বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

তোমার গন্তব্য নীড়ের পথে

 শেখ শফিউল বাসার

গ্রামের সেই পিজঢালা পথের ধারে
ক্ষানিকটা মৃদু দুর প্রান্তে
তোমার গন্তব্য নীড়।
সেই নীড়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা
সরু বাঁকা পথের বুক জুরে
তোমার পদ চিহ্ন আঁকা একটি পথে,
যখনি মনের মনো এ্যালবামে
সঞ্চিত ছবি গুলো মনো বৃত্তে
একটা শূন্যতা ঝড়ের অনুভূত হয়
তখনি প্রলয় থেকে ছুটে আসা
ঘূর্নিভূত ঝড়ের মতো
ছুটে যাই চিরচেনা সেই পথের
সরু বুক ভেদ করে।
তোমাকে দেখার প্রবল ইচ্ছেটা যখন
মনের মাঝে পাখির মতো
বেদনার সুর তুলে ডাকতে থাকে,
তখনি বেদনার পোড়া আগুনে
দগ্ধ অগ্নি বাতায়নে মনের পাখিটাকে পুড়ে
ছুটে যাই তোমার চোখ প্রত্যক্ষতায়
মনের পালক দিয়ে একটু ছুয়ে দিতে।
সরু রাস্তা হতে ঘড় দেখা যায়
কিন্তু যেই তোমাকে দেখার জন্য
অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে যাওয়া
সেই তোমাকে প্রত্যক্ষ করাটা অসম্ভব ডায়রির
প্রথম পাতায় লিখে রাখতে হয়।
একদিন কিংবা দুদিন নয়
প্রায় অনেক দিন, যখনি মনের সূতোয়
অদৃশ্য নাটাইয়ের হাতে টান পরে
তখনি ছুটে যাই তোমার গন্তব্যর সামনে দিয়ে
ছুটে চলা সরু পথের বুক ছিরে।
যতবার যতদিন ছুটে গিয়েছি
একদিনও তোমার বিন্দু পলক
চোখের ক্যামেরায় ধরা পরেনী।
প্রতিটি দিন শূন্য যোগসূত্রের হিসেবের খাতায়
আরো একটি ব্যার্থ দিনের সংখ্যা লিখে
কিছুটা কালি,কিছুটা কাগজের বুকে
ভালবাসার এক ফলক চিহ্ন একে এসেছি।
গত রাত্রী প্রহরেও মনের আধো ঢেউ থামাতে
বয়ে এসেছি তোমার পথ দিয়ে,
গতকাল ও দেখিনী, পূর্বেও দেখিনী,
তারপরেও মনের শূন্য প্রান্তরে
ভালো লাগার একটা অনুভূতি
বারেবারে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
তোমার বাস্তবতার বৃত্তে।
এটাই কি ভালোবাসা,নাকি কোন
পাগলামির ভুল সমিকরন।
তুমি হয়তো জানোনা
কতোটি বার একটি পলক দেখবো বলে
তোমার পথের বাঁকা মোড় বেয়ে
একাকি ছুটে গিয়েছি।
কিন্তু বাস্তবতার কঠিন ঢেউ গুলো
তিরের বুকে সমুদ্রের ফেনার মতো
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে অনেকটা দূর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন