শেখ শফিউল বাসার
মন তুই কেন কাঁদিস
কেন তার জন্য তোর
এতো আকুলতা।
কেন পুরিস অগ্নিদহনে।
বর্ষার জল কানায় কানায়
পূর্ন হয়ে ভরে গিয়েছিল
বিস্তৃত খোলা মাঠের পরে মাঠ।
শাপলা শালুকের মেলায়
প্রকৃতির অতিথী হয়ে
বুনো হাঁস এসে বসেছিলো
জ্বলে ভাসা পদ্ম পাতায় ।
দুই ডানায় নেচে চলা ডাহুকেরা
স্বচ্ছ জলের মাঝে
লুটোপুটি ডুবো খেলায় মত্ত হয়ে
কাটিয়েছে অনন্ত দুপুর।
জীবনের তাগিদে ছুটে চলা
ব্যস্ত মাঝী নৌকার পালে
কন্ঠে সুরের ঝর তুলে
পাড়ী দেয় তার গন্তব্যে।
কোন এক রুপালী চাঁদের জোস্না মাখা
তারামৈত্রী আকাশে
মনের তপ্তকাঞ্চনে
হাসনা হেনা, জুঁই , চামেলীর অফুরন্ত সৌরভ
মনের বাগানে স্বপ্নের ফুল ফুটেয়েছিলো,
বর্ষার জলের মতোই
ফেরার পথে নিয়ে গেছে সবই।
জল শূন্য মৃত্তিকা যেমন
কাঁদা আবৃত শূন্য রিক্ত।
আমার ভূবন ও শূন্য প্রকৃতির
অবলিলায় ভাসা নিস্প্রান মরুভূমি।
সে চলে গেছে
কোন হিজলের বনের শাখে
হয়তো কদম পাতার ভেলায় চরে
কোন অজানা প্রান্তে,
আমাকে একলা পথের পথিক করে
নিংসঙ্গততার চাদরো জরিয়ে
আবদ্ধ করে দিয়েছে বদ্ধ ঘরের
আলোহীন অন্ধকার কুটিরে।
মন! যে যাবার সেতো চলেই গেছে
তার তরে কেন তোমার
এ হৃদয় নিংরানো আত্ননাদ।
কেন তার কথা ভেবে
অশ্রু ঝরাও অবিরত।
কেন তোমার মন
মনের ভীতরে থাকেনা,
কেন স্বপ্নের ডানা মেলে
ছুটে চলে দুর গগনে।
মন!
কেন তুমি তার কথা ভেবে কাদো
আমাকেও কাদিয়ে করো একাকার।
আমি যে আর পারছিনা।
স্বপ্ন বনের রক্ত গুলো
আমাকে করে নির্মজিত
করে ক্ষত বিক্ষত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন