বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

কয়লা

শেখ শফিল বাসার

হেটে যাওয়া পথ প্রান্তরে
পরে থাকা এক টুকুরো কয়লা
পায়ের নিচে পিষ্ট হলো,
এটকু তাকিয়ে দেখলাম
ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেছে।
অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে
অনেকটা সময় ভাবলাম
একদিন ওতো সতেজ ছিলো
কারো ভালবাসায় পুড়ে পুড়ে
দগ্ধ হয়ে,একটা সময়  হয়েছে কয়লা।

হৃদয়ের সবটুকু উজার করে
কাউকে ভালবেসেছিলো,
সেই ভালবাসার উত্তাল দ্রুতি
জালিয়ে পুড়িয়ে সর্বশেষ করে
বানিয়েছে কয়লা।

দগ্ধ বাতায়নের দার খুলে
একটু একটু করে
তপ্ত আগুনে জ্বলে জ্বলে
নিজের সবটুকু জালিয়ে
হয়েছে শান্ত।

কয়লা! কতোটা ভালোবেসেছো তাকে?
যার জন্য একটু একটু করে
নিজেকে জালিয়ে পুড়িয়ে
ছারখার করে দিয়েছো!

অস্তিত্বের সবটুকু
তার পায়ে ঠেঁলে
নিজে নিজেকে জালিয়ে
 সেজেছো কয়লা।
অন্তর পুড়ে দগ্ধ হয়ে
আজি পরে আছো  পথের প্রান্তে।
পাদুকায় পিষ্ট হয়ে
একটু একটু করে হচ্ছো অস্তিত্বে  বিলিন।

একটা সময় হয়তো মিশে যাবে
পথের ধূলোয়।
কয়লা! তোমার পানে তাকিয়ে
আজ নিজেকে অনেকটাই
অসহায় অসহায় লাগছে,
দুই চোখের বারিধারায়
অশ্রু প্লাবিত হয়ে
ভাসিয়ে দিচ্ছে বুক।

তোমার মতো তপ্ত আগুনে পুড়ে
আমিও যে হয়ে যাচ্ছি কয়লা।
মন পোড়া কস্ট নিয়ে
বুকের আগুনে জ্বলে জ্বলে
নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি।

আমি কি করবো,
তুমিকি বলতে পারো,
তার ভালবাসায় পুড়ে পুড়ে
অন্তর বৃত্ত জালিয়ে
আমি শেষ হয়ে যাবো।

আমি যে আর পারছিনা
তাকে ছারা কতোটা অসহায় আমি
পথের ধূলোর মতো
উড়ে উড়ে নিঃস হচ্ছি।
কয়লা, তুমি তাকে বলোনা
তাকে ছারা আমার বেঁচে থাকা অর্থহীন,
আমি তাকে ভালোবেসে
তোমার মতো পুড়ে পুড়ে
ণিঃশ্বেষ হয়ে মরে যেতে চাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন