বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

গতকাল

শেখ শফিউল বাসার

গতকাল দুপুরে তোমার বাড়ীর ছাদে দাড়িয়ে
একটা গানের সুরে হারিয়ে গিয়েছিলাম
অনেকটা দুর। বিদ্ধস্থ স্মৃতির বাগানে
হটাৎ করে কুড়ি গজানো
সজীব পাতার দোলানিতে
মরু প্রান্তরে জীবনের গন্ধ পেলাম।
হয়তো কোন বুঝ বালকের
আদরে রুপিত কোন পুস্প কুঞ্জ।
অনাদরে অবহেলায় ধসে যাওয়া
মাটির বুক চিরে মাথা তুলে দাড়ানো
একটি সজীব বৃক্ষ দেখে
মনের উচ্ছাসে এক পা দুপা করে
বাগানের ভিতরে প্রবেশ করলাম,
দু চোখের দৃস্টি দিয়েই নয়
মনের অন্তর দৃস্টি দিয়ে
নতুন কুড়ির শিরা উপশিরা গুলো
একটু একটু করে প্রত্যক্ষ করলাম।
একে বলা চলে মরা গাছে ফুল ফোটানোর মতো
আশ্চার্য কোন যাদুর ছোয়া।
বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সরু রাস্তার
পাশ দিয়ে একটু সামনে তাকালেই
চারপাশ বাধাই করা একটি পুকুর,
পুকুরের জলে এক গোছা শাপলা
বাতাসের ছোয়ায় মৃদু হেলে খেলা করে,
দৃশ্যটা মনের মাঝে এতোটা
অানন্দের সঞ্চার ঘটিয়াছিল
বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
একটু পরে শাপলার ডগায়
উরে এসে বসলো সাদা বক
উদ্দেশ্যর তির্যক দৃস্টি মেলে
পাকা শিকারীর মতো
স্থির সিদ্ধান্তে তাকিয়ে,
মাত্র কয়েকটা সেকেন্ড যেতেই
মাথাটা আধো পানিতে ডুবিয়ে
উড়ে গেল শিকার নিয়ে।
ছাদের উপর পয়চারী করতে করতে
পুরনো পেপারের একট টুকরো
চোখের নজর কারলো
ধূলো ঝেরে দৃস্টি দিতেই
সেখানে লিখা -রক্তের সম্পর্কের না থাকলেও
সব চাইতে কঠিন যে সম্পর্ক পৃথিবীতে
তা হলো বন্ধুত্ব। আর কিছুই বুঝা যাচ্ছিলনা,
মনের মাঝে একটা প্রশ্ন বারবারই
দোলা দিতে লাগলো। কথা গুলো কি সঠিক,
সর্বশেষ মস্তিস্কও তাতেই সায় দিলো।
তখনও আমি তোমার বাড়ীর ছাদেই ছিলাম,
অবশেষে মনটাই একটু মুচকি হেসে বললো
তুমিও আমার সেই রক্তের সম্পর্কহীন
সেরা সম্পর্কের একজন বন্ধু।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন