মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

বাস্তবতা ও বিবেক

শেখ শফিউল বাসার

সন্ধ্যা তখন ঘনিয়ে,গোধূলীর আলো
অস্তমিত রবীর পথ ধরে
অদৃশ্য গন্তব্যর অন্ধকারের বায়ে।
তখনো আমি প্রমত্তা পদ্মার কূলে
সবুজ দূর্বা ঘাসের উপয় বৃত্তে
দু পায়ে বসে।
বয়ে চলা সহস্র ঢেউয়ের উদ্দ্যমে
স্রোতের পথ ধরে বয়ে চলে
নৌকার মতো অসংখ্য কচুরিপানা।
কূল ভাঙ্গা গৃহের বাসন কোসন
স্রোতের পথে যাচ্ছে ছুটে।
চোখের দৃস্টি তখনো জলের উপরে
বয়ে চলা ঘূন্যবায়ে, জলের বুকে
ভেসে উঠে কারো মায়াময়তার
উচ্ছলিত প্রতিচ্ছবি।
সেই চিরচেনা হাসির
মনোমুগ্ধকর শব্দের বারতা
ভাসিয়ে নিয়ে যায় তার পানে।
কালো কেশের মিস্টি গন্ধ
সদ্য ফোটা হাজারো পুস্পের
স্নিগ্ধতার সুবাতাস হয়ে
দোলা দেয় মনে।
কন্ঠের প্রতিধ্বনী গুলো
দুই কর্নে আষাঢ়ের বৃস্টির মতো
রিমঝিম শব্দে অান্দোলীত করে
ভিতর বাহির।
মনের এ্যালবামে জমানো
হাজারো স্মৃতির ছবিগুলো
একটু একটু করে দাগ কাটে মনে।
জীবনের সমীকরণে কঠিন বাস্তবতার
নিল জলে ডুবে গিয়েছি।
সময় গুলো এখন আর কাটেনা,
অসহায় এর মতো মনো বৃত্তে
তার অপেক্ষিত প্রতিক্ষায়
চোখ দুটো আঁখি মেলে
পথ  পানে সঙ্গিহীন কাকের মতো
তার প্রতিক্ষায় তাকিয়ে।
সারাটিদিন সারাটি সময়
মনের বৃত্তে এক অদৃশ্য মনো সত্তা
তাকেই শুধু ভাবে।
দিনগুলো এখন আর
দিনের মতো কাটেনা।
রাতগুলো রাত জাগা নেশাচরের মতো
অশ্রু সজল নয়নে,
কখনো কান্নার রোল হয়ে
ভাসায় বুকের সুস্ক ভূমি।
অসহায় এর মতো
অাকাশের পানে তাকিয়ে,
তারার ছায়া পথে কারো ছবি আকে।
মনের ক্যানভাসে আকা প্রতিটি ছবির
প্রতিফলন পাল্টে দেয় জীবনের গতি।
জীবনটাকে এখন আর
জীবন বলেই মনে হয়না,
পথের প্রান্তরে পড়ে থাকা
হাজারো শুকনো ঝরা পাতার মতো
কারো অবহেলায় নিমিষেই ঝড়ে পরে।
বেদনার অন্তনিলায় প্রবাহিত
জীবনের গতি,
পাল্টে দিয়েছে জীবনের গন্তব্যে।
মরা নদীর মতো বহমান জীবন নিয়ে
মরুভূমির জলশূন্য বালুর ন্যায়
রুক্ষমূর্তি সম জীবন,
মনের স্বপ্ন গুলো হারিয়ে
নিজের মাথার কাছে
মনের কফিন সাজিয়ে একাকী বসে।
চোখের দৃস্টি গুলো ধূসর মরুভূমির মতো
ধূসর জীবনের অধ্যায় হয়ে
সংকিত করে জীবনের গতি।
আমি যে আর পারছিনা
জীবন্ত লাশের মতো স্বপ্নহীন জীবন
আমাকে দাড় করিয়েছে, বাস্তবতা
বিবেকের মূখোমুখী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন