বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

জোস্নাময় রুপালী চাঁদ

শেখ শফিউল বাসার

ধরনীর বুকে ভেসে উঠা
জোস্নাময় রুপালী চাঁদের আলো এতটাই
দূতি ছরিয়েছে যে,  মাটির বুকে ছুটে চলা
বিন্দু পিপিলিকার গতিপথের প্রতিটি পদ চিহ্ন
মাটির বুকে যে  দাগ কাটে, তাকেও
সহসাই প্রত্যক্ষ করা যায়।
গগনে বুকে ডানা মেলা
 বাঁশ বাগানের ফাঁকে
উজ্জল আলোয় জ্বলে উঠার প্রতিচ্ছবিটা
মনের মাঝে আনন্দের বান তোলে।
জীবনের সমিকরন পথে
পাল তুলে ছুটে চলা মাঝির
উন্মুক্ত কন্ঠের প্রতিধ্বনী সুর
চাঁদনী রাতের স্নিগ্ধতাকে
আরো বেশি অংকিত করে প্রকৃতির ক্যানভাসে।
ইচ্ছের ভূবনে চাঁদের ছরিয়ে যাওয়া দ্রুতি
মনের ভূবনে সমুদ্রসম আনন্দের
সৃস্টি করে। আকাশের বুকে ছুটে চলা
দুই ডানার বলাকার উরে যাওয়ার দৃশ্যটাও
অক্ষি দৃস্টির বাতায়নে প্রত্যক্ষ করা যায়।
জলের বুকে জোস্নার প্রতিফলন
শূন্যতার দুয়ারে যুক্ত করেছে
অনাবিল আনন্দের বর্নিল পথ।
এমনি জোস্না রাতে প্রিয় কোন
সঙ্গিনীর, কোলে শুয়ে কালো কেশের
ক্ষুদ্র ফাকে দেখা দেয় জোস্নার আলোয়
সজ্জিত উজ্জল একফালী চাঁদ,
সে চাঁদের স্নিগ্ধতায় মন হারিয়ে যায়
আঁকাবাঁকা কাঁশবনে ঘেরা কোন
সরু পথের বাকে।  প্রিয়তমার একটি হাত
তখনো আমার হাতের স্পন্দনে জরানো।
মিস্টি চুলের অদৃশ্য গন্ধবারতার
মনের অনেকটা গভিরে একটা দাগ কাটে,
ইচ্ছের ডানায় পালক লাগিয়ে
উড়ে যেতে ইচ্ছে করে অনেক দুরে,
প্রজাপতির অজস্র  রং এর মিতালীর
পসরা সাজিয়ে যেখানে উড়ে উড়ে খেলা করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন