বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

তুমিকি বলতে পারো?

শেখ শফিউল বাসার

আমরা সকলেই জানি
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত
মানুষের বিবেক,
সেই বিবেকের আদালতে
নিজেকে অপরাধী বানিয়ে
নিজেই নিজের শাস্তি দিয়েছি।
একটুকুও পক্ষ পাত করিনী।
আমার বিশ্বাস,তুমি বিচারক
হলেও এতোটা শাস্তি দিতেনা
একটা সময় একটু হলেও
করুনা হতো।
আমি এতটুকু করুনা করিনী,
বিবেকের আদালতের রায়
বিন্দু বিন্দু করে
পূরন করেছি।
এতোটা কঠোর তুমিও হতেনা
মৃতপ্রায় একটা মানুষের উপর।
অসহায় এর উপর চাবুক চালানো
কস্ট যেমন সকলের মনে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়
তেমনি আমি অসহায় মনটাকে
করুন আঘাতে জর্জরিত করে
ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছি।
ব্যাথার তিক্ততা রক্ত বিন্দুর
প্রতিটি রঞ্জে রঞ্জে।
আর্ত চিতকারে মৃতিকার বুকে
কম্পন হয়েছে, তার পরও একটু
বিন্দু সম থামিনী।
যার খাদ্য তালিকা শূন্যের কোঠায়
রাতের ঘুমহুলো হারিয়ে গেছে
সাগর হতে ভেসে আশা
কোন উজানের ঢলে।
 রংধনুর সাতরং এর মতো নয়
আমার জীবন বৃত্ত,
জীবনের রংগুলো হারিয়ে গেছে
ধূসর রং হীন কোন পায়রার
ঝরে যাওয়া পালকের মতো।
আমি যে ভালো নেই
সময়ের খেলা ঘড়ে
আমি যে বন্দী,
কারাগারে থাকা সাজা  প্রাপ্ত
আসামির মতো।
স্বপ্নের প্রকাশ
চার দেয়ালের লোহার খাচায় বন্দী।
আমি নিজেকে অপরাধীর
উচ্চ শিখরে বসিয়ে
করেছি নিজেই নিজের বিচার।
আমি যে আর পারছিনা
বেদনার নীল ছবিগুলো
কস্টের দাবানল হয়ে
পোড়ায় অন্তরের অন্তর।
আর কতো সময় অগ্নিতাপে পোড়ালে
ক্ষমা হবে আমার অপরাধের।
আমি যে সইতে পারছিনা,
মধ্য রাতের তারাগুলো
বেদনার তীর হয়ে
বিদ্ধস্থ করে মনের ভূমি।
কতোটা অসহায় আমি
তোমার ছবি গুলো আমার চারপাশে
অবিরত ঘুরেফিরে,
ইচ্ছা থাকলেও মনের হাত বাড়িয়ে
ছুতে পারিনা।
আমি যে আর পারছিনা,
কতোকাল থাকতে হবে
এই আবদ্ধ কুটিরে
জীবন্ত লাশ হয়ে,
তুমিকি বলতে পারো?।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন