বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

নিস্প্রান

শেখ শফিউল বাসার

অনেকদিন পরে সেই চিরচেনা
গুধলীর ছায়া ঘেরা অন্ধকার পথের বাকে
সাঝের বেলায় ঘরে ফেরা
কোন পাখির ঝাকে নয়।
কোন সুরের মূর্ছনায় হারিয়ে যাওয়া
দিব্যলোকের কোন কাব্য কথার
ফুল ঝুরিও নয়।
চলেছি একা অজানা তিমির রাত্রির
গন্তব্যেহীন ধূসর মরুর প্রান্তে।
গন্তব্যের গতি বলতে কিছুই নেই
মন পোড়া বাতাসের গন্ধে
প্রকৃতির বায়ু যখন একাকার
তখনি শূন্য কবিতার ছন্দে
একাকি পথ চলি।
প্রজাপতি রংধনুর যুগ্ন রংয়ে
যখন সাজায় পৃথিবী
ফুল গুলোও ময়ুরের মতো পেখম মেলে
হাটৎ চুপসে যায় ময়ুরের মতো
গোড়ালী প্রান্তে দৃস্টি ফেলে।
আমিও বাকরুদ্ধতায় চুপসে যাওয়া
নিস্প্রান পৃথিবীর পোকা হয়ে
রেশম গুটির বিন্দু পায়ে
একাকি ছুটে চলি।
অকেক গুলো দিন পার হয়ে গেছে
এই পথের ঠিকানায় খুজে ফিরি
চিরচেনা সেই মুখ
সেই হাসির মায়াবী যাদুর
পাল তোলা কোন পানসি নাও।
কি করে এতোটা কঠিন হলে
ধংসস্তুপে ফেলে যাওয়া একটি মানুষ
জল শূন্য মরু প্রান্তে
সর্বশান্ত নাবিকের মতো
মরু প্রান্তরে দু পা গেড়ে
উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যে তাকিয়ে
হৃদয়ের মাঝে স্বপ্নের কবর টানে।
কলিজা পোড়া গন্ধ তুমিকি শুনতে পাওনা
তুমিকি হৃদয়ের আত্ননাদ বোবা কান্নায়
পুড়ে যাওয়া কলিজা পোড়া ছাঁই
বাতাসে ভাসে, তাকি দেখতে পাওনা।
কি করে আমায় ভুলে গেলে
আমিতো সারাদিন সারাক্ষণ
তোমারি অপেক্ষায় চাতকের মতো
আকাশের পানে তাকিয়ে থাকি
বৃস্টির মতো কখন আসবে।
উত্তাপে পুড়ে যাওয়া আমায়
তোমার দৃস্টির পলকতায়
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে দুর বহু দুর।
তোমার দৃস্টি জলে স্নান করে
সাজবো সুখ সজ্জায়।
আশা গুলো প্রদীপ হয়ে জলেনা
স্বপ্নের ছায়া ঘরে কস্টের দাবানল
আমাকে কেবলি পোড়ায়।
তিক্ততার রুদ্ধ কুটিরে
অলস বসে থাকা নির্ভূত পেচার মতো।
চিরচেনা সেই পথে
আজো নগ্ন পায়ে হেটে চলি
সবুজ ঘাসে লেগে থাকা তোমারী পদচিহ্ন গুলো
স্পর্শের ছোয়ায় রংতুলিতে আকবো বলে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন