের মতো
রুদ্ধ বাকে বাকে জীবনের সমীকরন
আমাকে ঠেলে দিয়েছে
অন্ধকার জীবনের পথে।
এক জনমের কলংক
কপালের তম্র তটে
শক্ত কাটায় আবৃত করে
শিক্ত করেছে অন্তর বৃত্ত।
সময়ের খেলা ছলে
একটি বিন্দু পাহাড় সম হয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে
আমার সুখের পৃথিবী।
রাতের আকাশের তারার পানে তাকিয়ে
অসহায় কোন এক প্রানীর মতো
কাটে সারাটি সময়,
নিদ্রা গুলো আমাকে বিদায় জানিয়ে
পাড়ী দিয়েছে কোন
হুতুম পেচার চোঁখে।
অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে
সময়ের পর সময় তারার কানামাছি
খেলার ছন্দে খুজি
নিজের জীবনের পথ।
আমার পৃথিবী আজ কালো মেঘে ভরা
বৃস্টিস্নাত অন্ধকারময়
কোন দুপুরের চিত্র।
বৃস্টিতে ভেজা কাকের মতো
জিন্ন শাখে একাকি নিঃসঙ্গ বসে
কাটে সময়, কোথাও কেউ নেই।
এ যেন কোন এক ভিন্ন গ্রহের প্রতিচ্ছবি।
আমিতো চাইনী এ জীবন
তবে কেন আমাকে ফেলে দিলে
অন্ধকার বদ্ধ কুটিরে।
রাত জাগা পাখির দলে
আমি আজ নীড় হারা
কোন এক নিঃসঙ্গ কাক।
তোমার প্রতিক্ষায় দৃস্টির ছোয়া মেলে
এখনো তাকিয়ে আছি
তুমি আসবে বলে।
আমি যে আর পারছিনা।
প্রশস্ত বক্ষটা আজ সরু হতে হতে
কঙ্কালের চিত্র হয়েছে।
অপেক্ষার প্রহরে
দৃস্টির বারতা নিয়ে তাকিয়ে আছি
তুমি আসবে বলে।
আমি চাইনা তুমিহীন আমার পৃথিবী।
তুমি আসবে বলে
এখনো অপেক্ষায় প্রহর গুনি।

অসমাপ্ত প্রেম

শেখ শফিউল বাসার

নদীর কূল ঘেসা তরু শাখে
নিপূর্ন কারিগর বাবুই পাখি
দুই ডানায় উড়ে উড়ে শূন্যে
ভর করে বাধে বাসা।
প্রতিটি ফোড়ে লুকিয়ে আছে
সুখ নীড়ে স্বপ্নের বীজ বুনা,
ভালবাসার পূর্ন পৃথিবী
একাকার করে পেতে
তার এই স্বপ্ন বীজ বোনা।
বিদ্ধস্থ মনের অসারতা
চৈত্রের খড় কুটোর মতো
ভাসিয়ে নিয়ে গেল
অগ্নি প্লাবনে।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে থাকা।!!!
দীপ্ত সূর্য বাতায়নে মনের
সবটুকু নিলিমা ঢেলে
গড়েছিলাম সেই স্বর্গ প্রেম,
বাতাসের উড়ো ঝাপটা
গন্তব্যর শেষ প্রাচীর ভেঙ্গে
উড়িয়ে নিয়ে গেল
গন্তব্যহীন রুদ্ধ পথে।
বিবেকের জানালার প্রতিটি
অদৃশ্য শূন্যর ফাঁকে ফাঁকে
লাগিয়েছো বিষাদের তপ্ত সিষা।
ক্ষুদ্র বাবুইয়ের মতো কখনও
নিংস্বার্থ প্রেমময় তরী সাজিয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে যাওনী ভালবাসার,
পৃথিবী ভরা কোন স্বর্গ ভূবনে।
অসমাপ্ত প্রেমের অগ্নি শিখা
হৃদয়ের অন্তপূরে বেদনার বানতোলে
ক্ষত বিক্ষত করে বিবেক।
অগ্নি উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
বিরহের নীল চাদরে আবৃত হয়ে
নিশাচরের মতো কাটাই রাত্রি।

গতকাল

শেখ শফিউল বাসার

গতকাল দুপুরে তোমার বাড়ীর ছাদে দাড়িয়ে
একটা গানের সুরে হারিয়ে গিয়েছিলাম
অনেকটা দুর। বিদ্ধস্থ স্মৃতির বাগানে
হটাৎ করে কুড়ি গজানো
সজীব পাতার দোলানিতে
মরু প্রান্তরে জীবনের গন্ধ পেলাম।
হয়তো কোন বুঝ বালকের
আদরে রুপিত কোন পুস্প কুঞ্জ।
অনাদরে অবহেলায় ধসে যাওয়া
মাটির বুক চিরে মাথা তুলে দাড়ানো
একটি সজীব বৃক্ষ দেখে
মনের উচ্ছাসে এক পা দুপা করে
বাগানের ভিতরে প্রবেশ করলাম,
দু চোখের দৃস্টি দিয়েই নয়
মনের অন্তর দৃস্টি দিয়ে
নতুন কুড়ির শিরা উপশিরা গুলো
একটু একটু করে প্রত্যক্ষ করলাম।
একে বলা চলে মরা গাছে ফুল ফোটানোর মতো
আশ্চার্য কোন যাদুর ছোয়া।
বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সরু রাস্তার
পাশ দিয়ে একটু সামনে তাকালেই
চারপাশ বাধাই করা একটি পুকুর,
পুকুরের জলে এক গোছা শাপলা
বাতাসের ছোয়ায় মৃদু হেলে খেলা করে,
দৃশ্যটা মনের মাঝে এতোটা
অানন্দের সঞ্চার ঘটিয়াছিল
বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
একটু পরে শাপলার ডগায়
উরে এসে বসলো সাদা বক
উদ্দেশ্যর তির্যক দৃস্টি মেলে
পাকা শিকারীর মতো
স্থির সিদ্ধান্তে তাকিয়ে,
মাত্র কয়েকটা সেকেন্ড যেতেই
মাথাটা আধো পানিতে ডুবিয়ে
উড়ে গেল শিকার নিয়ে।
ছাদের উপর পয়চারী করতে করতে
পুরনো পেপারের একট টুকরো
চোখের নজর কারলো
ধূলো ঝেরে দৃস্টি দিতেই
সেখানে লিখা -রক্তের সম্পর্কের না থাকলেও
সব চাইতে কঠিন যে সম্পর্ক পৃথিবীতে
তা হলো বন্ধুত্ব। আর কিছুই বুঝা যাচ্ছিলনা,
মনের মাঝে একটা প্রশ্ন বারবারই
দোলা দিতে লাগলো। কথা গুলো কি সঠিক,
সর্বশেষ মস্তিস্কও তাতেই সায় দিলো।
তখনও আমি তোমার বাড়ীর ছাদেই ছিলাম,
অবশেষে মনটাই একটু মুচকি হেসে বললো
তুমিও আমার সেই রক্তের সম্পর্কহীন
সেরা সম্পর্কের একজন বন্ধু।

বন্ধু

শেখ শফিউল বাসার

বন্ধু তোর সাথে ছোট্রবেলায় এক সাথে
বেড়ে উঠিনী, কাঁদা মাখা জ্বলে
লুটোপুটি খেয়ে, করেনী সারা দেহ
ধূলিময় কর্দমাক্ত।ঘন্টার পর ঘন্টার
বদ্ধ পুকুরের জ্বলে স্নান করে
বাড়ী ফিরে মায়ের হাতের চিকন কুঞ্জির
পিটুনিতে চামরা ফেটে লাল বা নীল
বর্ন ধারন করেনী,
বা মায়ের বকুনি সাথে
ভয়ে দৌড়ে পালাইনী।
তোর সাথে সম্পর্কটা পরিনত বয়সে
যখন সময় আর বাস্তবতার চাপে
মানুষ গুলো যান্ত্রিক রোবটের মতো ছোটে,
তেমনি একটা সময় তুই এলি
আমার জীবনে বন্ধু হয়ে।
যখন বিশ্বাসী মানুষগুলো
কাঠের চশমায় একে একে সকলে
নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করলো,
বিশ্বাস করার মতো যখন
একজন ব্যক্তি ও ছিলনা,
চারদিকে যখন তপ্ত হাহাকার
সকলে সুযোগ খোজে উদ্দেশ্য হাচিল করার,
এমনি দুঃসময় যখন বন্ধুত্বের খরা চলছিলো
তখনী আকাশ ভেদে বৃস্টির জলের মতো
তুই এসে সামনে দাড়ালী।
একটু একটু করে, হৃদয়ের সবটুক জুরে
তোর ছবি একে দিলি,
তোকে পেয়ে অামার
বদলে যাওয়া পথিবীর বুকে একটা
নতুন জন্ম নেওয়া প্রান ফিরে এলো।
তুই হয়ে গেলি আমার
হৃদয় ছুয়ে যাওয়া, চির প্রিয় বন্ধু,
তোকে নিয়ে কতোটা পথ চলেছি
নিজের মনের সব কিছুই এক এক করে
বিন্দু বিন্দু তোর কাছে প্রকাশ করেছি।
আমার কোন কিছুই তোর
অজানা নয়। ছোট্রবেলা হতে
বেড়ে উঠার প্রতিটি বর্নই তোকে বলেছি।
জানামতে সুস্থ মস্তিস্কে তোর সাথে
একটি মিথ্যাও বলিনী।
পৃথিবীতে তুই একজন
যে আমার প্রতিটা বিন্দু বিন্দু যানে,
যার মধ্যে মিথ্যের কোন স্পর্শ নেই।
পথ চলার প্রতিটা মুহুর্তে
সর্বোচ বিশ্বস্ততার সহিত
তোর পাশেই অবস্থান করেছি।
বন্ধু তোকে যে হৃদয়ে ধারন করেছি
হয়তো দুজনের দৈহিক অববয়ে পার্থক্যযুক্ত,
মনের সম্পর্কটা এক অভিন্ন বলেই
সদা সর্বদা মনের গভীরে লালন করেছি।
তোর একটু আঘাতে নিজেও যে,
সম ব্যাথা পেয়েছি।প্রতিটি কস্টের
বিন্দু বিন্দু সম মনের পিঞ্জরে
কস্টের দাবানল বানিয়ে
তোর কস্টের তীব্রতা অনুধাবন করেছি।
 তোর খুশিতে আনন্দে আহ্লাদে
একাকার হয়ে শূন্যে ভেসেছি।
তুই তো আমার সেই বন্ধু
যাকে নিজের আত্ত্বার অভিন্ন সত্তা ভেবেই
হৃদয়ের হৃদয় সিংহাসনে বসিয়ে
প্রচেস্টার সবটুকু উজার করে ভালোবেসেছি।
তোর চোখে পৃথিবী দেখেছি
পৃথিবীর অালো বাতাস স্বাধ গন্ধ
সব কিছুই তোর দৃস্টির
পলক তুলে, অপলক চোখে
তাকিয়ে দেখেছি।
তুই যে আমার বন্ধু
পৃথিবীর সমস্ত সম্পর্কের উদ্ধে যার অবস্থান
যাকে বলা যায় সমস্ত সুখ দুঃখ
ভাগ করে নেওয়া যায় সবটুকু।
তুই যে আমার আত্ত্বার
এক অভিন্ন মন মেশিনে ছাপানো
হৃদয়ের ফটোকপি।
সেবার তুই যখন রাগ,অভিমান করেছিলি
তখন আমার পৃথিবীর আকাশে একটা
চিনের দেয়ালের মতো দেয়াল,
সম্পর্কের মধ্য সিমায় অবস্থান করে
থমকে দিয়েছিলো আমার পৃথিবী,
আমি তোর সঙ্গতার অর্বতমানে
জিন্ন শিন্ন গিরগিটির মতো
সমস্ত দেহ শক্তি হারিয়ে
বুকে ভর করেও পদ চলতে পারিনি,
বুকের পাজরটা যে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত
বিদ্ধস্থ হয়ে, রক্ত প্লাবনে
 ভাসিয়ে দিয়েছিলো
বুকের তপ্ত ভূমি।
তুই যখন কিছুতেই আমাকে
একটিবার বুঝতে চেস্টা করছিলিনা তখন
এই আমি ধুকরে ধুকরে কস্ট পেয়ে
অসহায় এর মতো দিন গুনেছি,
তুই ফিরে আসবি বলে,
যেই আমি কোনদিন একটি সিগারেট
দুই আঙ্গুলের ভাজে এটে দেখিনী
কিভাবে দুই আঙ্গুলের ভাজে সোভা পায়।
সেই আমি চুরটের ধোয়ায়
একাকার করে দিয়েছিলাম
 কলিজা হতে ফুসফুসীয়।
নিসিক্ত জলের উন্মাদনায় কাটিয়েছি
গননাহীন কতোগুলো দিন।
দিন রাত্রীর বৈরি যোগসূত্রীতায়
কেটেছে আমার অনেকগুলো দিন,
তোকে ছারা আমার পৃথিবীর আবৃত
চার দেয়ালে বন্দী ইট পাথর গুলো
একটা একটা করে খশে খশে পরেছে
মনের তাপিত শিক্ত প্রান্তরে।
তার প্রতিটি আচরে আমার মনের
হৃদ পিঞ্জরে, এক একটি কস্টের পাহাড় হয়ে
বুকের মাঝে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছে।
অনেকটাই কস্টে কেটেছে সময়।
আবার তুই যখন ফিরে এলি
তখন এক রাতের আকাশের জোস্না ভরা
পূর্নিমার পূর্ন চাঁদের আলো মাখা
রুপালী আলো হয়ে ভাসিয়ে দিয়েছো
পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তর।
কস্ট গুলো হাসির ফুল ঝুড়ি হয়ে
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে উজানের বন হতে
ভেসে আশা কস্টের দিনগুলো।
বন্ধু তোকে যে আমি পৃথিবীর সেরা
সমস্ত বন্ধুদের চেয়ে সন্মান মূল্যায়নের
অনেক অনেক উপরে রেখে ভালোবাসী।
তুই বুঝিস কিনা আমি জানিনা,
আমার অনুভূতির প্রতিটি কথা
প্রতিটি মুহুর্ত, সরলতার সরল মনে
একে একে সবই বলি,তুই এটাকে
আমার ক্ষুন্ন ব্যক্তিত্ব ভাবিসনা,
তোর সঙ্গতা প্রতিটি মুহুর্ত চাই বলে
আমি ব্যক্তিত্বহীনদের কাতারের
কোন একজন নই।
তোকে এতটা আপন বলে জানি,
যেখানে সম্পর্কের মাঝে
কোন গ্রামার রাখিনী।
মনের সবটুকু উদারতায়
স্বচ্ছ সরল বিশ্বাসে তোকে ভালোবেসেছি।
বন্ধু তুইতো আমার পৃথিবীর বুকে পাওয়া
স্রস্টা কতৃক প্রেরিত সেরা উপহার।
আমিযে তোকে মস্তিস্কের  উপরে স্থান দিয়ে
সন্মানের সু উচ্চ চূড়ায় বসিয়ে
ভালোবাসী।
তুই এটাকে দূর্বলতা ভেবে নিসনা।
যদি দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকি
এই পথ চলার ছন্দে তুই যদি আমার
পাশে থাকিস, তবে তোকে প্রমান করে দিবো
পৃথিবীর বুকে স্বার্থহীন ভাবে
কতোটা ভালোবাসী।

পাতার ভেলা

শেখ শফিউল বাসার

যদি এমন একটি রাত হতো
যে রাতে তুমি আর আমি
পূর্নিমার জোস্নায়,
চাঁদের রুপালী আলোতে
পাতার ভেলায় চরে
ভেসে যেতাম কোন হিজলের বনে।
এক প্রান্তে তুমি অন্য প্রান্তে খোলা আকাশ,
খোলা চুলে আকাশের পানে
দৃস্টির সবটুকু উজার করে
দেখবে একটি চাঁদ
একগুচ্ছ তারার ছরাছরি।
যখন তুমি আকাশের পানে তাকিয়ে,
তখন আমি তোমার মূখ পানে তাকিয়ে
ঝরে যাওয়া হাসির ফুল গুলো
একটি একটি করে গুনে
আমার মনের থলে জমিয়ে রাখতাম।।
যদি এমন একটি রাত পেতাম
যে রাতে দুজন মনের কাছে বসে
হারিয়ে যেতাম তোমার সুরে মূর্ছনায়,
তোমার কন্ঠের মায়ায়
খুজে পেতাম এক পৃথিবী।
সে রাতে চাদটাও হেরে যেত
তোমার রুপের স্নিগ্ধতায়,
ছুটে আসতো এক ঝাক পাখি
তোমার মিস্টি মিস্টি চুলের গন্ধ নিতে।
সে রাতটা হাজার রাতের সমান হলেও
কেটে যেত বিন্দু মুহুর্তে। কারন তখন
তুমি যে আমার সঙ্গে হবে।
যদি এমন একটি রাত পেতাম
যে রাতে তোমার কুলে মাথা রেখে
হারিয়ে যেতাম কোন
অদৃশ্য স্বর্গালোকের পুস্প কাননে।
তোমার মিস্টি চুলের গন্ধে
খুজে পেতাম প্রেমময় এক পৃথিবী।
পাতার ভেলায়  চড়ে
ঘুরে আসতাম এক পৃথিবী।
যদি এমন একটা রাত হতো
যে রাতে দুজন গ্রামের
বাঁকা মেঠো পথের পরে
হারিয়ে যেতাম তোমার হাত ধরে।
এক ঝাড়ি চুড়ির শব্দে
আবারো খুজে নিতাম তোমায়।
যদি এমন একটি রাত হতো
সে রাতে তোমার পাশে বসে
জীবনের গল্প করে কাটিয়ে দিতাম
সুখময় সমস্ত সময়।

আমার পৃথিবী

শেখ শফিউল বাসার

প্রিয়তমা, তুমিতো আমার সবই জানো
রাত জাগা প্রতিটি রাতের সমিকরন,
যেখানে ইচ্ছে অনিচ্ছার ছায়া গুলো
প্রতি মুহুর্ত সময়ের দোলনায়
বাতাসে দোল খেলে।
বাস্তবতার ছবিগুলো মনের এ্যালবামে
বারে বারে দোলা দেয়,
সে দিনের স্মৃতি টা মনের মাঝে এখনো
বারেবারে দোলা দেয়,
যে দিন লঞ্চ ঘাটে ভাড়ার পাঁচ টাকা হতে
দুই টাকার ঝাল মুড়ি খেয়ে, ভাড়ার অভাবে
ছয় মাইল হেঁটে বাসায় ফিরে ছিলাম,
সে দিন তুমি পাশে ছিলেনা
কিন্তু তাও তোমার অজানা নয়।
আমার ইতি বৃত্ত তোমার নখদর্পনে
ছোট্র হতে বেড়ে উঠার সবটুকুই,
প্রতিটি কথাই তোমার রপ্ত।
আমি তোমাকে কি নামে ডাকবো
এতো দিনেও স্থির করতে পারিনি,
গতকাল তুমি স্বপ্নে এসে
কানেকানে বলে দিলে -
আমার নাম রেখো - তোমার "পৃথিবী "
আমি অবাগ হয়ে তোমার পানে
অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকলাম,
ভাবনার জগতে বিচরন করতেই
কখন যে তুমি চলে গেলে,টেরই পাইনি।
আমার সমস্ত চিন্তা, চেতনা, অনুভূতি
সব কিছু তোমাকে ঘিরে
সে অর্থে তোমার দেওয়া নামটি যর্থার্থ।
হ্যা তোমার দেওয়া নামেই তোমাকে ডাকবো,
আজ হতে তুমি আমার পৃথিবী।
আমার প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটি চিন্তার ভূবন জুরে
তুমি শুধু তুমি।
সময়ের প্রতিটি মুহুর্ত
মনের মাঝে পাখির মতো কেবলি ডাকে
সে যে তুমি, আমার পৃথিবী।
আমি জানি আমার একরোখা জিদ
প্রতি মুহুর্তে কাছে থাকার, প্রত্যাশাটা
অনেক ক্ষেত্রেই তোমাকে বিরক্ত করে,
আমি তা বুঝি, কিন্তু কি করবো
আবেগী মনের কাছে বারেবারে হেরে যাই।
এটা আমার এক ধরনের বাড়াবাড়ি
এটাও বুঝি, মনের টান বিবেককেও
অনেক ক্ষেত্রে অসহায় করে তোলে।
যদি কাছ থেকে একটিবার দেখতে
তাহলে কিছুটা হলে বিরক্তটা
কমে যেত তোমার। হৃদয়ের মাঝে যে
পাখিটা সারাদিন ডাকে
তাকে কি করে থামাবে,
সেতো কারো ভালবাসায়
সারাটিক্ষন অসহায় এর মতো
পথের পানে দৃস্টি মেলে তাকিয়ে,
কখন তার দর্শনে মনের ঝড়
কিছুটা হলেও থামবে।
যদি হৃদয়ের কথা গুলো মনের ভাষাতে বুঝতে
তাহলে ভালবাসার অর্থটা অনেক ক্ষেত্রেই সার্থক হতো।
তারপরেও হৃদয়ের সবটুকু উজার করে
তোমাকেই ভালবাসী।
ভালো বাসবো বলেইতো ভালোবেসেছি,
আমার সমস্ত পৃথিবীর রং তুলিতে
সাজাবো আমার পৃথিবী।
তুমিইতো আমার সে পৃথিবী
যে পৃথিবী থাকবে শুধু আমার,
যেখানে কারো বিন্দু পদচারন থাকবেনা,
থাকবেনা কোন স্পর্শ।
অনেকটা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি
আর বিরক্ত করবোনা তোমায়।
ভালবাসার প্রত্যয়ে মনের মাঝে
যে ভালবাসার সৃস্টি তাকে
মনের হৃদপিঞ্জরে আবদ্ধ করে রাখবো।
তোমার ইচ্ছে চাওয়া পাওয়ায়
মূল্যায়নতো আমার ই করা উচিত,
কেন তোমার পৃথিবীর মাঝে
আমি বিরক্তির কারন হয়ে দাড়াবো।
আমিতো তোমায় ভালবাসী
তাইতো আমার পৃথিবীর সব রংতুলিতে
সাজিয়ে দিবো তোমার জগৎ।
তুমি অন্তত বুঝবে
কতোটা হৃদয় পুড়ে
ভালবাসার ভূবন বানিয়ে
তোমায় ভালোবেসেছি।
তোমাকে ভালোবাসবো বলেই ভালোবেসেছি
তাইতো ফুলের পাপড়ির মতো
গন্ধ বাতায়নে ভরে দিবো
তোমার সমস্ত পৃথিবী।
তুমিতো সবই আমার জানো
চোখের ভাষা গুলো হয়তো
বুঝে উঠতে পারোনি
কিন্তু কোন এক সময়
চোখ বা মনের কথার মর্মার্থ
হয়তো বুঝতে বাকি থাকবেনা।
পৃথিবী, ভালবাসা মানুষকে শুধু
পথ চলতে শেখায়না, অনেক ক্ষেত্রে
অসহায় ও করে তোলে।
তোমাকে ভালবেসে যতোটা উৎফুল্ল
তার চাইতে অনেক বেশী অসহায় এর মতো
তোমারী অপেক্ষায় দৃস্টি মেলে
অপলক অপেক্ষায় বসে থাকি।
তোমাকে খুভ বেশী বিরক্ত করবো না
তবে, পৃথিবী তোমাকে কতোটা ভালোবেসেছি
বিন্দু বিন্দু করে ভালোবেসে
একদিন তোমাকে বুঝিয়ে দিবো।
সে দিন হয়তো বুঝবে
কতোটা উন্মাদের মতো তোমায় ভালোবেসেছি।
সেদিন হয় পাশে থাকবে
নয়তে হারিয়ে যাবে কোন দূর অজানায়,
সেদিন চিৎকারে বলবো তোমায় ভালোবাসী
আমার পৃথিবী।

আজ বিকেলে


শেখ শফিউল বাসার

আজকের বিকেল টা
অন্য সব বিকেলের চাইতে
অনেকটাই আলাদা।
যখন পাখি গুলো
দুই ডানার বিন্দুতে ভেসে ভেসে
দুর দিগন্তের পথে
উরে যাচ্ছিলো, তখন
ডানার ঝাপটায় অদ্ভুদ একটা সুর
হৃদয়ের মাঝে বারে বারে
দোলা দিয়ে গেলো।
মনের আকাশে সুখের পায়রা
কোথা হতে উরে এসে
বুকের স্থির জমিতে
দুই পা আকরে বসে পড়লো,
অবাগ হয়ে অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে রইলাম,
কোথা হতে সুখের পায়রা
সুখের বাতায়নের দাঁড় খুলে
এসে স্থান জুরে নিলো বুকের প্রান্তরে।
আজকের বিকেলটা অন্য সব
দিনের চেয়ে, অনেকটাই আলাদা।
আনন্দের জোয়ারে মন যখন
মেঘের ভেলায় উরতে ছিলো
তখনি তোমার কন্ঠের স্নিগ্ধতা
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে,
পুস্প কাননে আবৃত
স্বর্গ সুখ নিড়ে।
তোমার কন্ঠের মায়া
মুগ্ধ করেছে অন্তর পুঞ্জ।
অনেকটা নতুন করে
নিজেক আবিস্কার করার মতো।
পৃথিবীর সবটুকু আনন্দ
সুখের জোয়ারে স্নান করে
ভিজিয়ে দিয়েছে আমার অন্তর বৃত্ত।
স্বচ্ছ জলে ভিজে
একাকার অন্তপুরের পৃথিবী।
ইচ্ছে করছে সুরের ছন্দ তালে
সবুজ ঘাসের বুকে নগ্ন পায়ে
অনেকটা নেচে গেয়ে, কাটাই  সময়।
আজ বিকেলে আমার পৃথিবী হতে
এক রাশি ফুলের গন্ধ ভেসে এসে
ভরিয়ে দিলো সুভাসে সুভাসে।
আমি অানন্দের বন্যায়
একটা ভেলা ভাসিয়ে
ভেসে গিয়েছিলাম  অনেকটা দুরে।
আজ বিকেলে মনের সব রং মেলে
রংধনু, প্রজাপতির মতো
রংয়ে রংয়ে ভেসে ভেসে
ছুটে চলেছি আকাশের পথে।

ভালোবাসা

 শেখ শফিউল বাসার

ভালোবাসা কাকে বলে
হয়তো তা আমি বুঝিনা
অতটা বোঝার মতো
মন আমার নেই,
তবে এতটুকু বুঝি
কারো জন্য হৃদয়ের মাঝে
গভীর শূন্যতা অনুভব করে
কস্ট বেদনে পোড়ার নাম ভালোবাসা।
কারো কথা ভেবে
দুচোখ বেয়ে অঝরে
অশ্রু প্লাবিত হয়ে
চোখের বৃত্ত ভিজিয়ে
বক্ষ বিদির্ন করার নাম ভালোবাসা।
রাত্রী নির্জনে কিংবা দিপ্রহর আলোতে
কারো কথা হৃদয় দিয়ে
অনুভব করার নাম ভালোবাসা।
কারো সাথে একাকি পথ চলা,
নিরুদ্বেশ প্রান্তরে হারিয়ে যাওয়ার
তীব্র আকাংখার নাম ভালোবাসা।
ইচ্ছায় অনিচ্ছায় বারেবারে
কারো কথা মনে করার নাম
ভালোবাসা।
রাত্রী গভীরে কারো কথা
ভাবতে ভাবতে সময় পাড় করে
নির্ঘুম রাত্রী কাটানোর নাম
ভালোবাসা।
কারো সাথে কথা বলতে চেয়ে
না পেরে, ছটফট করে
কস্টের তপ্তস্রোতে ভাসার নাম
ভালোবাসা।
প্রিয় কারোর কাছ থেকে
অবহেলা সহ্য করে
বারংবার মিথ্যে সান্তনা পাবার আসায়
ফিরে যাবার নাম
ভালোবাসা।
মিথ্যে স্বপ্নে দেখে
কারো একটু সহানুভূতি পাবার আসায়
অসহায় এর মতো তাকিয়ে থাকার নাম
ভালোবাসা।
কাউকে সুখি রাখার জন্য
নিজেকে কস্টের সাগরে
তলিয়ে দিয়ে,
কারো সুখ চাওয়ার নাম
ভালোবাসা।
কারো জন্য নিজেকে
বিন্দু বিন্দু করে নিঃশ্বেষ করে
দেওয়ার নাম ভালোবাসা।
কাউকে আনন্দিত দেখে
মনের গোচরে আনন্দিত হওয়ার নাম
ভালোবাসা।
ভালোবাসা কি আমি হয়তো জানিনা
তবে হৃদয় সবটুকু উজার করে
বিলিয়ে দেওয়ার নাম ভালোবাসা।

বেদনার বনে

শেখ শফিউল বাসার

তুমিতো আমার সবই জানো
তবে কেন এই বেদনার বনে
 বারেবারে আমাকে ঠেলে দাও।
আমিযে আর পারছিনা
অন্তর পুড়ে পুড়ে
অন্তর পোড়া কস্ট গুলো
কলিজা পোড়া ছাঁই হয়ে
প্রচন্ড বাতাসের বলয়ে
উড়ে উড়ে ভাসায় সমস্ত ভূবন।
অস্তিত্বের সবটুকু জুরে তোমার বিচরন
প্রতিটি মুহুর্ত মনের মুক্ত বাতায়নে
তোমার স্মৃতি গুলো দোলা দেয়।
স্মৃতির গালিচা গুলো
মনের তপ্ত প্রান্তরে কঠিন পাথরে
পিষ্ট করে অন্তরের অন্তর।
আকাশে ভাসা বেদনার মেঘ গুলো
বারেবারে উড়ে এসে
বৃস্টিস্নাত জ্বলে ভিজিয়ে দেয়
আমায়। বেদনার জ্বলে শিক্ত হয়ে
ডানা পোড়া পাখির মতো
বিদ্ধস্থ জীবনের সমিকরনে
অসহায় এর মতো কারো পানে
ভুল করে বারবার তাকিয়ে থাকা।
তুমিতো আমার সবই জানো
রাত জাগা পাখির মতো
বদ্ধ একটা ঘরে একাকি,
বন্দী জীবনের মতো
মনের ইচ্ছে গুলোকে জলাঞ্জলী দিয়ে,
স্বপ্নগুলোকে সাদা কাফনে জরিয়ে
মরার মতো বেঁচে থাকা।
আমিযে আর পারছিনা
মনের মাঝে তোমার যে ছবিটা
ভালোবাসার রংতুলিতে একেছি,
সে ছবিটা চোখের সামনে
প্রতিদিন প্রতিটা মুহুর্ত ভেসে উঠে,
তখন আমি যন্ত্রনায় ছটফট করে
মরুর ভূমির বালুর মতো
মনের উত্তাপে জ্বলে জ্বলে
ক্ষত বিক্ষত করে অন্তর,
আমার কলিজা।
আমি আজ কতোটা অসহায়
সবকিছু  থেকেও কি যেন নেই,
প্রতিটা মুহুর্ত মনের বোবা কান্না
করুন আকুতি।
আমাকে করে নেশাচর।
কতোকাল কতোটা সময়
পথের পান্তরে পরে থাকা
নূড়ি পাথরের মতো পিষ্ট হবো।
আমি যে আর পারছিনা,
তুমিহীন পোকামাকড় এর মতো
বেচে থাকাটা জীবনের গন্তব্য হয়ে গেছে।
তোমাকে আমার পৃথিবী বলে জেনে
সেই পৃথিবীর ছায়াতলে
বাচতে চেয়েছিলাম।
আমার বেচে থাকাটাই
অনেকটা কঙ্কালের মতো
হয়ে দাড়িয়েছে। অন্তর পুড়ে পুড়ে
অন্তর পোড়া কস্ট নিয়ে
মরার মতো বেচে আছি।

তুমি যদি বলো


শেখ শফিউল বাসার

আমার পৃথিবীর আকাশ জুরে
কালো মেঘ গুলো
বেদনার ছায়া হয়ে,
বারেবারে উড়ে এসে
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
গভীর অন্ধকারের অরন্যে।
চোখের বৃত্ত গুলো
কালো নিলিমার সাজে,
বোবা কান্নায় অশ্রুপ্লাবিত নয়নে
ভাসায় অন্তরের প্রান্তর।
আমার পৃথিবী বিদ্ধস্থ অন্ধকারের
নিল চাদরে আবৃত হয়ে
ঢেকে দিয়েছে সবটুকু।
চোখের স্বপ্ন গুলো
গুপ্তচোরা বালুতে
হারিয়েছে গন্তব্য পথ।
কতোটা করুন
কতোটা নির্মম এ পথ চলা,
অন্ধকারের বুকে মাথা লুটে
কতোটা সময় বাচবো।
একটু একটু করো
ক্ষীন হয়ে আসছে
প্রশস্ত বক্ষের পরিধী,
 অগোছালো চুল দাড়ী গুলো
উন্মাদের মতো করে
একটু একটু করে বেড়ে
ঢেকে দিচ্ছে মূখ প্রান্তর।
দিনে দিনে বন মানুষের মতো
অগোছালো বাস্তবতার পথে
হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে
মৃতপ্রায় কঙ্কালের মতো
একাকি বেচে থাকা।
আর কতোকাল
তুমিহীন এই আমি
পোকামাকড়ের বিদ্ধস্থ জীবন
ধুকে ধুকে সয়ে যাবো।
সমস্ত পৃথিবীর অন্ধকার গুলো
দুচোখের বৃত্তের মাঝে
অাবদ্ধ হয়ে রুদ্ধ করেছে
সমস্ত দৃস্টি।
আলোর ছায়াপথে অন্ধকারের নিলিমা
আবৃত করেছে সরল পথ।
আমি  আর পারছিনা
কস্টের দাবানলগুলো
মনের তপ্ত প্রান্তরে এতটা আঘাত করে যে
বিন্দু সময়ে হারিয়ে ফেলি
সমস্ত ভাবনা।
আমার অন্ধকার পৃথিবীর মাঝে
তোমার একটু অালো জালিয়ে দাও
সে আলোতে ভেসে সাজাবো
আমি আমার পৃথিবী।
তুমি যদি বলো, তবে
আসবো ফিরে আমি
বাস্তবতার সুখ সাগর তীরে।
স্বচ্ছ জ্বলে স্নান করে
সাজাবো নতুন করে
আমার পৃথিবী।

আজ রাতে


শেখ শফিউল বাসার
-------------------
আমি জানি আজ তুমি কাঁদবে
অঝর নয়নে কাঁদবে,
কান্নার অশ্রুজল
চোখের পাপড়ি ভিজিয়ে দিয়ে
একটু একটু করে গড়িয়ে
ভিজিয়ে দিবে তোমার চোখের বৃত্ত।
তোমার কান্নায় আকাশের বুকে,
কালো মেঘেরা ঝাক বেধে
উরে যাবে দুর বহু দুর।
আজ রাতে তুমি
রাত জাগা পাখির মতো
আকাশের বুকে জেগে থাকা
তারার সংখ্যা গুনে
কাটাবে, করবে রাত্রী পাড়।
আজ রাতে  মনের কুটিরে
শূন্যতার যে সমিকরন আকবে
তাতে তুমি অশ্রু সজল নয়নে
কাটাবে নির্ঘুম রাত্রী।
হৃদয়ের নরম ভূমিতে
বেদনার ছবি গুলো একটু একটু করে
আঘাত করবে তোমার
মন পিঞ্জরে।
প্রচন্ড কস্টের অার্তনাদে
নির্বাগ মনে জানালার পাশে দাড়িয়ে
জোনাকির উরে যাওয়ার প্রতিটি
ডানার ভাজে খুজবে
তোমার প্রিয়জনের মূখচ্ছবি।
আজ রাতটি অন্য কোন রাতের সাদৃশ্য নয়,
বিবাগী মনের জানালা খুলে
তুমি কাদবে অঝর নয়বে কাদবে।
তোমার অশ্রু সজল মূখের
ছায়াটা চোখের কোনে
কেন যেন বারংবার ভেসে উঠে।
তোমার মলিন মায়াতান ছবিটা
আমাকেও বড্ড বেশি ভাবিয়ে তুলছে।
চায়ের কাপটা হাতে তুলে
বদ্ধ ঘরের চার প্রান্তে পায়চারি করে
প্রতিটা পায়ের পদচিহ্ন গুনে
করবো রাত্রী পাড়।
আজ রাতে তোমারী বেদনার বনে
একটি মশাল জালিয়ে
যদি থাকা যেত তোমার পাশে দাড়িয়ে,
তবে সারাটি রাত্রী
রাত জাগা পাখির মতো
জেগে জেগে বিরহের গান গেয়ে
কাটিয়ে দিতাম সারাটি সময়।

বেদনার পাথর

শেখ শফিউল বাসার

নিজেকে এখন আর
মানুষ বলেই মনে হয়না,
অনেকটা কিট পতঙ্গের মতো
কে যেন মনে হয়।

সময়টা এখন আর
সেই আগের মতো নেই
সুখের পায়রা গুলো
একটি একটি করে পালক ঝেরে
রেখে গেছে এক পালকহীন
বিদ্ধস্থ জীবন।
এ জীবনে সুখ নেই
আনন্দ নেই,
 নেই কোন সুখের বহ্নি ছটা।
সমস্ত আর্তনাদ
বুকের ভিতর কস্ট কস্ট খেলা করে।
কতো সহজে বদলে গেল
পৃথিবীর সব সুখ
,
আপন হাতে বোনা
সুখের পৃথিবী আমার
একটু একটু করে হলো ছিন্ন ভিন্ন।
আধার রাতের আকাশের মতো
আমার আকাশ ও
কালো মেঘ বৃস্টিতে ভরা।
সমস্ত আকাশের বুকে
আমার বেদনা গুলো জমে জমে
কালো মেঘের মেলা সেজেছে।
অস্থির আকাশে বেদনায় ভাসা
তারাগুলো, কস্টের পাথর হয়ে
নিভে যাওয়া প্রদীপের মতো
নিভু নিভু জ্বলে।
আকাশের বুকে, হাসি মাখা
রুপালী চাঁদটাকে এখন আর দেখিনা,
কেন যেন পুরো চাঁদটাকেই
মনে হয় বিরহের নিল সূতোয় বাঁধা,
কোন এক অন্ধকার ছায়া পথ।
সব কিছুই এলোমেলো,
আমার বলতে কোন কিছুই
আজ আর অবশিষ্ঠ নেই।
মানুষ সম দেহ নিয়েও
আজ কিট পতঙ্গের মতো
মৃত্তিকার বুকে আশ্রয়স্থল।
আকুতি ভরা করুন অার্তনাদ গুলো
হয়তো তোমার মন পিঞ্জরে
একটুও ছুয়ে যেতে পারেনা।
আমার যোগ্যতা হয়তো খুভই নগন্য,
আমার ভালবাসা হয়তো
সকল ক্ষেত্রেই পরাস্ত।
তাইতো মনের আকুতি
আকাশ সম কস্ট বেদনা
না বলা কথার আর্তনাদ
একটুও ছুতে পারেনা, তোমার মন,
অনুনয় বিনয়, বুক ফাটা বেদন
একটিবারও কি ছুয়ে যায়না তোমার মন।
আমার এই করুন সময়
একটুও কি তুমি ফিরে তাকাবেনা,
দেখবেনা, তুমি ছারা কতোটা
করুন আমার বেঁচে থাকা।
আমার দুচোখের স্বপ্ন গুলো
রক্ত অশ্রু হয়ে ভাসিয়ে দেয়
বুকের তপ্ত প্রান্তর।
কেন গুটিয়ে নিলে নিজেকে
এভাবে আড়াল করে দিলে
আমার সমস্ত পৃথিবী,
আমি যে চার দেয়ালের বৃত্তে
বন্দী অসহায় হয়ে
করুন মন যন্ত্রনায় ছটফট করি।
কতোটা নিদারুন সময় আমার
তোমার জন্য অন্ধকার আমার পৃথিবী।
কেন তুমি আমার ভূবন
সূর্যগ্রহণ এর মতো
সব কিছু গ্রাস করে নিলে।
কেন এতটা কঠিন হলে
কেন আমার পৃথিবী
বেদনার সাগরে ভাসালে।
আমিতো তোমায় ভালোই বেসেছি,
হয়তো অসম ভালবাসার
বিচারে আমি তোমার যোগ্য ছিলামনা,
হয়তো যোগ্যতার বিন্দু মাত্র
আমার মধ্যে ছিলনা,
সকল প্রশ্নের শেষ জবাব
আমিতো হৃদয় উজার করে
তোমাকে ভালবেসেছি।
সেই ভালবাসার ভূবনে
একটু্ও অপূন্যতা ছিলনা।
তোমার নিকট আমারতো কোন
চাওয়া পাওয়ার সমিকরন ছিলনা।
ছিলনা কোন স্বাথের
একটুও ফুল ঝুড়ি।
শুধু ভালবাসতেই চেয়েছিলাম,
ভুল করেও বলিনি, আমার মতো
তুমিও ভালবাসো।
কি চেয়েছিলাম,
তোমার একটুকু সানিদ্ধ্য
এর চেয়ে বেশী কিছু তো নয়।
তবে কেন আমার পৃথিবীর বুকে
জ্বলে থাকা চাঁদটাকে
আধারে ঢেকে দিলে।
আমি যে আজ কতোটা অসহায়
নিদারুন বেদনার পাথর
বুকে আগলে বেচে আছি।
কি করবো, কি করা উচিত
সকল সিদ্ধান্তই হারিয়ে ফেলেছি।
জীবনের কঠিন সমিকরনে
পরাস্ত তপ্ততাপে
পোকা মাকড়ের মতো
কিট পতঙ্গ হয়ে বেচে আছি।